বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
প্রথম চিত্র
একটি মেয়ে হেটে হেটে কলেজে যাচ্ছিল আর ফোনে প্রেমিকের সাথে কথা বলছিলো।
মেয়েটি বললো : তুমি কলেজে এসো। দুদিন ধরে তো তোমার সাথে দেখাই হয়নি। কলেজে অনুষ্ঠান আছে। আমি আজ সারাদিন তোমাকে নিয়ে ঘুরবো।
ছেলেটি বললো : কিন্তু আমিতো ওই কলেজের ছাত্র নই। তাছাড়া, আমি শুনেছি তোমার কলেজে ইউনিফর্ম ছাড়া ঢোকা যায়না।
মেয়েটি বললো : তোমার পাশের বাসার সবুজ ভাই তো আমাদের কলেজের ছাত্র, তুমি ওনার কাছ থেকে ইউনিফর্ম নিয়ে কলেজে আসো, বাকি সব আমি ম্যানেজ করবো। যদি তুমি আধঘণ্টার মধ্যে না আসো তাহলে আমি কলেজের দেয়ালে মাথা ফাটিয়ে ফেলবো।
দ্বিতীয় চিত্র
ডিগ্রির একজন ছাত্রী ক্লাস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে ফোনে বলছিলো,
"তুমি আমাকে যখন তখন ফোন করবেনা। আর আমি তোমার সাথে এখন কিছুতেই দেখা করতে পারবো না, প্লীজ বোঝার চেষ্টা করো। তুমি কাল দুপুর বারোটার পরে বাসায় এসো। কারণ, সেজানের আব্বু তখন বাসায় থাকবেনা।
মেয়েটির একজন শিক্ষক তখন পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন, মেয়েটি তাকে খেয়াল করেনি। কথাগুলো সবই তার কানে এলো। শিক্ষক মেয়েটিকে ডেকে বললেন, " মা, তুমি সেজানের আম্মু না? কাল সেজানের আব্বুকে আমার সাথে দেখা করতে বলবে। আমার তার সংে কিছু কথা বলার আছে।" মেয়েটি ভয়ে থতমত খেয়ে গেল।
পরদিন থেকে মেয়েটি আর কলেজের ত্রিসীমানায় যায়নি।
তৃতীয় চিত্র
কলেজের প্রথম দিনই নীলার একটি ছেলেকে ভালো লেগে যায় এবং পরবর্তীতে ছেলেটির সাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিককে উপহার দেয়ার জন্য নীলা টিফিনের টাকা, কলেজে যাওয়ার ভাড়ার টাকা জমিয়ে একটি শোপিস কিনে পরিচিত একটি স্টুডিওতে রেখে দেয়। ভালোবাসা দিবসের দিন প্রেমিককে কলেজের সামনে দাড় করিয়ে রেখে বললো, "তুমি পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করো, তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।"
পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট, বিশ মিনিট করে একঘণ্টা কেটে গেলো। নীলার ফেরার কোনো লক্ষন নেই। কারণ, বেচারি যে দোকানে উপহারটি রেখেছিল সেখানে গিয়ে সে দেখলো দোকানে তালা লাগানো। তাই লজ্জায় আর প্রেমিকের সামনে আসেনি।
চতুর্থ চিত্র
কামরুল একটি ধার্মিক পরিবারের মাদ্রাসার পড়া ছেলে। ছেলেটি খুবই ধার্মিক স্বভাবের, হুজুর টাইপের ছেলে। বেগানা মেয়েদের দিকে সে ফিরেও তাকায় না। নিজেকে সবসময় মেয়েদের থেকে দূরে রাখে বলে তার বাবা-মায়ের তার জন্য অহংকারের শেষ নেই। কিন্তু একদিন তার আসল রুপটা ধরা পড়ে গেলো। একদিন বিকেলবেলা কামরুল একটি মেয়ের হাতে হাত রেখে ঘুরছিল। হঠাৎ করেই সে তার বাবার সামনাসামনি পড়ে যায়। তার বাবা তাকে একটি মেয়ের সাথে এভাবে দেখতে পেয়ে অগ্নিমূর্তি ধারণ করলো। আর বাবাকে সামনে দেখে কামরুল পগারপার।
পঞ্চম চিত্র
"x" কলেজের একজন শিক্ষক খুবই স্মার্ট, তরুণ এবং সুদর্শন। তার একজন ছাত্রী তাকে খুবই পছন্দ করে, কিন্তু ওই শিক্ষক বুঝতে পেরেও পাত্তা দিতো না। কারণ, তিনি প্রেম, ভালোবাসা পছন্দ করেনা। আর ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাটা মোটেও পছন্দ করেননা। তার ধারণা, এই দিনটাতে ছেলেমেয়েরা বেহায়াপনায় লিপ্ত হয়। একবার ভালোবাসা দিবসে সেই মেয়েটি খুব সুন্দর একটি ফুলের তোড়া সেই শিক্ষকের হাতে দিয়ে আবার ফেরত নিয়ে বললো, "স্যরি স্যার, আমার মনেই ছিলোনা যে, আপনি এসব অপছন্দ করেন। তাই ফুলের তোড়াটা আপনার জন্য নয় বিধায় নিয়ে নিলাম।"
প্রতি বছর ভালোবাসা দিবসে শিক্ষকের ওই ঘটনাটা মনে পড়ে যায়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Suborna Akhter Zhumur
User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বেshahriya rio
Golpobuzz ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেsuborna akhter zhumur
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেshouvik
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেDristi Afroz
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেsuborna akhter zhumur
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেDristi Afroz
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেপারভেজ খান
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেsuborna akhter zhumur
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেপারভেজ খান
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেsuborna akhter zhumur
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেশাকিম ঊদ্দীন
User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বে