বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
তৃতীয় পব পর..
নুশরাত আমার মুখের গাম্ভীর্য দেখে অনেকটাই অবাক হয়ে গেল । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কি হয়েছে ? তোমাকে এমন লাগছে কেন ?
-নুশরাত আজকে তোমাকে আমি কিছু কথা বলতে চাই ।
-হ্যা বলবা তো । তুমি ছাড়া আর কে বলবে ? কিন্তু এমন মুখ করে কেন রেখেছো ? আমার তো ভয় লাগতে শুরু করেছে ।
আমি ওকে আমার সোফার উপর বসালাম । তারপর মুখোমুখি বসলাম । ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম
-আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তোমার কি মনে হচ্ছে ? মনে হচ্ছে যে আমি তোমাকে ভালবাসি ?
নুশরাত কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর বলল
-হ্যা ।
-কোন সন্দেহ নেই তো ?
এতো সময়ে হাসছিল ও । এবার ওর মুখটা গম্ভীর হয়ে গেল । বলল
-কোন সন্দেহ নেই । তুমি যে আমার প্রেমে হাবুডুব খাচ্ছো এটা আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি । আর আজকে কি কথা বলবে সেটাও আমি জানি ।
-জানো মানে ?
আমি খানিকটা ধাক্কার মত খেলাম । কি বলছে এই মেয়ে ?
এই মেয়ে কিভাবে জানে !
নুশরাত আমাকে বলল
-আমি তোমার আর বাবার মধ্যকার কন্ট্রাক্টের কথা জানি !
আমি এবার সত্যি সত্যিই ধাক্কার মত খেলাম । এতোটা অবাক আমি এর আগে কোন দিন হয়েছি কি না আমি জানিও না । কি বলছে এই মেয়ে ! নুশরাত বলল
-যে কথাটা তুমি জানো না সেটা হচ্ছে, আমার কথা মতই আমার বাবা তোমার কাছে গিয়েছিলো !
-কি !!
আমি কেবল অবাক হয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম । নুশরাতের চোখের দিকে তাকিয়েই মনে হচ্ছে মেয়েটা কোন প্রকার মিথ্যা কথা বলছে না । আমি চোখ বড় বড় করে কেবল তাকিয়েই রইলাম ওর দিকে । নুশরাত বলে চলল
-তোমার কি মনে হয় মেয়েরা এতো সহজেই ছেলেদের প্রেমে পড়ে যায় ? জাস্ট লাইক তোমার গল্পের মত ? একটু খেয়াল করে দেখো তো আমি কি খুব বেশি সহজেই তোমার প্রেমে পড়ে গেছি না ?
আমি মনে করার চেষ্টা করার করলাম এবং সত্যিই তাই মনে হল । নুশরাতকে প্রেমে ফেলার জন্য আমার তেমন কিছু করাই লাগে নি । মেয়েটা যেন আপনা আপনিই আমার প্রেমে পড়েছে । নুশরাত এবার হেসে উঠলো ! আমি তখনও ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি । মেয়েটা কি আসলেই সত্যি কথা বলছে ?
কিন্তু কেন ?
কি এমন দরকার পড়ে গেল ?
নুশরাত বলল
-ভাবছো কেন ? আমি কেন এসব করলাম ?
আমি কোন কথা না বলে তখনও ওর দিকে তাকিয়ে আছি অবিশ্বাসের চোখে ।
নুশরাত যেন আপন মনেই বলল
-আমাদের ক্লাসে কত গুলো ছেলে ছিল তোমার মনে আছে ? ৫৭জন । আমি সবাইকে চিনি । এবং জানো এই ৫৭ জনের ভেতরে ৫৬ জনই আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলো । ওদের চোখের দিকে তাকালেই আমি বুঝতে পারতাম আমার জন্য ওরা কি না করতে রাজি ছিল । কিন্তু কেবল তোমার চোখে আমি সেটা দেখি নি । তুমি তো নিশি ছাড়া কিচ্ছু বুঝতেই না । এটা আমার কোন ভাবেই সহ্য হত না । একটা ছেলে আমাকে দিনের পর দিন দেখবে আর আমার প্রেমে পড়বে না সেটা আমি মেনে নিতে পারি নি । ছোট বেলা থেকে এমনটা কোন দিন হয় নি । এখনও হয় না । কেবল মাত্র তুমি ছাড়া !
-কেবল এটার জন্য ?
-হ্যা ! এটার জন্যই । আজকেও তুমিও আমার প্রেমে পড়ে গেছো !
আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু সেটা বলতে পারলাম না । আসলেই পারলাম না । আমি সত্যি সত্যিই নুশরাতের প্রেমে পড়ে গেছি । এটা অস্বীকার করতে পারছি না !
নুশরাত বলল
-সামনেই আমার বিয়ে । আমি কেবল তোমার এই সত্য স্বীকার কার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম ।
-কেবল এই কাজটা জন্য তুমি এসব করেছো ? এই সব মিথ্যা বলেছো ?
-কেন তুমি বল নি ? তোমার উদ্দেশ্যও কিন্তু সৎ ছিল না ।
আমি কথার জবাব দিতে পারলাম না । আসলেই প্রথমে আমার উদ্দেশ্যও তো সৎ ছিল না । টাকার জন্য আমি নুশরাতের অনুভুতির সাথে খেলা করতে রাজি ছিলাম । ওকে দোষ দেওয়াটা ঠিক আমার মানায় না । আমি বললাম
-তোমার অসুখের ব্যাপারটা ?
-ওটা মিথ্যা ছিল । ভার্সিটিতে থাকা সময়ে আমার এলার্জির কিছু সমস্যা ছিল । সেটার জন্য বাইরে গিয়েছিলাম । এর বেশি কিছু না !
আর দাড়ালো না ও । উঠে চলে গেল । দরজার কাছে গিয়ে আবার ঘুরে দাড়ালো । তারপর বলল
-তবে ভয় নেই, তোমার চাকরিটা যাবে না । ওটা থাকবে ! তোমার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই । যেটা ছিল সেটা পেয়ে গেছি ।
আমি কেবল অবাক হয়ে ওর চোলে যাওয়া দেখলাম । মেয়েটা কেমন হাসতে হাসতে চলে গেল ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now