বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইরাঃ - আমার রান্নায় সাহায্য করতে হবে।
আমিঃ - কি রকম? ( একটু মন
খারাপ করে )
ইরাঃ - যেমনঃ- সবজি কেটে দিতে হবে, যেটা প্রয়োজন বলল সেটা হাতে এনে দিতে হবে, কোনো কিছু ভুল করে না দিলে ভুল শোধরাতে হবে, আর
আর বাটি, চামচ এগুলো ধুয়ে দিতে হবে।
আমিঃ - এতো কিছু। আমি এগুলো পারবো না বলে দিলাম।
ইরাঃ - তাহলে আমিও রান্না -বান্না করতে পারবো না।
আমঃ - এই না, না না,আমি পারবো সব করতে পারবো। তুমি রান্না করবে কেমন?ইরা মুচকি হেসে বলল,
ইরাঃ - হুম। আর সব কাজ গুলো দুজন মিলে করবো কেমন?
আমিঃ - তুমি বলবে যেমন ।
ইরাঃ - আচ্ছা, এখন ঘুমানোর পালা। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
আমিঃ - হুম, আমারও। এখন
ঘুমাবো কেমন করে?
।
ইরাঃ- কেমন করে আবার? তুমি একদিন বেডে, পরেরদিন ঐ রুমের সোফায় আর আমিও একদিন বেডে পরেরদিন সোফায়।
আমিঃ - এই না না, আমি একা শুতে পারবো না।
ইরাঃ - কেনো?
আমিঃ -আমি ভুতে ভয় পাই।
ইরাঃ - হি হি, এতো বড়ো দামড়া ছেলে ভুতে ভয় পায়।
আমিঃ - এই একদম পচাবে না আমাকে।
ইরা মুখ ভেংচি কাঠলো।
ইরাঃ - আচ্ছা তাহলে উপর- নীচ হয়ে শুই।
আমিঃ - উপর নীচ মানে। ইরা দাত কটমট করে বলল,
ইরাঃ - মানে তুমি একদিন বেডে একদিন নীচে। আর ঠিক এইভাবে আমিও একদিন বেডে একদিন নীচে।
।
আমিঃ - ওয়াট দ্যা?
ইরাঃ - কেনো কি হলো?
আমিঃ - আমি ফ্লোরে শুতে পারবো না।
ইরাঃ - তাহলে কিভাবে শুবেন?
আমিঃ - দুজনেই বেডে শুবো।
এখন ইরা বলে উঠলো,
ইরাঃ - ওয়াট দ্যা। দুজনেই বেডে শুবো মানে। ইশ কি বিশ্রী
আমিঃ - আরে মাঝখানে পর্দা ঠাঙানো থাকবে। চলবে।
ইরাঃ - আইডিয়া মন্দ না ভাবতে হবে। ইরা কিচ্যুক্ষন ভেবে বলল,
ইরাঃ - হুম চলবে না দৌড়াবে। তবে এখানে কোনো কু - মতলব নেই তো।
আমিঃ - না না কোনো কু -মতলব নেই।
ইরাঃ - তাহলে দৌড়াবে।
আমিঃ - কে দৌড়াবে?ইরা হাসতে হাসতে বলল,
ইরাঃ - ঐ যে তুমি বললে না, চলবে। তাই আমি বললাম চলবে না দৌড়াবে। আমিও হেসে দিলাম।
আমিঃ - আচ্ছা এখন শোয়া যাক।
ইরাঃ - হুম। তারপর ইরা বেডের মাঝখানে পর্দা ঠাঙিয়ে দিলো, ইরা আমার দিকে বুড়ো আঙুল তোলা দিলো মানে, ঠিক আছে। আমি ও আঙুল দেখালাম। আমি আমার লাগেজ থেকে একটা থ্রি কোয়ার্টার পেন্ট বের করে পড়ে নিলাম। রুমে ডুকতেই।
আমাকে দেখেই ইরা মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলল,
ইরাঃ - ইশ কি বিশ্রি। আমার আমার নিজের দিকে থাকিয়ে,
আমিঃ - কিসের বিশ্রী?
ইরাঃ - ওগুলো কেউ পড়ে নাকি?
আমিঃ - কি?
ইরাঃ - এইতো তোমার পড়নের প্যান্ট।
আমিঃ - এহ বলে কি? এখন মেয়েরাই শর্ট পেন্ট থেকে আরোও শর্ট শর্ট পেন্ট পড়ে। আর উনি আমার থ্রী কোয়ার্টার পেন্ট দেখে, কি বিশ্রী। মুখ ভেংচিয়ে বললাম।
ইরাঃ - এই চুপ একদম মেয়েদের নামে বাজে কথা বলবে না।
আমিঃ - এহ আমি কি মিত্থ্যে বলেছি নাকি?
ইরাঃ - বাজে কথা রেখে শুয়ে পড়ো। আমি শুয়ে পড়লাম।
ইরা শুয়ে পড়েছে। আমিও পর্দার অন্য পাশটায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। বেশ কিছিক্ষন
পর আমি পর্দা একটু সরাতেই ইরার সাথে চোখাচোখি হলো।
ইরাঃ - কি চোরের মতো পর্দা সরালে কেনো? আমি আমতা আমতা করে বলিলাম,
আমিঃ - না মানে ঘুম আসছিল না তাই ।
ইরাঃ - তাই কি?
আমিঃ - দেখলাম তুমিও কি ঘুমিয়ে পড়েছো নাকি?
ইরাঃ - কেনো?
আমিঃ- না গল্প করবো ভাবছিলাম।
ইরাঃ - ওও, অন্য কিছুর ধান্ধ না থাকলেই হয়।
আমিঃ - অন্য কিছুর ধান্ধা মানে আমাকে দেখে কি তোমার ঐ রকম মনে হয়?
( মন খারাপ করে)
।
ইরাঃ - সন্ধ্যায়ই বুঝে নিয়েছিলাম তুমি কেমন?
আমিঃ - আসলে ঐ সময়ের জন্য সরি।
ইরাঃ -ইট'স ওকে। কি গল্প করবে?
আমিঃ - তোমার কি ভয় করছে না। একটা অপরিচিত ছেলের সাথে একটা রুমে একা থাকছো?
ইরাঃ - না।
আমিঃ - কেনো? আমি যদি তোমার সাথে অসভ্যতামি করি তাহলে।
ইরাঃ - তোমাকে ঐ রকম মনে হয় না।
আমিঃ - কেনো?
ইরাঃ - জানি না। বলে লজ্জা পেলো। আচ্ছা এখন ঘুমিয়ে পড়ো কালতো অফিসে যেতে হবে।
আমিঃ - হুম। ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কখন ঘুমিয়েছি মনেই নেই। সকালে।
ইরাঃ - এই এই উঠো।
আমিঃ - নিশ্চুপ............
ইরাঃ - জয়। এই জয়।
আমিঃ - হিম্ম। ( ঘুম ঘুম কণ্ঠে)
ইরাঃ - উঠো নাস্তা বানাতে হবে। খেয়ে অফিসে যেতে হবে।আমি ইরার হাত আমার মাথার নিচে নিয়ে জরিয়ে ধরে বললাম,
আমিঃ - আম্মু, ডেকো নাতো।
ইরাঃ - এই এই ছাড়ো ছাড়ো বলছি। ইরার চিৎকারের শব্দ শুনে লাফ মেরে উঠলাম। ইরার হাত ছেড়ে দিলাম।
ইরাঃ - এই খবিস তুমি আমার হাত ধরলে কেনো?
আমিঃ - সরি, সরি আসলে ঘুমের মধ্যে আম্মু মনে করে হাত ধরে নিয়েছিলাম।
ইরাঃ - আমি কি তোমার আম্মু নাকি?
আমিঃ - আরে প্রতিদিন তো আম্মুই ডাকে তাই আম্মু মনে করে। আর হাত ধরেছি কি এমন করলাম?
ইরাঃ - কি করলে মানে?
আমিঃ - আরে কাল সন্ধ্যায়তো
পাপ্পি ও দিলে। এখন হাত ধরলে আর কি হবে।ইরা রাগে কিছুই বলল না।
ইরাঃ - নাস্তা তৈরি করতে হবে। অফিসে যেতে হবে নাকি।
আমিঃ - তো নাস্তা বানাও না।
।
ইরাঃ- কি কথা ছিলো। যা করবো দুজন মিলে করবো।
আমিঃ- আচ্ছা তাহলে চলো গোসলও দুজন মিলে করি।
ইরা রাগে লাল হয়ে বলল,
ইরাঃ- ফাইজলামি করবে না আমার সাথে ( চিৎকার দিয়ে বলল)
আমিঃ- আরে চিৎকার করছো কেনো? সবাই শশুনে ফেলবে তো। আর তোমার সত্যিকারের স্বামি হলে কি তুমি আমাকে দিয়ে নাস্তা বানাতে।
ইরাঃ - না, ঝাড়ু পেটা করতাম। আরে ব্বাস বলে কি? তার মানে ইরার সত্যিকারের স্বামী হলে আমার ঝাড়ু পেটা করতো। এমন বউ দরকার নেই বাবা। কি দাজ্জাল মেয়ে।
।
ইরাঃ- কি হলো কি ভাবছো?
আমিঃ- ভাবছি তোমার স্বামী যে হবে তার উপর কড়া খবর আছে।
ইরাঃ- সেটা আমার স্বামী ভাববে তোমার ভাবতে হবে না।
আমিঃ- না ভাবছিলাম আরকি যদি ভবিষ্যৎ এ তোমার স্বামী হই। ইরা কোমড়ে হাত রেখে দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ - আরে আসছি তো ফ্রেস হয়ে আসি। ইরা কিছুই বলল না হন হন করে চলে গেলো। আমি গান গেয়ে গেয়ে ফ্রেস হতে লাগলাম। দরজার দিকে থাকিয়ে দেখি ইরা দাড়িয়ে আছে রাগী দৃষ্টি নিয়ে।
ইরাঃ- তোমার ফ্রেস হওয়া হয়নি।
আমিঃ- এইতো আর মাত্র আধা - ঘন্টা।
ইরাঃ- চুপ চলো। আমিও ফ্রেস হয়ে নাস্তা বানাতে গেলাম। আমি চেয়ারে বসে গান গাইছি।
ইরাঃ- এই, এই বাটিটা ধুয়ে আনো।
আমিঃ- কেনো তুমি পারোনা?
ইরাঃ- চুপচাপ নিয়ে আসো না হয় নাস্তা বানাবো না। আর কি করা ক্ষুধা ব্লেক মেইল করছে। তাই বাটি ধুয়ে আনলাম। দুটো চামচ ধুয়ে আনো। এটা কাটো ওটা কাটো আমিতো শেষ। এই মেয়েতো একটা সত্যিকারের বজ্জাত।
।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now