বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আচ্ছা বলো তো কে আমি?
হ্যাঁ আমি তোমার সেই দূরন্ত
খোকা তোমার শুভ্র। কেমন আছ মা?
জানি ভাল নেই। কি করেই বা ভাল
থাকবে তোমার শুভ্র যে তোমার
পাশে নেই।
জানো তোমাকে অনেকদিন
মা বলে ডাকি না।
তোমাকে মা বলতে ভীষন ইচ্ছে হয় মা।
আমি জানি এখন নিশ্চয় আমার জন্য
কাদঁছো। কাদঁবেই তো কারন তুমি যে মা।
বুকের পাজরে পাথর জমে গিয়েছে মা।
চোখের নোনাজল গুলো শুকিয়ে গিয়েছে।
পশু হয়ে গিয়েছি মা। মানুষ খুন করতে ও
আমার এখন হাত কাপে না। আমি এখন পাগল
হ্যাঁ পাগল। এদেশ কাদঁছে মা আর
বলছে একটু শান্তি দাও আমায়। এই মায়ের
ডাক অমান্য করতে পারি নি। তাই এই
মায়ের পাশে এসে দাড়াঁলাম। নাম
লিখালাম মুক্তি সেনার দলে।
রোজ কতই না নালিশ আসত তোমার নিকট
তোমার এই দুষ্টু ছেলেটির জন্য। আজ হয়ত
তুমি একটু রেহাই পেয়েছো।
জানি চিঠিটি পড়ে তোমার চোখের জল
মাটিতে ঝড়ে ঝড়ে পড়বে।
বাবার লাশ যখন ঝিলের পাশে পরিতিক্ত
অবস্হায় দেখতে পাই মনে হয়েছিল আমার
পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে।
আমি তখন একটু ও কাদিঁ নি। শুধু তোমার
দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তোমার
আর্তনাদে আমার বুকের একপাশে যেমন
ব্যাথা অনুভব করেছি অন্য পাশে আগুনের
শিখা দাউ দাউ করে জ্বলেছিল। আমার
জগত্ থমকে গিয়েছিল যখন তোমার নাকফুল
তুমি খুলে ফেলেছিলে। খুব কষ্ট
পেয়েছি মা খুব কষ্ট।
আমার আদরের পাগলিটা নিশ্চয় অনেক বড়
হয়েছে। পাগলিটার চুমু অনেক দিন এই
কপালে জুটে নি। এই পাগলি তোর
মুখে মিষ্টি করে ভাইয়া ভাইয়া ডাকটা এখনো স্পষ্ট
করে কানে বাজে। কেমন আছিস?
ভাইয়াকে কি ভূলে গেছিস? দেখ ভাইয়ার
জন্য একদুম কাদঁবি না। মা আর তোর জন্য
একটা জিনিস আনব। জানিস এই
জিনিসটা হলো লাল সবুজের পতাকা।
আচ্ছা জানো মা আমি একটা মা পেয়েছি সেই
মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমোই।
হিংসে হচ্ছে তোমার তাই না? তোমার
বুকে মাথা না রেখে অন্য এক মায়ের
বুকে মাথা রেখে ঘুমোই বলে?
আচ্ছা পরিচয় করিয়ে দেই
তোমাকে যে মায়ের
বুকে মাথা রেখে ঘুমোই
সে মা হলো মাটি। এই মাটিতে যখন
মাথা রেখে ঘুমোই তখন মনে হয় তোমার
বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছি। তারপর ও
ঘুমাতে পারি না। কারন মাটির বুকে যখন
মাথা রাখি তখন মনে হয় মাটি কাদঁছে।
আর মাটি কাদঁছে মানে তুমি কাদঁছো। আর
তুমি কাদঁলে কি করে আমার চোখে ঘুম
আসে মা? আমি যে এখন রাত জাগা পাখি।
জানি তোমার আখিঁতে প্রতিনিয়ত অশ্রু
ঝড়ায় আমার জন্য।
যেদিন তোমার পায়ে সালাম
করে মুক্তি সেনাই যাচ্ছিলাম সেদিন
তোমার চোখে এক ফোটাও অশ্রু দেখেনি।
জানি ওই দিন তুমি কেন
কান্না করো নি কারন আমি ভয় পাব বলে।
তুমি বলেছিলে এই শুভ্র
পারবি তো আমাকে একটি সোনার দেশ
উপহার দিতে? আমি তখন কিছুই বলে নি।
শুধু বলেছিলাম দোয়া করো মা।
তবে আজ বলছি মা তোমার ছেলে বিজয়ের
পতাকা না নিয়ে ঘরে ফিরবে না।
জানো মা আজ ভোর বেলায়
একটা অপারেশন করেছি। অপারেশনের
নাম ছিল হুংকার ৭১ ।
প্রত্যেকটা অপারেশনের একটা নাম আছে।
তুমি এসব বুঝবে না আর না বুঝারি কথা।
জানো মা আমি তিনটা নরপিশাচকে নিজ
হাতে হত্যা করেছি আজ।
এভাবে কতজনকে হত্যা করেছি তার
হিসেব নেই। আমার মাথায় শুধু একটাই
চিন্তা তোমায় সোনার দেশ উপহার দিব।
আজকে অপারেশনের দলের অধিনায়ক
গুলিবিদ্ধ হয়ছে। মনে হয় না উনি আর
বাচঁবে। মরনের সাথে লড়াই করছে। আর
বার বার মা বলে ডাকছে।
আচ্ছা মা আমরা যখন আঘাত পাই তখন
ওমা করে বলে উঠি। এটা কেন
করি তুমি জানো? আমার খুব
জানতে ইচ্ছে হয়।
আজ রাতে ও একটা অপারেশন আছে। এই
অপারেশনের দায়িত্ব পড়েছে আমার উপর
যেহেতু দলের অধিনায়ক মরনের
সাথে পাঞ্জা লড়ছে। একটা ব্রিজ
উড়িয়ে দিতে হবে এবং ওই নরপিশাচদের
সাথে মোকাবেলা করতে হবে।
আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা ২৮ জন ছিল।
কমতে কমতে ১৫ তে নেমে এসেছে।
বুঝতেই পারছো মা। কখন যে এই দল
থেকে আমি বাদ পড়ব মানে মারা যাব
তা বলতে পারব না। আমি এখন ম্ ত্যুকে ভয়
পাই না মরন আমায় ভয় পায়।
তুমি চিন্তা করো না মা তোমার এক
ছেলে না পারলে তোমার শত শত
ছেলে তোমাকে সোনার দেশ উপহার
দিবে। তোমার মুখে হাসির প্রদীপ
জ্বালাবে। তোমার গলায় বিজয়ের
মালা পড়িয়ে দিবে। সেই মালায় রক্ত
মিশ্রিত থাকবে। স্বাধীন দেশের লাল
সূর্যে গাথা মালা।
ও হ্যাঁ মেঘলা কেমন আছে মা? মেয়েটা খুব
ভালোবাসে আমায়। কি কান্নাই করেছিল
যেদিন মুক্তি সেনাই যোগ
দিতে যাচ্ছিলাম। আমাকে তো যেতেই
দিচ্ছিলো না।
আমাকে ঝড়িয়ে ধরে বলেছিল যেও
না শুভ্র। আর তার চোখে ব্ষ্টির অশ্রু
ঝড়েছিল। আমি শুধু ওর
কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলেছিলাম
আমার মাকে দেখে রেখো। আর
বলেছিলাম অপেক্ষা করো আমি এসেই
তোমাকে আমার ঘরে তুলব। সংসার
সাজাঁবো তোমায় নিয়ে। ভালোবাসি বড়
ভালোবাসি তোমায়।
মা তুমি যখন এই চিঠি পড়বে তখন নিশ্চয়
ফুফিযে ফুফিয়ে কাদঁবে আমি জানি আর
জানবোই তো কারন আমি যে তোমার
ছেলে। দেখো মা তুমি কিন্তু কাদঁবে না।
তোমার চোখের সমুদ্রে অনেক নোনাজল।
সেই সমুদ্রের জল আমার জন্য একটু
জমা করে রেখো। আমি ও
যে কাদঁতে চাই।
তুমি একা একা কেদেঁ শেষ করে দিও না।
এই নয় মাস যে আমি কাদিঁ নি।
সব
কথা চিঠিতে বললে তোমাকে এসে কি বলব?
আমি যে তোমাকে আমার যুদ্ধের গল্প
শুনাব মা। তুমি আমার মাথায় হাত
বুলিয়ে দিবে। আমাকে তোমার
হাতে খাইয়ে দিবে। বহু দিন যে তোমার
হাতে খাই নি মা। যুদ্ধের
প্রশ্তুতি নিতে হবে কিছুক্ষন পর।
আমি এসে তোমায় সব কিছু বলব।
চারিদিকে বিজয়ের পতাকা উড়ছে।
গগনে পাখি গুলো দীর্ঘ শ্বাস
নিয়ে ডানা মেলে উড়ছে। দুরে আযানের
প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আর ছোট
বাচ্চাটি ও বলছে জয় বাংলা।
শুভ্র তার কথা ঠিকি রেখেছে তার মা আর
বোনের জন্য লাল সবুজের
পতাকা নিয়ে এসেছে। তার মায়ের জন্য
সোনার দেশ উপহার
নিয়ে এসেছে তবে জীবিত হয়ে নয় লাশ
হয়ে।
আর মেঘলা ও রেহাই পাইনি ওই হিংস্র
জানোয়ারদের কাছ থেকে। তবু বেচেঁ ছিল
শুভ্রের জন্য। কারন
মেঘলা শুভ্রকে কথা দিয়েছিল
সে অপেক্ষা করবে। সংসার
সাজাঁবে দুজন।
আজ যখন শুভ্র নেই মনে হয় কোন একদিন
মেঘলার দেখা মিলবে কোন এক
গাছে ঝুলন্ত অবস্হায়।
রক্তাত্ব চিঠি হাতে নিয়ে শুভ্রের
মা আজ বাকরুদ্ধ।
..........সংগ্রহীত
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
M.H.H.Roni
Golpobuzz ৪ বছর, ৩ মাস পুর্বেIshika ishu
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেRehnuma Ahmed
Golpobuzz ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেshahriya rio
Golpobuzz ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেArittro
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বে