বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

নিরব ভালোবাসা----০৮

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X সকাল হয়ে গেলো।অবনির আজ বিয়ে তেমন কোন মেহমান নাই কারন বিয়ে টা একবারেই ঘরয়া ভাবে। সবাই যেন জোর করে হাসছে।অবনিকে সাজানো হলো নিলয়ের দেওয়া শাড়িটাই অবনি পরেছে।আর কিছুক্ষণ পর কাজী আসবে।অবনির চোখ জুরে শুধু ঘুম আসছে।অবনি চাইলেও আর চোখ খুলে রাখতে পারছে না। বাইরে খুব চিৎকার শুনতে পায় অবনি।খুব জানতে ইচ্ছা করছে অবনির কিন্তু অবনি ধিরে ধিরে সব ক্ষমতা হারিয়ে ফেললো। এদিকে রুমের বাইরে নিলয়।নিলয়কে দেখে সবাই অবাক। নিলয় হাপাচ্ছে মনে হয় এখনি পরে যাবে।নিলয় অস্থির হয়ে অবনি কে ডাকছে। নিলয়ঃঅবনি অবনি অবনি ককোথায় তুমি? বাবাঃকেন এসেছো তুমি আর কি চাও? নিলয়কে একটা থাপ্পর দিলো। নিলয় সেদিকে খেয়াল করে না ও শুধু অবনিকে খোজে। নিলয়ঃআংকেল অবনি ভালো নাই ও অনেক গুলি ঘুমের ঔষধ খাইছে।ওকে এখনি হাসপাতালে নিতে হবে। অবনির বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পরলো।সবাই দৌড়ে অবনির রুমে গেলো গিয়ে দেখলো অবনি বিছানার উপর ঘুমিয়ে আছে। নিলয় পাগলের মত দৌড়ে অবনিকে কোলে তুলে নিলো আর গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়া গেলো সাথে সবাই গেলো। অবনি ওটির ভিতরে আর বাইরে সবাই কাদঁছে। নিলয় জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে। নিলয়ঃঅবনি তুমি এটা কি করলে আমার উপর তোমার কি কোন ভরসা ছিলো না???অবনি কি করলা তুমি। আমি কার জন্য বাঁচবো অবনি বলে যাও আমাকে।অবনি তুমি আমাকে একা ফেলে চলে যেও না। ওর কান্নায় হাসপাতালের সব মানুষ এক জাগায় হয়ে গেছে।সবাই কাদছে আর অবনির জন্য দোয়া করছে। ১ঘণ্টা পর ডাঃ বের হলো। ডাঃরুগি এখন বিপদ মুক্ত।তবে অনেক গুলি ঘুমের ঔষধ খেয়েছে।আর কিছুক্ষন পর আনলে আর রুগিকে বাচানো যেতো না নিলয়ঃ ডাঃআমি অবনির কাছে যাবো ডাঃ এখনো জ্ঞান ফিরে নাই এখন যেতে পারবেন না নিলয়ঃআমি শুধু ওর পাশে বসে থাকবো।প্লিজ আমাকে যেতে দিন। ( নিলয় ডাঃ এর পায়ে ধরে বসলো) অবনির বাবাঃওকে যেতে দিন ডাঃ হাত জোর করে বলছি। নিলয়কে যেতে দিলো। নিলয় দৌড়ে এসে অবনির কাছে আসলো।এসেই অবনির কপালে আদর দিলো।হাত ধরে হাতেও আদর দিলো অবনির পাশে বসলো।নিলয়ের চোখের পানি আজ বাধছারা। নিলযঃপাগলিরে তারাতারি উঠ দেখ আমি চলে এসেছি। আমি তোমাকে একা রেখে আর কোথাও যাবনা। জানো অবনি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমার নিজের থেকেও বেশি। তুমি তারাতারি উঠো আমি তোমার হাতে রান্না খাবো। জানো অবনি আমি কতদিন ধরে পেট ভরে ভাত খাইনি তোমার হাতে ভাত খাবো। আমি তোমার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমাবো কতরাত হয়ে গেলো আমি ঘুমাইনি। অবনিরে এ অবনি কেন রাগ করে আছো এই যে আমি, তোমার ছার দেখো আমি আসছি আমাকে একবার ছার বলে ডাকো...............একবার ডাকো।( নিলয় কাদছে আর কথাগুলি বলছে।নিলয় অবনির হাতের উপর মাথা রেখে উপর হয়ে আছে) অবনির বাবা মা সহ সবাই নিলয়ের কথাগুলি শুনছে আর কাদছে।নিলয়ের প্রতি তাদের রাগ অনেক কমে গেলো। তখনি। অবনিঃছার......... তুমি আসছো?( ভেংগে ভেংগে বলছে। অনেক দূর্বল হয়ে গেছে) নিলয় যেন আকাশের চাদকে হাতে পেয়েছে। নিলয়ঃ এই যে আমি, দেখো অবনি আমাকে ধরে দেখো আমি তোমারি আছি। ( লাফ দিয়ে অবনিকে নিলয় বুকের ভিতরে নিয়ে গেলো) তোমার ভালোবাসা আমাকে নরক থেকে ফিরিয়ে নিয়া আসছে। ডাঃ সহ সবাই রুমে ডুকলো অবনি নিলয়কে শোয়ায় দিলো। অবনি আর কিছু বললো না সবাইকে এক নজর দেখে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে আর নিলয় যে হাতটা ধরে আছে সেই হাতটা ছারিয়ে অবনি নিলয়ের হাত ধরলো।আজ অবনির চোখে পানি পরছে।নিলয়ের চোখেও পানি। ডাঃঅবনিকে এখন ঘুম আসতে হবে আপনারা সবাই বাইরে জান। বাবাঃঅবনিকে বাসায় কখন নিবো? ডাঃআজ নয় কাল নিতে পারবেন। এই বলে অবনিকে ইনজেকসন দিলো কিছুখনের মধ্যে অবনি ঘুমিয়ে পরে কিন্তু নিলয়ের হাত ছারলো না।সবাই চলে গেলো বাইরে শুধু নিলয় ছারা। নিলয়কে দেখে অবনির মায়ের খুব কস্ট হয়।আরিয়ান কে বাসায় পাঠালো খাবার আনতে।কিছুখন পর আরিয়ান খাবার নিয়ে আসলো।খাবার নিয়ে মা নিলয়ের কাছে গেলো। মাঃনিলয় বাবা হা করো।( মা নিলয়কে নিজের হাতে খাবার খাওয়াইতে চাইলো।নিলয় কিছু বললো না শুধু হা করে ভাত মুখে নিলো।আর কানতে কানতে বললো।) নিলয়ঃমা এই কয়দিন আমি ভালোছিলাম না আমি অনেক কস্টে ছিলাম। আমি আপনাদের ভুলি নি। মাঃসব কথা পরে শুনবো এখন পেট ভরে ভাত খাও।( অবনির মাও কাঁদছে)।। নার্স এসে সবাইকে বাসায় চলে যেতে বললো একজন বাদে। অবনির বাবা মা জানে নিলয়কে এখন বাসায় নিতে পারবে না তাই নিলয়ের কাছে বিদায় নিয়ে সবাই বাসায় চলে গেলো। সারা রাত নিলয় অবনির হাত ধরে বসে রইলো।সকালে অবনির জ্ঞান ফিরলো। অবনি দেখলো নিলয় অবনির পেটের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। অবনি নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ভাবছে। যেই মানুষটা তার নিজের থেকেও বেশি আমাকে ভালোবাসে সেই মানুষটার কোন বিপদ হয়ে ছিলো হয়তো।কত রাত মনে হয় ঘুম আসে নাই মুখ দেখেই বুঝা যায়। নার্স রুমে আসলো।অবনি হাতের ইশারায় চুপ থাকতে বললো।নার্স মুচকি হাসলো আর আস্তে আস্তে বল্লো ওনি কে আপনার? সারারাত জেগে ছিলো আর কাঁদছিলো।অবনি বললো এই লোকটাইতো আমার জীবন। অবনিকে ঔষধ খাওয়ায় চলে গেলো। অবনি নিলয়ের মাথায় হাত বুলাতে থাকে আর ভাবে একটা নিস্পাপ শিশুর মত লাগছে ছারকে।মুখটা কত শুখিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে ঠিক আমার মত। একটা পাগল আমার। একটু পরেই নিলয়ের ঘুম ভেংগে গেলো।নিলয় দেখলো অবনি ওর দিকে তাকিয়ে আছে। নিলয় কিছু বললো না শুধু চোখ দিয়ে পানি পরছে আর অবনি চোখের পানি মুছে দিচ্ছে। নিলয় আর কিছু বললো না শুধু অবনির হাতটা ছেরে দিয়ে ওর সিটের উপর বসে অবনির বুকে মাথা রাখলো অবনিও ওর মাথার চুলে বিলি কাটছে। দুজন এখন দুটি কাতর পাখি। নিলয়ঃকেন করলা এমন????????(বুকে মাথা রেখে) অবনিঃএমন না করলে আজ তুমি আমার কাছে থাকতে না। নিলয়ঃঠিক বলেছো অবনি তোমার এই চরম বিপদ আর তোমার ভালোবাসা আজ আমাকে তোমার কাছে নিয়া আসছে। এমন সময় অবনি দেখলো বাবা মা বাইরে দারিয়ে আছে ভিতরে আসছে না। অবনিঃ নিলয় উঠো.............( সরাতে চাইলো) নিলয়ঃকেনো????? অবনিঃবাইরে বাবা আর মা......... ( নিলয় লাব দিয়ে সরে গেলো।)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯৭৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now