বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কুয়া

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান kamran (০ পয়েন্ট)

X আমাদের উপজেলার নাম করা সুন্দর জায়গা আর রহস্যতে ভরা কাঁসার খাঁ নামক পুকুরের ঘটনা।যা নেট সারচ দিলে জানতে পারবেন।আমি সেই পুকুরের গল্প টা নিজের ভাষা তে বলছি।। আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে বর্তমান কাঁসার খাঁ পুকুরের জায়গা টা ছিল রাজা কাঁসার খাঁর প্রাসাদ। তিনি ছিলেন খুব প্রজাবৎসল এক রাজা।তিনি তার সম্পদের বেশির ভাগই প্রজাদের কল্যানে ব্যয় করতেন।সবাই তাকে খুব ভালবাসত।সেই রাজা এক ভিখারিনীরর কন্যা আম্বিয়া কে বিয়ে করেছিলেন।আনিন্দ্য সুন্দরি কন্যা টিকে সকল ছেলে দের কু নজর থেকে বাচানর জন্য ভিখারিনী রাজার কাছে সাহায্য চাইলে রাজা আম্বিয়া কে বিয়ে করেছিলেন।ঘটনারর শুরু এরপর থেকেই।রানি আম্বিয়াওও রাজাকে প্রান দিয়ে ভালবাসতেন।রানি রাজাকে বলে প্রাসাদের পাশে বিরাট এক পুকুর খনন করান।আর রাজার নাম অনুসারে নাম রাখেন কাঁসার খাঁ। তিনি রোজ বিকালে পুকুর পারে এসে বসতেন।তো ভালো রাজা বলে রাজার অনেক শত্রু ছিল।যারা নাকি তার বিনাশ চাইতো। একদিন সুজুগ বুঝে তারা অন্য রাজার প্রাসাদ থেকে ফেরার পথে তারা আক্রমণ করে রাজা কে মেরে ফেলে।ওই দিকে রানি তখন প্রাসাদে একা বসে ছিলেন।তার এক টা পাথর ছিল।যেটা জিবিত ছিল তিনি এটা কে নিজের সন্তানের মতন ভাল বাসতেন।পাথর টা দুধ দিলে তা শুষে খেয়ে নিত।এখনও ওই পাথর টা আছে। সেটা পরে বলছি।তো অই লোক গুলি রাজাকে মেরে রাতের আধারে প্রাসাদ আক্রমণ করলো লুট করার জন্য।সেদিন কাজের মেয়ে টা প্রাসাদে ছিল না আর রাজা বেচে নেই শুনে প্রহরী রাও লুট পাট শুরু করল।অসহায় রানি তখন আর কি করেন।নিজেকে বাচাতে এক বুদ্ধি আটলেন। তিনক বললেন আপ্নারা বসুন খানা পিনা করুন আমি গোসল করে নতুন কাপড় পরে বউয়ের সাজে আসছি।এরপর আপনাদের মধ্য থেকে একজন কে আমি বিয়ে করব।তখন তারা রাজি হল।আর বসে খুশি মনে খানা পিনা করতে লাগল।ওই দিকে আম্বিয়া তার সমস্ত গহনা কাপড় বড় বড় পিতলের বাসন গুলি নিয়ে পুকুর পাড়ে আসল।সেখানে দারিয়ে সে পাথর টাকে বলল হে পাথর এতদিন তোকে আমি সন্তান স্নেহে লালন করেছি।এখন তুই আমাকে ওই পিশাচ দের হাত থেকে বাচা।আমাকে তোর মাঝে আশ্রয় দে।বলে তিনি পাথর দিয়ে পুকুর পারে আঘাত করল।দেখতে দেখতে পাথর ফেটে কুয়া হল আর সব জিনিস এক এক করে কুয়ার ভিতর ফেলে রানি নিজেও তাতে ঝাপিয়ে পরলেন।সাথে সাথে ওই পাথর টা কুয়ার মুখ বন্ধ করে দিল।খালি বাহিরে বের হয়ে ছিল কিছু চুল।বেশ কিছু টা সময় পাড় হওয়ার পরেও যখন রানি ফিরল না তখন ওই লোক গুলি তাকে খুঁজতে খুঁজতে পুকুর পাড়ে আসল।এসে দেখে পুকুর পারে এক বিশাল কুয়া আর তার মুখ পাথর দিয়ে আটকানো। তাদের আর বুঝতে বাকি রইল না যেঁ ঘটনা কি হইছে।কথিত আছে।এরপর ওই পাথর সরানোর জন্য দুই টা হাতি আনা হইছিল।হাতির শুর দিয়ে টেনেও অই পাথর সরানো যায় নি। পরে রাগে ওই লোক গুলি প্রাসাদ পুড়িয়ে ভেঙে গুরিয়ে দেয়।।এরপর থেকেই শুরু আসল কাহিনি।এই ঘটনার কিছু দিন পরে এক অসহায় বুড়ি আসে রাজবাড়ি তে।তার নাত্নির বিয়ের জন্য কিছু বাসন ধার করতে।গিয়ে দেখে কোথায় কি?? সব শুন্য।এটা দেখে সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে যায়। পরদিন রাতে সে স্বপ্ন দেখে যে রানি তাকে বলছে কুয়ার কাছে যেতে আর যা যা দরকার তা নিয়ে যেতে। কিন্তু কাজ শেষ করার পর ফেরত দিয়ে যেতে বলে।পর দিন উনি এসে সত্যি কিছু বাসন পান কুয়ার পাড়ে আর তা নিয়ে যান নাত্নির বিয়ের পরে আবার ফেরত দিয়ে যান। কথা টা চার দিকে ছড়িয়ে পরে।সবাই ভাবে যে আম্বিয়া কুয়াতেই আছে আর সে জিবিত।এরপর যারই বিপদ হত সেই কুয়ার পারে একা গিয়ে সাহায্য চাইত।আর রাতে স্বপ্নে দেখত,পরদিন কুয়ার পারে সেটা পেত।কিন্তু তা ফেরত দিয়ে দিতে হত কিন্তু মানুষ খুব লোভি তাই একদিন এক লোক তার মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু গয়না চাইতে এল আর পরদিন সে গয়না পেলোও কিন্তু লোভের জন্য সে আর তা ফেরত দেয় নি ।কিছুদিন পরেই নাকে মুখে রক্ত উঠে সে মারা গেছে।এরপর থেকে কেও আর সেই পুকুরের কাছে গিয়ে আল্লাহর দোহাই দিয়েও কোনো সাহায্য পেত না।এখন সেই রাজ বাড়ি নেই।আছে শুধু সেই ঘটনার স্বাক্ষি সরুপ কাঁসার খাঁ পুকুর টি আর সেই পাথর টি। আর মাঝে মাজে সেই পুকুরে নাকি ভেসে বেড়াতে দেখা যায় এক নৌকা তাতে বসে থাকে সুন্দরি এক রমণী আর কুচকুচে কালো এক পাথর।ওখান কার স্থানীয় অনেকেই দেখেছে বলে দাবি করে এটা। সেই সুন্দর জায়গা দেখতে অনেকই আসে হালুয়াঘাটে।শুনে যায় লোক মুখে কাঁসার খাঁ ও আম্বিয়ার কাহিনী। আর ওই পাথর টি এখন আছে।যার রঙ কুচকুচে কালো। হিন্দুরা এতে মানত করে দুধ দিয়ে পুজা করে কথিত আছে যেঁ যা দিয়ে মানত করে সে সব দিয়ে মানত পুরন করলে নাকি তা ফলে যায়।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৩১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ কুয়াকাটা ভ্রমণ
→ জিজেসদের সাথে কুয়াকাটা ভ্রমন।
→ কার্তিকের কুয়াশায়
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(শেষ পর্ব)
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(পর্ব৬)
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(পর্ব৫)
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(পর্ব৪)
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(পর্ব৩)
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(পর্ব২)
→ সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ(পর্ব১)
→ একদিন এক কৃষকের গাধা গভীর কুয়ায় পড়ে গেল
→ কুয়াশা
→ কুয়াশার ভূতের গল্প: ভয়ংকর এক লাশের কাহিনী
→ আদনীন কুয়াশা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • nsima
    User ৬ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    nice

  • TAHAMID ADNAN
    User ৬ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    ????????????