বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
----
-এই দেখো আবার কাঁদে! বোকা ছেলে।
কাঁদিস না!
যা একটু বিশ্রাম কর গিয়ে।[চোঁখের জল মুচতে মুচতে]
.
-হু যাচ্ছি।
তবে
তুমি আজকে কোথাও যাবেনা!
আমি তোমার পাশে ঘুমোবো![অশ্রুশিক্ত চোঁখে]
.
-পাগল ছেলে আমার।
কাজে না গেলে
খাবি কি?
আর তোর তো কালকে প্রাইভেটেরও
বেতন দিতে হবে।[মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে]
.
-যাইহোকনা কেনো। আজকে তুমি কোথাও যাবেনা।
চলো আজকে তোমার পাশে ঘুমোবো।[মায়ের হাত ধরে টানতে টানতে]
.
মা আমাকে
বাধা দিলো না।
হাত মুখ ধুয়ে মাকে নিয়ে বিশ্রাম করতে গেলাম।
.
-মা ও মা।[মায়ের কাপড়ের আচঁল ধরে]
.
-হু বা বল।
ক্ষুদা লাগছে তোর বাবা।[কপালে একটা চুমু দিয়ে]
.
-না মা।
আমাকে একটা কবিতা শুনাও না মা।
.
-দেখো আমার পাগল ছেলে বলে কি!
আমি কি করে কবিতা বলবো?
আমিতো কবিতা পারিই না![কাঁদো কাঁদো গলায়]
.
-না মা আমি কবিতা শুনব-না মা আমি কবিতা শুনবোই!
বলো না মা।[কান্না কান্না কন্ঠে]
.
"ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ি এসো"
কাঠ না পালাং না.....!
.
-কি হলো মা তুমি কাঁদছো
কেনো।
মা ও মা তুমি কাঁদছো কেনো
মা কিছু না বলে
আমাকে আরো শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে
কাঁদতে কাঁদতে বললো
.
-ও কিছুনা বাবা।
তুই ঘুমা।[আরো শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে]
.
-একি মা
তোর শরীর এতো গরম কেনো।
শরীরে তো দেখছি জ্বর আসছে![কপালে
হাত দিয়ে]
.
-ও কিছুনা বাবা।
ঠিক হয়ে যাবে।[কাথার মধ্যে মুখ লুকিয়ে]
.
-একি মা তুই আবার কাঁদছিস।
আবার বলছিস ও কিছুনা ঠিক হয়ে যাবে![চোঁখের জলগুলো মুচে দিয়ে]
.
একি মা কিছু না বলে কাথার নিচে কেঁদেই চলছে।
.
-মারে ও মা।
কাদিস না মা।
তোর কান্না আমি সহ্য করতে পারিনা রে মা।[কেঁদে কেঁদে]
.
-পাগল ছেলে।
কাঁদছি কই?
এইতো হাসছি দেখ বাবা।[হাসার চেষ্টা করলো কিন্তু র্ব্যথ হলো]
.
-দেখলি মা তুই হাসতে গিয়েও হাসতে পারলি না।তোর চোঁখ দুটো কেমন ফুলে গেছে।
এখন একটু ঘুমা।
কালকে সকালে তোকে ডাক্তারের
কাছে নিয়ে যাবো।
.
মা কিছু না বলেই
ঝরিয়ে ধরে রেখেছে আমাকে।
মায়ের আঁচলের পরশ পেয়ে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারবোনা।
.
মাঝরাতে কেনো জানি ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
ঘুম থেকে ওঠে নিজেকে আর ঠিক
রাখতে না পেরে কেঁদে ওঠলাম।
.
মায়ের কাপড়টা দিয়ে আমার পুরো শরীর ডাকা।
মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি মা কাঁপছে।
.
-মা ঐই মা।[শরীরে ধাক্কা দিয়ে]
.
-কি হলো পাভেল।
বাবা তোর ঠান্ডা লাগছে বুঝি?
. -কেন তুই আমার জন্য নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস।
দেখছিস শীতের জন্য তুই কাপছিস।
অথচ আমার শরীরটাকে কাপড়টা দিয়ে ডেকে দিয়েছিস।
চাইনা আমি এই সুখ।
তোকে কষ্ট দিয়ে আমি সুখে থাকতে চাইনা মা।[কেঁদে কেঁদে]
.
-কই কাঁপছি?
আমি ঠিক আছি দেখ বাবা এইযে আমি ঠিক আছি![শরীরটাকে শক্ত করে]
.
-মারে কেন তুই আমাকে ফাঁকি দিতে চাচ্ছিস।
তুই জানিস না
তোর কিছু হলে আমিও যে বেঁচে থাকতে পারবো না।[অভিমান করে]
.
-পাগল আমার।
আয় আমার বুকে আয়।[বুকে ঝরিয়ে রেখে]
.
মায়ের বুকের পরম স্নেহ পেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম থেকে
ওঠে দেখি সকাল হয়ে গেছে।
.
কিন্তু মাকে দেখলাম
এখনো ঘুমিয়ে রয়েছে।
মা তো কখনো
এতো সময় পর্যন্ত ঘুমায় না।
আজকে কি হলো?
.
-মা ঐই মা।
ঘুম থেকে উঠবি না মা।[ধাক্কা দিয়ে]
.
একি মায়ের শরীর তো দেখছি জ্বরে একেবারে
পুড়ে যাচ্ছে।
মা কোন কথা বলছে না।চোঁখেও খুলছে না।
.
-মা ঐই মা কি হলো
কথা বলছিস না কেনো মা।আমার ওপর অভিমান করেছিস বুঝি?
.
এই যে মা কান ধরলাম আর ভুল হবেনা মা।
মা কথা বল মা।
আমি কিন্তু আজকে কলেজে যাবোনা!
সারাদিন চাচার দোকানে বসে থাকবো।
তুই কি আনতে যাবিনা।
মা এই দেখ
তোর পাভেল ছেলেটা আজ তোর আগে ঘুম থেকে ওঠে পড়েছে।
আজকে তুই ঝরিয়ে ধরে কপালে চুমু খাবিনা।
.
আমি কিন্তু সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছি।
আমাকে কিন্তু আর কোথাও পাবিনা।
ঐই মা তোর অভিমানটা কি এতোই
বেড়ে গেছে আমার ওপর যে কথা বলছিস না।
তুই না বলেছিলি
আমাকে কখনো কোথাও যেতে দিবিনা।
তো এখন আটকাস না কেনো?
.
ও তুই ঘুমিয়েছিস বুঝি ঘুমা ভালো করে ঘুমা।[চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে]
.
-পাভেল....![অস্পষ্ট ভাবে]
.
-কি হয়েছিলো মা তোর এতোক্ষনে বুঝি অভিমান ভাঙ্গলো।
একি মা তোর চোঁখ দিয়ে পানি পড়ছে কেনো মা?
ও বুঝছি আমি কাঁদছি বলে তুইও কাঁদছিস।
দেখছিস আমার কান্না তুই সহ্য করতে পারিস না।
মা রে তোর কিছু হলে তোর সাথে আমিও চলে আসবো এই পৃথিবী ছেড়ে।[চোঁখের জল মুঁচতে মুঁচতে]
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Eshrat Jahan
Golpobuzz ৫ বছর পুর্বে