বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্পটি লিখুন বেশ কয়েকদিন ছুটি পেয়ে বাড়ীর দিকে রওনা দিলাম। এ কে খান মোড়, সৌদিয়ার কাউন্টারে বসে আছি। টিকেট কাটা শেষ। এখন বাসের অপেক্ষায়।
হঠাৎ হস্তনস্ত হয়ে এক মহিলা আমার এসে বসল। তার কোলে বেশি হলে ২ বছরের একটা আছে। বাচ্চাটা অনবরত কান্না করছে। বুঝলাম, মহিলাটার স্টার জলসা মার্কা সাজুগুজু এর কারন। শরীরে যে পরিমাণ অলংকার গেঁথেছে, তাতে মনে হলো তুতেন খামেনির মমিতে এত অলংকার পেয়েছে কি না! সন্দেহ।একটু পর আমার কোলে বাচ্চাটা দিয়ে তিনি টিকেট কেটে আসল।
.
যাক, কিছুক্ষণের মধ্য বাস চলে আসল। বাসে গিয়ে বসেই মনে হলো বিপদ মনে হয় পিছু ছাড়ে নি। আমার পাশের সিটেই বসলেন তিনি।
.
এর পরের স্মৃতিটা সত্যিই ভয়াবহ। আমার কোলে বসলে বাচ্চাটা কাঁদে না, কিন্তু তার মায়ের কোলে বসলেই শুরু হয় কাঁদার। অগত্য আমিই কোলে নিয়ে বসলাম। এর পর শুরু হলো ওনার ভাঙ্গা ক্যাসেট। চৌদ্দ মিনিটের মধ্যে তিনি চৌদ্দ গোষ্ঠীর বিবরণ দিলেন। ওনার নাম শিল্পী ভৌমিক। থাকেন আগ্রবাদ। স্বামী শুল্ক কমিশনার। একের পর এক কথার বাণ মেরেই যাচ্ছেন। আর আমিও মাঝেমধ্যে একটুআধটু মাথা নাড়ছি। এক পর্যায় শুরু হলো আর সিরিয়াল চারিতা।আমাকে বলছে," আমি বকুল কথা দেখি কি না? ওনার কাছে অবশ্য রিশিকেই ভালো লাগে। কিন্তু কুটনী বর্ষাকে তিনি মোটেও দেখতেই পারেন না। আবার "সাত ভাই চম্পা" তার সবচেয়ে ভালো লাগে। পারুলের সাথে সেনাপতি রাঘবকে নাকি ভালোই মানাবে। আর কত্ত হাবিজাবি। আমি মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছি। এই কোন বিপদে আল্লায় আমাকে ফেলল। আমি ভাবলাম," আমার কোলে বাচ্চাটা দিয়ে মহিলা ভালোই বকছেন।আমি ভাবলাম," মহিলাকে কাবু করতে হলে আমাকে উল্টা বকতে হবে। কিন্তু তাতে তাকে মোটেও নোয়ানো গেল না। এক পর্যায়ে আমাকে তার ভাই বানিয়ে ফেললেন। বাচ্চাটাকে বলতেছেন," মামার কোলে কেমন লাগছে?" আমিতো 'থ' খেয়ে গেলাম। মহিলা মনে হয় সহজে ছাড়বে না। কুমিল্লা যেতে আড়াই ঘন্টা লাগল। এই আড়াই ঘন্টা আমার কাছে আড়াই বছরের মত কাটল।
.
পদুয়ার বাজার নেমে আমাকে বলল," তোমার ফোন নাম্বারটা দাও, আর আমার বাসায় তোমার দাওয়াত। আমিও কিছু না বুঝে নাম্বার টা দিয়ে দিলাম। দেখি দিদি আমাকে দাওয়াত খাওয়ায় কি না?
.
তবে যাত্রা পথে মাঝেমধ্যে এমন কিছু পাবলিকের সাথে পরিচয় হয়, যাদের কিছুটা বিরক্ত লাগলেও ভালোই লাগে। সত্যিই সেলুকাস কী বিচিত্র বাঙ্গালী জাতি।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Raihan
User ৫ বছর পুর্বেRAJSHIAN
Guest ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেগল্পপ্রেমী
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেEva ahmed( ঘুমন্ত পরী)
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেমেঘমালা (Dream Girl)
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বে