বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

একটা অলৌকিক রাত

"ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Maharab (০ পয়েন্ট)

X সেদিন ক্যাম্পাসে বিকেলে আড্ডা দিতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে অজান্তে অনেক রাত হয়ে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১২টা! ক্যাম্পাস থেকে আমার বাসা প্রায় দুই কিলোমিটার। বন্ধুরা সবাই বিদায় নিয়ে যে যার মতো চলে গেছে। শীতের রাত্রি কনকনে শীত। রাস্তায় কোন মানুষের চিন্হ নেই। নিস্তব্ধ! আমার এরকম রাত করে বাড়ি ফেরা এটাই প্রথম। নিজের চিরো চেনা ক্যাম্পাস বলে ভয় তেমন লাগছিলো না। আমি বাড়ি যাওয়ার জন্য হাটা শুরু করেছি। হাটছি মনে মনে ভাবলাম একটা রিকশা পাওয়া গেলে অনেক খুশি হতাম। কিন্তু সেটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিলো। রিকশা পাওয়া অসম্ভব। আমি এবার একটি সোজা লম্বা পথ দিয়ে হাটছি। এবার রাস্তার ধারের গাছের উপর দিয়ে একটি ভয়ংকর আওয়াজের সাথে একটি বিড়াল লাফিয়ে আমার সামনে পড়লো বিড়ালটি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে চাইলো। এতে ভয় পাওয়া অসম্ভব কিছুনা স্বাভাবিক! আমি ভয়ে গোটা শরীরের লোম খাড়া হয়ে গেলো। বুকের মধ্য জ্বিন পরীর ভয় ঢুকে গেছে। এরপর পতিটি পা ফেলতে হলো ভয় আর বিষাদের সাথে। এবার সামনে তাকাতে পেলাম একটি রিকশা দাড়িয়ে আছে সত্য মনে হলো না ভাবলাম ভয় পেয়ে আমি নিজের আশাটা সত্য করে দেখছি। চোখ কে অবিশ্বাস হতে লাগলো। না কিন্তু রিকশার কাছে গিয়ে রিকশাটা সতৌ দাড়িয়ে আছে আর রিকশাওয়ালা দাড়িয়ে রয়েছে। বললাম মামা যাবেন? আমাকে বাসায় রেখে আসতে হবে! রিকশাওয়ালা একটি ভয়ংকর হাসি মারলো সে হাসিটির ভাবার্থ অনেক। বললো উঠে পড়ো! আমি বসলাম রিকশা চলছে এবার লক্ষ্য করলাম রিকশাওয়ালার চুলগুলো এত বড় যে চুল এসে রিকশার নিচে এসে ঠেকেছে।সেটি দেখে ভয়ে আমার হার্ট ফেল অবস্হা। ভাবলাম তাদের মনে হয় আমি ডেকে এনেছি। না জানি আজ কপালে কি আছে! আমি বললাম মামা একটু জোরে চালাবেন বাসায় ফিরতে হবে অনেক রাত হয়ে গেছে। সে আবার সে ভয়ংকর বিষাদি হাসি হেসে বললো কেবল তো সন্ধ্যা এতো রাত কোথায় হো হো হো হা হা হা। এ কথা শোনার পর নিজের ঘড়ি চেক করে নিলাম ঘড়ি ঠিকই আছে এখন রাত ১২. ১৫ মিনিট। তার কথার রহস্য আমাকে ভীত হতেতে বাধ্য করে। আমার সারা শরীর কাপছে। এরপর নিচের দিকে খেয়াল করে দেখি লোকটির পায়ের সামনে অর্থাৎ আমাদের পা যে রকম সামনে থাকে আঙ্গুল কিন্তু লোকটির তা নয় তার পায়ের সামনে অংশ পেছনে আর পেছনের অংশ সামনে। এটা দেখে ভাবলাম এটা কি দেখছি আমি হে আল্লাহ রক্ষা করো আমায়। খালি মনে হচ্ছে কখন বাড়ি যেতে পারবো। তবে অনেক টা চলে আসছি আর একটু বাকি। আমি ভয়ে রিকশায় চুপ করে বসে রইলাম। জায়গা মতো চলে এলাম রিকশা থেকে নামলাম ম্যানিব্যাগ বের করে ভাড়ার টাকা দিতে গেলাম সে হাত বাড়ালে দেখলাম অলৌকিক কারবার তার হাতটি মানুষের কোন হাত নয় তার গোটা হাত ঘোড়ার পায়ের মতো সামনে ঘোড়ার পায়ের খুর। এবার আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি তার চোখ আগুনের মতো জ্বলছে। এ দেখে আমি বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করে বাড়ির দিকে ভো দৌড় দিলাম। বাসার সবাই চিৎকার শুনে চলে এলো মা কে সব খুলে বললাম। মা বিস্ময় হয়ে আমার বুকে দোয়া পড়ে বুকে ফু দিলো। বললো বাবা বেচে গেছিস আল্লাহ রহম করেছে। ও কোন মানুষ নয়। ও হলো জ্বিন। যা আল্লাহর সৃষ্টি। আমরা ইনসান। তুই যা দেখেছিস ঠিক দেখেছিস কারন ওদের পা ওরকমই হয়। যা অনেক মানুষ বিশ্বাস করেনা। হ্যা বাবা এরা ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের চারপাশে। এরা মানুষের মতো চলাফেরা করে। চল বাবা ঘরে চল পানি পড়া খেতে হবে। এরপর থেকে আমি সন্ধ্যার পর আর বাসায় ফিরতে ভুল করিনি। সুতরাং সাবধান আপনারা এরা মিলতে পারে রাস্তায় রিকশায় বাসে ট্রেনে ক্যাম্পাসেও। কারন এরা মানুষের রুপ নিয়ে থাকে। ভাল থাকবেন আবার হাজির হবো নতুন কোন বাস্তব গল্প নিয়ে...


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১২৪৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • মুন্না
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    খুব ভাল।

  • Raiyan
    User ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    Nc