বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
.
.
.
সকাল বেলা দোকানে বসে ক্যারম খেলতেছি,এই সময় পারভেজ ভাইয়ের বন্ধু রিফাত ফোন করে জানালো তার গফের বিয়ে,পালাতে হবে যে করেই হোক।
_ওদের পালানোর ব্যবস্থা করে দিলেও,আমাদের কিন্তু বিয়েটা মিস দেওয়া যাবো না… (পারভেজ ভাই )
_হু ভাই।অনেকদিন এলাকায় কারোও বিয়ে-শাদী হয়্না,আনন্দ ফুরতি,নাচানাচি করতে পারি না।(আমি)
_ধুর বেটা!তুই আছোস ফুরতি নিয়া...আজকে সেই লেভেলের একটা খাওয়াও হবো।
ক্যামেরাটা নিয়া ২টার সময় রেডি থাকিস।(পারভেজ ভাই)
.
.
.
ঘড়িতে এখন ২.১০ বাজে।পারভেজ ভাইয়ের কোন খবর নাই। ফোনও ধরতেছে না।
অহ! ঐ তো আসতেছে,পারভেজ ভাই আর রিফাত।বাইক নিয়ে আসছে আজকে দুইজনেই,
কাহিনী তো কিছুই বুঝতেছি না।
আমার সামনে এসে থামতেই কোন কথা না বলে বাইকের পিছনে চেপে বসলাম।
_ক্যামেরার ব্যাটারি ফুল চার্জ দেওয়া আছে তো,রুহিত?(পারভেজ ভাই)
_হু ভাই।(আমি)
_ওকে।(পারভেজ ভাই)
_কিন্তু...(আমি)
_কি??(পারভেজ ভাই)
_তোমার কার্যকলাপ তো আমি কিছুই বুঝতেছিনা।(আমি)
_বিয়ে খাওয়াইতে নিয়াসছি,বিয়ে খাবি।তোর এতকিছু বুঝা লাগবোনা।(আমি)
আমি নিশ্চুপ হয়ে পিছনে বসে থাকলাম,পারভেজ ভাইয়ের মুখের উপরে কথা বললে আবার ক্ষেপে যাবো।
।
আধা-ঘন্টার রাস্তা শেষ করে গন্তব্যে পৌছালাম।
বিয়ে বাড়ি দেখেই বুঝা যাচ্ছে।রাস্তার অনেক দূর পর্যন্ত লাইটিং করা,যদিও এখন দিনের বেলা লাইট জ্বলছে না।গেটও দেখতেছি অনেক বড়।
পারভেজ ভাই গেটের সামনেই বাইক রাখলো।সচরাচর বাইকের ঘাড় লক করে,পিছনের চাকায় তালা লাগায়,আর বিশেষ ধরনের শিকল দিয়ে সামনের চাকা বেঁধে রাখে; যা দেখতে খুবই উদ্ভট।
কিন্তু আজকে কিছুই করলোনা দেখছি!
হয়তো বিয়ে বাড়ি বলে,,,
.
.
.
রিফাত বাইক নিয়ে পেছনের দিকে চলে গেলো...
ভিতরে ডুকে পরিচয় দিলো; সে এই বিয়ের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার,আর আমি তার সেক্রেটারী।
[শালার আমার ডিএসএলার নিয়া আমারেই সেক্রেটারী বানিয়ে দিলো!]
মেজাজ এখন চরমে,
পিছনে তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধু মেহেদীও আসছে বিয়ের দাওয়াতে।
আমি আর মেহেদী একপাশে বসে গল্প করতেছি,হঠাত পারভেজ ভাইয়ের উপর চোখ পড়লো...
উনি মেয়েদের ছবি তুলে যাচ্ছেন।ছেলেদের ছবি তুললেও খুব কম,শুধু মেয়েদের গ্রুপ ফটো অথবা সিঙ্গেল পিকচার।
ভিতর থেকে হঠাত খবর আসলো বরপক্ষ এখানে পৌঁছাতে রাত হবে।এদিকে দুপুরের দাওয়াতে আসা এলাকার লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো এলাকার লোকদের দুপুরেই খাইয়ে দেয়া হবে।
.
.
পারভেজ ভাই আমাকে নিয়ে একপাশে চিপায় থাকা এক টেবিলে বসলো।
_এলাকার লোকের তো খাওয়ার পরে টাকা, নয়তো উপহার দিবে,,আমরা কি দিমু??(আমি)
_আমদের কিছু দেওয়া লাগবোনা।(পারভেজ ভাই)
_যদি ধরা পইরা যাই??(আমি)
_বাবার টাকার বান্ডিলে একটা ৫০০ টাকার নোট নকল বের হইছে,ঐটা তো কাওকে দিলেও নিবো না,দোকানেও চলবো না,ধরা পড়লে ঐটা নাহয় এইখানেই চালায়ে দিমু;ব্যাকআপ হিসেবে।(পারভেজ ভাই)
_রিফাতের ব্যবস্থা কি করলা?(আমি)
_সিস্টেম হয়ে গেছে।ঐটা নিয়া তোর চিন্তা না করলেও চলবো।(পারভেজ ভাই)
_ভাই, , ,তুমি তো দেখতেছি পুরা মাস্টারমাইন্ড!(আমি)
_আরেহ...আমাকে দেখেই তো তোরা শিখবি।(পারভেজ ভাই)
খাবার দিয়ে গেছে আমাদের টেবিলে।এখানে বসা সবাই মাংস দিয়ে পোলাও খাচ্ছে,আর পারভেজ ভাই পোলাও দিয়ে মাঙ্গস খাচ্ছে।তার প্লেটের একপাশে সামান্য কিছু পোলাও,আর সম্পূর্ণ প্লেটে শুধু মাংস।
আমার খাওয়া শেষ না হতেই হাতটা ধরে একপ্রকার টান্তে টানতেই বেসিনে নিয়ে আসলো।
_হই মিয়া,কি হইসে,আমারে এইভাবে তুইলা আনলা ক্যান??(আমি)
_এখন আর এক মূহুর্তও এখানে থাকা যাবোনা।থাকলেই ধরা।(পারভেজ ভাই)
।
হাত ধুয়ে গেটে আসার সময় এক মেয়ে জিগাইতেছে,“ছবিগুলা কখন পাওয়া যাবে ভাইয়া?”
_এই যে যাইতেছি ওয়াশ করে আনতে।(পারভেজ ভাই)
পারভেজ ভাই বাইকে উঠে আমাকে ইশারা দিতেই উঠে পড়লাম।বড় ভাই জোরে জোরে এক্সিলেটোর চাপতেছে,মনে হইতেছে মোচড়াইতে মোচড়াইতে খুলেই ফেলবে আজকে।
আধা-ঘণ্টার পথ ১৫ মিনিটেই এসে পৌঁছালাম।বাসার সামনের রাস্তায় আসতেই বাইক থামালো।
নেমে পড়ার আগে পারভেজ ভাই বলে দিল, “মেয়েগুলার ছবি ডিলিট করে দিস।নাহলে আবার তোর আম্মা দেখলে উল্টাপাল্টা ভেবে নিবো।”
শেষ কথাটার মানে খুজতে খুজতে বাসায় চলে আসলাম।
.
.
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Bll
Guest ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বেতামিম
User ৬ বছর, ৫ মাস পুর্বে