বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা-২

"ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মুহাম্মদ আজিজুর রহমান (০ পয়েন্ট)

X আমি বাসায় নিজের স্কুলের পড়া পড়তেছিলাম। এমন সময় আমি একটু পড়া থেকে উঠে আমার ঘরের বারান্দ্রায় গিয়ে যখন দাড়ালাম আমার চোখ তো একদম ছানাবড়া হয়ে গেল,আমি দেখলাম আমার মতো কেউ নিচের ফুলের টবে পানি দিচ্ছে, যখন আমি তার চেহারা দেখলাম আমার চোখতো একদম চড়া গাছ হয়ে গেল আমার চোখে তো বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না। আমি দেখলাম যে,আমি টবে পানি দিচ্ছি কিন্তু আমি তো উপরে নিজের ঘরে তাহলে নিচে ফুলের টবে পানি দিচ্ছে কে? তৎক্ষণাৎ আম্মু নিচের আমাকে অর্থাৎ যে টবে পানি দিচ্চিল। নিচের ঐ আমাকে দেখে বলে উঠল কিরে হাবলু তুই পড়ার টেবিলে পড়ালেখা ছেড়ে তুই এখানে ফুলের টবে পানি দিচ্ছিস তখন সে দৌড়ে পালালো। তখন আম্মু আমার রুমের দিকে আসছিল আর বকুনি দিয়ে বলল আর যদি পড়ার সময় তুই পড়ার টেবিল ছেড়ে আর কখনো ঘর থেকে বেরিয়ে গেছিস তো তাহলে তর কিন্তু খবর আছে বলে দিলাম,আম্মুকে আমি বললাম যে,ওটা আমি ছিলাম না ওটা অন্য কেউ ছিল,যার চেহারা একদম আমার মতো দেখতে। তখন তিনি আমাকে কান মলা দিয়ে বললেন যে,আমাকে কি গাদা পেয়েছিস নাকি? যে, আমি তর আজে-বাজে কথা মেনে নিব, নিচে তুই না থাকলে কি তর ভূত ছিল নাকি? আমি মনে মনে বলতে লাগলাম যে,ভূতই তো ছিল। মা চলে যাওয়ার পর ওটাকে দোষতে লাগলাম যে,ঐ বেটার জন্য আমাকে শুধু শুধু অযথা বকা খেতে হল। এই দিনতো আমার এই কথা ভাবতে ভাবতে দিন গেল যে কে ছিল সে? ভূত নাকি কোন ভিনগ্রহের এলিয়েন? সেদিন আর পড়াতেই তো আর কিছুেতই মন লাগাতে পারছিমলাম না। আর একটা কথা বলাই হয়নি যে, আমরা এই বাড়িতে যখন থাকাতে লাগলাম তখন থেকেই কেউ ভূতুরে বাড়ি বলে কেউ আমাদের বাড়িতে আসতে চাইতো না, আমাদেরকে পাড়ার সবাই এড়িয়ে এড়িয়ে চলতে লাগল। এমনকি আমাদের মামা-মামি,ফুফা-ফুফি, চাচা-চাচি যখন জানতে পারল যে, এটা ভূতুরে বাড়ি তখন থেকে কেউ এই বাড়িতে আসতে চাইতো না। মাঝে-মধ্যে কেউ কোন অনুষ্টানের দাওয়াত দিতে আসলেও আধা ঘন্টার বেশি থাকত না, দাওয়াতের কার্ড দিয়েই চলে যেত। তবে তারপরও আমরা এই বাড়িতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগলাম। কারণ এখানে কোন প্রতিবেশিদের আসা-যাওয়ার কোন ঝামেলা ছিল না, আম্মুকে বার বার তাদের আপ্পায়্যান করার জন্য আম্মুর কোন ঝামেলা হতো না। একদিন আমাদের বাড়িতে নানী এসেছিলেন, আসার পথে নাকি তাকে অনেক ভুগতে হয়েছিল।কোন রিকশাওয়ালা সন্ধার পর এই দিকে আসতে চাচ্ছিল না,এক রিকশাওয়ালাকে বেশি টাকা দেওয়ার পর এই রাস্তা দিয়ে আসছিল কিন্তু বাড়ি থেকে একটু দূরে নামিয়ে দিয়ে বলল- আমি আর যেতে পারব না কারন সামনে ঐ ভূতুরে বাড়ি আমি এর বেশি আর এগোতে পারব না। তখন নানীকে রিকশা থেকে নেমে এই একটু দূরের রাস্তা পায়ে হেঁটে আমাদের বাড়িতে আসলেন। আর বাড়িতে এসেই আমার আব্বুকে বকুনি দিয়ে বললেন-জামাই তুমি আর বাড়ি খুঁজে পেলে না শেষ পর্যন্ত তুমি এই ভূতুরে বাড়িটায় পেলে। বাবার মুখে কোন আওয়াজ বের হলো না, অন্যদিকে মা নানীকে বললেন- মা তুমি এতদূর পায়ে হেঁটে হেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে নাও, সেসময় লোডশেডিং হয়ে গেল, এর ফলে পুরো ঘর অন্ধকার হয়ে গেল, ঘরটাকে যেন একটা ভূতরে বাড়ির মতো লাগছিল। মা তার মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জালিয়ে নানীকে উপরের ঘরে নিয়ে যেতে লাগলেন আর বাবা ততক্ষণে কয়েকটা মোমবাতি জ্বালিয়ে বাড়ির উপরে ও নিচে কয়েকটা জায়গায় মোমবাতিগুলো বসিয়ে দিলন, মোমবাতির আলোতে মেঁঝেতে সবার ছায়া দেখা যাচ্ছিল। মোমবাতির আলোর কারণে সিড়ির মেঁঝেতে মা ও নানীর ছায়া দেখা যাচ্ছিল। তখন তাদের ছায়া দিকে তাকাতেই আমার চোখতো একদম চড়াগাছ হয়ে গেল আমি আমার চোখেই তো বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না। আমি দেখলাম যে, সিড়ির মেঁঝেতে(চলবে)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮৭০ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • শাকিম ঊদ্দীন
    User ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    অসাধারণ....!

  • মুহাম্মদ আজিজুর রহমান
    User ৬ বছর, ৫ মাস পুর্বে
    আপনাকেও ধন্যবাদ।

  • Sami
    Guest ৬ বছর, ৫ মাস পুর্বে
    খুব ভালো