বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
রোদ্রী-ওই!এতো দেরি করলি কেন?
মেঘ-শীতের সকালে তোর জন্য ৫টায় উঠে, ফুল কুড়িয়ে নিয়ে আসি যত্ন করে..
তার মাঝে ১০ মিনিট দেড়ি হলেই এতো কথা শুনাস?
রোদ্রী-তো আসিস কেন?
আমি তোকে কখনও বলেছি আসতে।
যাহ্ ভাগ!
মেঘ-এতো তাড়াহুড়ো করে,এতো কষ্ট নিয়ে ফুলগুলো কুড়িয়ে আনি।
তাও এতো অবহেলা করিস আমায়!
থাক হয়েছে,১০ মি. দেরিতে আসলে- কতো অভিমান জড়ো হয় তোর চাহনিতে;
আবার আসছে আমায় না আসতে বলার মানুষ।
যদি না চাস তাহলে কিন্তু কাল থেকে সত্যি আর আসবো নাহ..
-ওই,আমি না তোর আবুঝ প্রজাপতি।এমনটি বলেনা।
তুই যদি এই ভোর-সকালে না আসিস তাহলে সারাটাদিন যে,
আমার খুব কষ্টে কাটে।
সেটা জেনেও এমনটি বলিস কেন?
-তো বলবো না তো কি করবো, হ্যাঁ!শতকষ্টে; শীতে সকালে ফজরের নামাজ পড়ে,
তোর জন্য একটা-একটা করে মসজিদের পাশের শিউলি গাছ থেকে ফুল কুড়িয়ে আনি আর তুই আমাকে এতো কথা শোনাস!
-এই যে,এতো কথা না বলে আমার ফুলগুলো এদিকে দে তো।
নেতিয়ে যাবে তো...এদিকে দে আমার হাতে...
:
-হু হা হা..কী কী "নেতিয়ে যাবে" কি কি বললি??
what a word! নতুন শব্দ অ্যাড হলো নাকি আজকে বাংলা ভাষায়?
আরে অবুঝ মেয়েরে,ফুল শুকিয়ে যায় "নেতানো" কি রে...
বোকারাম ছাগলী!!
-হুম ভালো।হাত দুটো এদিকে দে,ফুলগুলো তর হাতের মুষ্টিবদ্ধতায় নুড়িয়ে যাবেতো।
-না নাহ!তোকে আজ আমি নেতানো ফুলগুলো দিবো তোকে হে হে..
-ধুর ছাই..!!
একটা কথা নিয়ে আজীবন পরে থাকবি তুই!
নিবোই নাহ তোর ফুলগুলো,তুই ব্রেকফাস্ট এ খাইস আজ।
-ওই..অবুঝ পাগলীটা দুষ্টামি করলাম তো আমি।
এই নে তোর নেতানো শিউলি ফুলগুলো..
-হাত থেকে মাটিতে রাখিসনা,ধুলো লাগবেতো।
তোর হাতেই রাখ,শিউলি ফুলগুলোর সাথে তোর হাতের শুভ্রতারও গ্রানটাও থাকবে।
-নে;এই যে আমার হাত ভরতি ফুল সব তোর..
-আচ্ছা,তোর হাতে করে আনা ফুলগুলোর সুভাস এতো মিষ্টি কেনো রে?
-ফুলোগুলো নিয়ে আসার সময় একচামুচ চিনি মিশিয়ে আনি তাই..
-না তো!জানিস এতো মিষ্টি কেন?
এই ফুলগুলোতে তো,( আমার জন্য বিধাতার কাছে প্রাথনাময়ী)তোর হাত দুটো স্পর্শ সাথে সাথে আমার জন্য ভালোবাসাও থাকে তাই।
-হয়তোবা,এইগুলো আমার জন্য এক একটা মুক্ত শ্বাসরে।
-ধুর বোকা তোর মুক্ত শ্বাস নাহ, আমার জন্য মুক্ত শ্বাস..
-হ্যাঁ জানিতো,কিন্তু আমার আর তোর হৃদস্পণ্দন আলাদা নয়।
-হুম,আমার #মৃত_দেহের আপ্সরিক আত্না তো তোর মাঝেই বন্দি।
-জানিস তোর সাথে প্রত্যহ এইখানে এসে, তোর #কবরের পাশে বসে কথা বলি
দেখে সবাই বলে "আমি নাকি মানুসিক রোগী।"
একা একাই নাকি বকবক করি!
-তুই তাদের কিছু বলিস নাহ??
-কি আর উত্তর দিবো?
ঐ গুলোতো মানুষরূপি জড়বস্তু..
তোর আর আমার বড্ড ভালোলাগার খুলশুটি গুলো বোঝার যোগ্যতা নেই ওদের..
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
মাহমুদুল হাসান
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেতামিম
User ৬ বছর, ৫ মাস পুর্বে