বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

বোবা বউয়ের রোম্যান্টিক ভালোবাসা----১ম পর্ব

"ফ্যান্টাসি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X ------ ________________ অফিসে বসে বসে ফেইসবুক গুতাচ্ছিলাম এমন সময় আম্মুর ফোন। . -কিরে পাভেল তোর না আজকে বউ দেখতে যাওয়ার কথা। এখনো অফিসে কি করিস?[অনেকটা রাগী কন্ঠে] . বউ বউ বউ এই কথাটা শুনতে শুনতে কানটা একেবারে ভারি হয়ে যাচ্ছে। . -তোমরা যাও আমি যেতে পারবো না[আমি] . -কি বললি? তাড়াতাড়ি আয়! তোর আব্বু আর আমি সেই কখন থেকে রেডি হয়ে বসে আছি।[আম্মু] . ইচ্ছা না থাকা সত্বেও অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় আসলাম। . -এইতো বাবা এসে গেছিস তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।[আম্মু] . -আমি রেডিই আছি। চলো।[রুম থেকে বের হয়ে] . দেখতে দেখতে পাত্রীর বাড়ির কাছে চলে আসলাম। শুনেছি পাত্রী নাকি আব্বুর ফের্ন্ডের মেয়ে। . অনেকক্ষন যাবত বসে আছি। কিন্তু পাত্রী আসার কোনো নাম গন্ধ নাই। মনে হয় আটা-ময়দা লাগাচ্ছে। মাথা নিচু করে ফোন টিপছিলাম। এমন সময় শরবতের একটা গ্লাস কে যেনো সামনে বাড়িয়ে দিলো। . ফোন টিপতে টিপতেই এক হাতে গ্লাসটা নিয়ে একটা চুমুক দিলাম। -উহু উহু।[আমি] . -কি হলো বাবা তুই ঠিক আছিস তো?[আম্মু] .-হু আমি ঠিক আছি।[মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থেকেই] . এটা কি মানুষ? নাকি পরী? মানুষ এতো সুন্দর হয় কি করে? . -কি মেয়ে পছন্দ হয়েছে মাই সন।[আব্বু] . -আমি ওনার সাথে একটু আলাদাভাবে কথা বলতে চায়![মাথা নিচু করে] . আমার কথাটা শুনে সবাই কেমন স্তব্ধ হয়ে গেলো! কেউ কোন কথা বলছে না! . -বিয়ের পর যত পারিস কথা বলিস। এখন বলতে হবেনা। মেয়ে পছন্দ হয়েছে কিনা এটা বল?[আম্মু] . -কিন্তু আম্মু আমি যার সাথে সারাটা জীবন কাটাবো। তার সাথে কথা বলার কি দরকার নেই আমার? তার ভালো-মন্দও তো জানতে হবে।[আমি] . আম্মু আমার কথা শুনে কিছুই বললো না! চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে রইলো। . -হু বাবা যাও। মা যা ওকে তোর রুমে নিয়ে যা।[মেয়ের বাবা] . মেয়েটা আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করলো উপরে আসার জন্য। মেয়েটার পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে একটা রুমের মধ্যে গেলাম। . রুমে ঢুকে আরও একটু অবাক হলাম। পুরো রুমটা পরিপাটি করে সাজানো। বিচানার ওপর ইয়া বড় বড় দুইটা পুতুল। এতো বড় মেয়ে এখনো বাচ্চাদের মতো পুতুল নিয়ে খেলা করে এটা ভেবে আরও হাসি পাচ্ছে। .মেয়েটা রুমের এক কোনে দাড়িয়ে আমার কার্যক্রম দেখে মিটিমিটি হাঁসছে! ও ও মেয়েটার নামটাই তো এখনো জানা হলোনা! . -নাম কি আপনার?[মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে] . মেয়েটা কিছু না বলে মাথা নিচু করে ঠিক জায়গায় দাড়িয়ে রয়েছে! ভাবলাম হয়তো শুনতে পাইনি। তাই আবার জিঙ্খেস করলাম। . -নাম কি আপনার।[মেয়েটার একটু কাছে গিয়ে] . আবারও মেয়েটা কোনো উওর না দিয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে! ভালোকরে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটার চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। . -আরে আপনি কাঁদছেন কেনো? আপনার কি এই বিয়েতে মত নেই? বা আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়নি? [অবাক হয়ে জিঙ্খেস করলাম] . মেয়েটা এবার একটু এগিয়ে এসে টেবিল থেকে একটা কলম ও খাতা নিয়ে কি জেনো লিখলো। তারপর আমার দিকে কাগজটা এগিয়ে দিলো। . কাগজের লেখাগুলো এইরকম- "আসসালামুআলাইকুম। আমার নাম জেনিয়া; আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। . তবে কি জানেন; আমি জন্ম থেকেই বোবা! কথা বলতে পারিনা। জানি এটা শুনার পর আপনিও চলে যাবেন!" এর আগেও অনেকে এসেছে সবাই যখন শুনেছে আমি বোবা!" তখন আর কেউ; কথা বাড়ায়নি।"" . কাগজটা পড়ে হাসবো নাকি কাদবো কিছুই বুঝতে পারছি না। মেয়েটা মানে জেনিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি জেনিয়া কাঁদছে। ও হয়তো ভাবছে ও সপ্নটা এখানেও সপ্নটা এখানেই শেষ। . কিন্তু না! ওর সপ্নটাকে আমি শেষ হতে দিবোনা। আমি ওর মতো একজনকেই চেয়েছিলাম! . -জেনিয়া আমি তোমাকে বিয়ে করতে চায়!" তোমার কি কেনো আপত্তি আছে?[হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝাতে চেষ্টা করলাম] . জেনিয়া হয়তো নিজের চোঁখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। . জেনিয়া দুটো হাত এক করে ইশারার মাধ্যমে বুঝাতে চাইলো যে ; -আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসবো। যা তোমার কল্পনার বাইরে! আমার এ মন সারাক্ষন তোমার কাছে পড়ে থাকবে![বুকে হাত দিয়ে ইশারার মাধ্যমে] . জেনিয়াকে নিয়ে নিচে আসলাম। এসে দেখি সবাই মন খারাপ করে বসে আছে! তারা হয়তো ভাবছে সবকিছু জানার পর আমি জেনিয়াকে বিয়ে করতে রাজী হবোনা! . - পাভেল মেয়ে কেমন দেখলি বাবা? তোর পছন্দ হয়ছে?[আম্মু] . -হু পছন্দ হয়ছে এবং সবকিছু জানিও। মা আমি আজি জেনিয়াকে আংটি পড়াতে চায়! . -ওয়েলডান মাই বয়।[আব্বু] . তারপর জেনিয়াকে আংটি পড়িয়ে বাসায় আসলাম। . শুক্রবার মানেই অফিস ছুটি। তাই অনেকবেলা পযর্ন্ত ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই কানের মধ্যে কে জেনো সুরসুরি দিতে লাগলো। . চোখ মেলে সামনে তাকিয়েই দিলাম দৌড়। . -আম্মু ভূত ভূত।[দৌড়ের আম্মুর কাছে গিয়ে] . -হা হা। ওটা তোর জেনিয়া ভূত।[আম্মু] . কিহ আমার সাথে মজা দাড়াও দেখাচ্ছি তোমার মজা।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৫৯০ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন