বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আজ আমার জিবনের প্রথম চাকুরি
ডিউটিতে আসলাম।
আমি প্রথম এস.আই হলাম ফড়িংডাংরা থানার। এখানকার প্রথম ডিউটি এসে
টেবিলে বসতেই কনস্টবল খাতার
মনে হলো বস্তা নিয়ে এল।
আমি বললাম এগুলো কিসের?
সে বলল স্যার এগুলো একজনারই।
এইযায়গার নাম করা মাস্তান।
নানান রকম চুরি সিন্তাই সহ অনেক।
আমার মনে হলো আমার বস এ.এস.পি তো বলেছে তোমার টার্গেট একটা পিূরন করতে পারলেই প্রোমোশন।
আমি বললাম চল দেখি তার বাড়ি থেকে ঘুরে আসি একবার।
সে বলল চলেন স্যার।
আমি মোটামুটি ৫ জনের একটা টিম নিয়ে
চললাম।
গিয়ে বাড়ির অবস্থা দেখে মনে হল
যে শালা এত গুলো খুন করে কি করেছে
গিয়ে বসলাম। তাকে বাসায় পাওয়া গেল না।
সে পলাতক। তার বাবা নাই। মায়েকে জিঙ্গেস করলাম। কই গেছে তিনি বলল জানি না বাবা কোথায় যে পড়ের আছে কে জানে। সেই মায়ের কথা শুনে আমার মনে হল তিনি কতটা কষ্টে আছে।
আপনাটর বউ কই...?
বেচারি মা বলল বাবা ওর কোন দোশ নাই।
এই বেচারি কি করবে।
আমি বললাম ঠিক আছে ডাক দেন।
একটা ছিড়া কাপড়ে বেরিয়ে এল।
আমি তো আবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম।
যে সেই মেয়েটি যাকে আমি ৮ বছর আগে
হারিয়েছি। যে মেয়েটি প্রতিদিন আমায়
ঘুম থেকে ডেকে দিত....
যাজে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতাম।
আর যে মেয়েটি একটা চাকুরি ওয়ালা ছেলেকে বিয়ে করবে বলে আমার ভালরো বাসাকে উপেক্ষা করে এই ছেলেটিকে বিয়ে
করেছে।
মেয়েটি বলল স্যার আমাকে এই জ্বালা থেকে মুক্তি দেন।
আমি বললাম তুমি সুমি না।
সুমি বল ল স্যার আপনি আমার নামও জনেন। এই নামে তো এখানে কেউ আমারে চনে না।
আমি বুঝতে পারলাম যে সে আমাকে চিনতে পারর নাই। তাই বললাম তোমার স্বামীকে নিয়ে থানায় একবার আসতে পারবে।
সুমি বলল স্যার সে তো আমার কথা শুনলে হয়। আমি বললাম ওকে নো প্রোবলেম।
সেদিনের মত বিদায় নিলাম।
এখন রাতে বাসা ফিরে আমার গ্রামের বন্ধু নাহিদকে ফোন দিলাম। ও বলল সুমির স্বামীর চাকুরি বিয়ার দুই বছরের মাথায়
চলেগিয়েছে। তার পর ওদের আর কোন খোজ খবর পাওয়া যায় নাই।
আমি বললাম ঠিক আছে।
ওহ আমার পরিচয় তো দেওয়া হয়নাই।
আমি সবুজ।
তার পরের দিন ছিম্পিল পোশাকে গেলাম সুমির বাসা। গিয়ে দেখি শালা সুমির স্বামী মদ গিলতেছে। গিয়ে বসার সাথে সাথে সে মদ অফার করল।
আমি ওকে বললাম তোমার সাথে কথা আছে....... ওকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বুঝালাম
সে কেন যেন আমার কাছে কেদে কেদে বলতে লাগলো আমাকে কেউ বোঝে না। সবাই আমাকে ঘৃন্না করে। আমি ভালো হতে চাই। সেদিন আমরা ডিনারটা সেরে নিলাম।
ওকে কিছু ভালো কাপর কিনে দিলাম। বাসার সবার জন্য কিনে দিলাম।
এবং তাদের কে বস্তি থেকে তুলে এনে আমার বাসার দুটা রুম দিলাম। তারপর ধিরে ধিরে সেই সুমির স্বামী সাগরের। মামলা
আস্তে আস্তে তুলে নিলাম।
আজ প্রায় তিনটি বছর ওদের সাথে কাটালাম। কোন রকম ঝামেলা আর হয় নি। তাই আজ আমার প্রোমোশন হয়েছে।
এই আনন্দে সাথে আমার বিয়ে খেতে সুমিরা আমার গ্রামের বাসা এসে সুমি আমাকে বলে
তুমি এতটাই খারাব তাও বুঝতে দাওনি তুমিই সেই সবুজ।
তবে সুমি আজ এগারো বছর পর বাবা মায়ের মুখ দেখতে পেল।
সাথে নিজের বোনের হবু বর হিসাবে নিজের
অকর্মঠ বয়ফ্রেন্ডকে।
history : jiboner golpo..
writer : mithun sarker..
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Raihan
User ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বেশাকিম ঊদ্দীন
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বে