বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রাগী বউ---০৭

"ফ্যান্টাসি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X _____________^^^^^^^^ ------------ ---_-------- -হারামী আমাদের ট্রিট দিবি বলে বিয়ে করেছিস একথা বলিসনি।[নাঈমা]। . -বুঝার চেষ্টা কর একটু। তোরা যা ভাবছিস আসলে তা না[আমি] . -কি না আর কি তা আমরা বুঝি। যা তোর সাথে আমাদের কারো কোনো কথা নেই। ঐ চল সবাই।[নাঈমা] . আল্লা ঐ মাইয়ার কারনে সবাই আমাকে ভুল বুঝে চলে যাচ্ছে! না এভাবে আর চলবে না।কিছু একটা করতে হবে। . জেনিয়া আমাকে অনেকটা জোর করেই ক্লাসের মধ্যে নিয়ে গেলো। কিছুই বলতে পারছি না।শুধু ওর কাজকর্মগুলো দেখে যাচ্ছি। . ক্লাসের সবাই আমাকে অবাক চোঁখে তাকিয়ে দেখছে। নিজেকে এখন চিড়িয়াখানার একটি প্রানী মনে হচ্ছে। . দোর এইভাবে আর থাকা যাবেনা। জেনিয়াকে টাঁনতে টাঁনতে ক্লাস থেকে বের করে মাঠের দিকে নিয়ে আসলাম। . -কি চাও তুমি? আমাকে সবার সামনে অপমান করতে চাও? আমার জীবনটা নষ্ট হোক এটাই চাও না তুমি?[চিৎকার করে] . -না আপনি যা ভাবছেন তা না। বিশ্বাস করুন...![কান্না ঝরিত কন্ঠে] . -আর বিশ্বাস করতে হবেনা। দয়া করে আমাকে আর ডিস্টাব করবেন না। আপনি আপনার পথ দেখুন আমি আমার পথ। . -প্লিজ এমনটা বলবেন না। আমি বাঁচবো না।[কেঁদে কেঁদে]। . আমি কিছু না বলেই ঐখান থেকে চলে আসলাম।শুধু একবার পিছন ফিরে একটু তাকিয়ে দেখেছিলাম জেনিয়া কাঁদছে। . কাঁদোক। তাতে আমার কি! বাসায় এসেই একটু ঘুমিয়ে নিলাম। হঠাৎ করেই আম্মু এসে চিৎকার শুরু করে দিলো। . -কি হলো এভাবে চিৎকার করছো কেনো।[আমি]। . -জেনিয়া আমেরিকা চলে যাচ্ছে ওর বাবার কাছে।[আম্মু]। . -হুম তো আমি কি করবো। . -তুই কি করবি মানে? তোর সাথে আজকে একটা বিষয় আলোচনা করতে চায়। যা তোকে আমাদের আগেই বলা উচিত ছিলো।[আম্মু] . -কি বিষয়?[অবাক চোঁখে আম্মুর দিকে তাকিয়ে] . -তোর সাথে জেনিয়ার বিয়ে ঠিক করা অনেক আগে থেকেই! জেনিয়া এটা জানতো। জেনিয়া আমেরিকা থেকে শুধু তোর জন্যই এখানে এসেছিলো। কিন্তু তোকে আমরা এটা বলিনি। এখন তোর ব্যাপার। তুই না করলে আমরা জোর করবো না। . -কি বলছো এসব! বিয়েতে একবারও আমার মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলে না।[আমি] . -দেখ পাভেল আমরা তোকে ভালো করেই ছিনি।আমাদের মতামতের বিরুদ্ধে যাবি না এটুকু বিশ্বাস আমাদের আছে। তাও যদি তুই না করিস আমাদের আর কিছু করার থাকবে না। আমি এখন যাই। . আম্মু কথাটা বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেলো। . কি করবো বুঝতে পারছি না। মাথাটা কেমন জানি ঘুরপাক খাচ্ছে। আস্তে আস্তে চোঁখদুটো বন্ধ হয়ে গেলো। . ঘুম ভাঙ্গলো রাত ৯টার দিকে। ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য টেবিলে গিয়ে বসে আম্মুকে ডাক দিলাম। . আম্মু ভাত ও তরকারি এনে টেবিলে রাখলো। কিছু না বলেই অল্প খেয়ে আবার রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। হঠাৎ করেই ফোনে একটা মেসেজ আসলো জেনিয়ার নাম্বার থেকে। . "আমি চলে যাচ্ছি। আর কখনো তোমাকে ডিস্টাব করবো না! আমার কারনে আর কখনো তোমাকে কষ্ট পেতে হবেনা। আর হ্যাঁ আগামী সপ্তাহে আমার বিয়ে ঠিক করেছে আব্বু। ছেলে নাকি কোম্পানিতে জব করে। তোমার দাওয়াত রইলো। আল্লা হাফেজ।" . মেসেজটা পড়ে কি উওর দিবো ভেবে পাচ্ছিনা। জেনিয়ার কি সত্যি সত্যি বিয়ে হবে যাবে? আর হলেই বা আমার কি? ফোনটা বিচানার ওপর রেখে আবার ঘুমিয়ে গেলাম। . সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে কলেজে গেলাম। কলেজে একা একা বসে আছি। কিছুই ভালো লাগছে না! বারবার জেনিয়ার কথাই মনে পড়ছে! এমন সময় নাঈমা আসলো। . -সরি দোস বুঝতে পারিনি।জেনিয়া তোর সাথে মজা করছিলো তাই না? ওর নাকি বিয়ে অন্য কারো সাথে? এইযে দেখ আমাদের সবাইকে দাওয়াত করছে।[ফোনটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে] . ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি সত্যি সত্যিই বিয়ের দাওয়াত করছে ওদের। . -বিয়ে কখন কিছু বলছে?[মন খারাপ করে] . -হুম। আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে। কোনদিন এটা বলেনি। কিন্তু কেনো?[নাঈমা] . -না এমনি। মাথা ব্যাথা করছে বাড়ি চলে যাচ্ছি রে ওদের বলিস।[আমি] . -ও আচ্ছা। ঠিক আছে যা।[নাঈমা] . কলেজ থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলাম। কিচ্ছু ভালো লাগছে না।ফোনটা হাতে নিয়ে বারবার ম্যাসেজ চ্যাক করতে লাগলাম। না আর কোনো মেসেজ আসিনি। ঘুমোতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু ঘুমোতে পারলাম না।তাই একটা ঘুমের ট্যাবলেট খেলাম। . কলেজেও যায়না বাসা থেকেও বের হয়না। শুধু পড়ে পড়ে ঘুমোয়। এভাবে কেঠে গেলো দুইটি দিন। আজকেও ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় আম্মু এসে ডাক শুরু করে দিলো। . -এতো সকালে ডাকছো কি জন্য[আমি] . -তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে।আজকে জেনিয়ার বিয়ে। আমাদের সকাল থেকেই ঐ খানে থাকার জন্য বলছে ভাই সাহেব।[আম্মু] . -তুমি যাও। আমি যাবোনা[আমি]


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮৯৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now