বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

প্রফেশনাল কিলার (৩য় পর্ব)

"ক্রাইম" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান muntasir al mehedi (০ পয়েন্ট)

X ৩য় পর্ব!! রাফিদের জন্য আগে থেকেই হোটেল রুম বুকিং করা আছে। সে হোটেলের রিসিপশন থেকে রুমের চাবিটা নিয়ে রুমে চলে আসলো। ৭-৮ ঘন্টা জার্নি করাতে তার শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছে। ব্যাগটা খাটের উপর রেখে সে ফ্রেশ হয়ে এসে শরীরটা খাটে এলিয়ে দিল। শরীর খুব ক্লান্ত তাই সে অল্পতেই ঘুমিয়ে পরলো। সকাল থেকেই সে তার কাজ শুরু করবে। ধানমন্ডির এক গলিতে বসে কিছু ছেলে আড্ডা দিচ্ছে। তাদের মাঝে এক ছেলে মোবাইল বের করে বলল :- পিংকু ভাই!! মেসেজ আইসে। কে বলে পুলিশের কাছে আমগো ব্যবসার কথা কইয়া দিসে। ভাই তাত্তারি আমগো মাল নিয়া পালাইতো অইবো। :-মেসেজ দিসে কেডা??? অরে জলদি ফোন লাগা। (পিংকু) :- ভাই!! ফোন বন্ধ কইরা হালাইসে। :-অর নাম আছে??? :-ভাই!! লাস্টে লেখছে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী। :-ধুর!! হালা!! তোরা এক কাজ কর মাল লইয়া যে যেইদিকে পারস পলাইয়া যা। আমিও কোন একদিকে পলাইতাসি। পিংকু রামপুরা এলাকার ছোট-খাটো একজন মাস্তান। তার বয়স ও ২৮-২৯। সে ইয়াবা,হিরোইন,গাজা ইত্যাদির ব্যবসা করে। এগুলো সাপ্লাই স্বাভাবিকভাবে রাতে হয়। এছাড়া তার আর কোন কাজ নেই। সারাদিন অলিতে-গলিতে বসে বসে আড্ডা দিবে আর মেয়েদের উত্ত্যক্ত করবে। তারা পুলিশ আসার খবর শুনে যে যার মতো করে পালানোর জন্য চলে গেল। পিংকু এদিক-সেদিক তাকিয়ে আস্তে ধিরে চলা শুরু করলো। সে ভাবছে কে এই বেঈমান। যে তাকে ধরিয়ে দিতে চাচ্ছে?? পরিস্থিতিটা একটু ঠান্ডা হলেই অই বেঈমানের খোজ নিয়ে বেঈমানকে শিক্ষা দিয়া দিবে। ভাবতে ভাবতে সে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে গেল। একটা জনশুন্য এলাকা। মাঝে ছোট ছোট কিছু জঙ্গল ও আছে। এরকমই একটা জঙ্গলের মাঝে ছোট একটা টিনের ঘর। এইটাই পিংকুর নিরাপদ জায়গা। যখনি পুলিশের থেকে পালানোর প্রয়োজন হয় তখনি সে এখানে এসে লুকিয়ে পরে। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আবার চলে যায়। এই জায়গার খবর কেউ জানে না। এমনকি তার গ্যাং এর লোকজনও না। ৪দিন পর কেউ একজন পিংকুকে ফোন দিয়ে বলল :-ভাই আপনি আইসা পরেন। এইহানের সব ঠান্ডা হইয়া গেসে। :-আইচ্ছা কালকে সকালেই আমু। ফোনটা রেখে পিংকু একটা ঝোপের পাশে গেল। শরীরের অপ্রয়োজনীয় পানি ত্যাগ করার জন্য। কাজ শেষ করে প্যান্টের চেইনটা লাগিয়ে পিছনে ফিরতেই দেখে তার এক হাত দূরে লম্বা রেক্সিনের টুপিওয়ালা কাপড় পরা একটা লোক,মুখটাও মাস্ক দিয়ে ঢাকা,হাতে পায়ে গ্লোবস পরা। এক কথায় পুরো শরীরটা ঢাকা। তার ডান হাতে একটা লোহার ধারালো লম্বা শিক। পিংকু এইটা দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যায়। পরে নিজেকে স্বাভাবিক করে কিছু একটা বলতে নেয়। আর তখনি মাস্ক পরা লোকটা মুহূর্তের মাঝে পিংকুর গলার বাম পাশ দিয়ে শিকটা ঢুকিয়ে দেয়। রাফিদের হাতে একটা পত্রিকা। তার প্রথম পৃষ্টাতেই ঝোপের মাঝে একটা আধা-পচা লাশের ছবি। আর রাফিদ ছবিটার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আর এইগুলো ভাবছে। ভাবতে ভাবতে তার কপালে ঘাম ছুটে গেছে। হঠাৎ রাফিদের ফোন বেজে উঠলো। সে তার ভাবনার দেশ থেকে ফিরে ফোনের দিকে তাকালো। ফোনে একটা অপরিচিত নাম্বার বাসছে আর ফোনটা অবিলম্বে বেজে যাচ্ছে........... চলবে....


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৯৯৯ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Maya
    User ৭ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    বাকি গুলো কবে দিবেন?