বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বাংলাদেশ-মায়ানমার এর দূর্গম ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবস্থিত রহস্যঘেরা একটি গ্রাম ‘চিকনকালা’।
জিপিএস বলে যে, গ্রামটির অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭০০ ফুট উপরে। অপরুপ প্রকৃতির কোল ঘেষা এই গ্রামটিকে দেখলে মনে হয় পৃথিবীর বাইরের কোনো জায়গা- প্রযুক্তির সামান্যতম ছোঁয়া স্পর্শ করেনি এখানে বসবাসকরা ম্রো বা মুরং উপজাতির মানুষদের। গ্রামটিতে গেলেই মনে হবে, সভ্য দুনিয়া থেকে এক হাজার বছর পিছনে চলে এসেছেন আপনি।
গ্রামটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে সুবিশাল অরণ্য। যেখানে দিনে-দুপুরেই ভাল্লুকের ডাক শোনা যায়; দেখাও মেলে মাঝেমধ্যে। অনেকে তো সেখানে চিতা বাঘও দেখেছেন বলে দাবী করেন। তাছাড়া, দাঁতাল শূকর, ময়ূর এবং হরিণ তো অহরহ ব্যাপার।
তবে নৈসর্গিক সৌন্দর্য নয়, ‘চিকনকালা’ আশেপাশের মানুষের কাছে পরিচিত এক রহস্যময় আধিভৌতিক গ্রাম হিসেবে। চিকনকালা’র এলাকাবাসী এবং সেখানে যারা বেড়াতে গিয়েছিলেন তাদের ভাষ্যমতে, গ্রামটিতে প্রতি বছরই কোনো একদিন হঠাৎ বনের ভিতর থেকে বিচিত্র একটা আওয়াজ আসতে থাকে। আওয়াজটা অনেকগুলো ভারী মানুষ বা প্রাণীর ছুটে গেলে যেমন ধুপধাপ আওয়াজ হয়, খানিকটা সেরকম। আর এই আওয়াজটাই মূলত গ্রামবাসীর আতংকের কারণ। তাদের ধারণা, এই আওয়াজ কোনো সাধারণ প্রাণীর নয়; বরং কোনো অপদেবতা বা কোনো পিশাচের।
চিকনকালা’র গ্রামবাসীদের অধিকাংশই জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে বা শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই কাঠ কাটা হোক বা শিকার করা, তাদের দিনের অধিকাংশ সময়টাই কাটে জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে। তবে রহস্যময় সেই আওয়াজটা শোনামাত্রই বনের ভিতরে থাকা কাঠুরে বা শিকারীদল উর্ধ্বশ্বাসে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে বন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, প্রতি বছরই তাদের এক-দু’জন পিছনে রয়ে যান। তাদের আর কোনো দিন গ্রামে ফিরে আসা হয় না। ক’দিন পরে হয়তো জঙ্গলে তাদের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার চেয়েও অদ্ভুত ব্যাপারটা হল, তাদের সারা শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় না। শুধু চেহারায় থাকে ক্লান্তি আর ভয়ঙ্কর আতঙ্কের ছাপ। কিন্তু কি দেখে তারা ভয় পেয়েছেন, আর কিভাবেই বা তারা মারা গিয়েছেন, সেই রহস্য এখনও চিকনকালা’র লোকেরা বা সেখানে যারাই গিয়েছেন; তারা কেউই ভেদ করতে পারেননি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, চিকনকালা’র রহস্য উদঘাটনে রহস্যপ্রেমী পর্যটকেরা বেশ কয়েকবার অভিযানে নামলেও সেই অপদেবতা বা পিশাচের রহস্য রহস্যই থেকে গিয়েছে।
#wow_box
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
shahriar shafin
User ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেসাইনুল
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেshahriya rio
Golpobuzz ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেmd jahid mia
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেঅশরীরী
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বে