বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

শিরোনাম নাই

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ ছহিনুর রহমান বিন মনির (০ পয়েন্ট)

X →চলে আসলাম আজ বাড়ি থেকে হয়তো ৪-৫ বছর, নয়তো সারা জীবনের জন্য থাকতে হবে আমাকে এই শহড়টাতে। হ্যা, আমি আসলাম ঢাকা শহড়ে, আমাদের রাজধানী । যা আজ আমাদের মতো ২হাত, ২পা থাকা মানুষেরাই দূষণের দ্বারা রেকর্ড বইয়ে নাম তুলতে সক্ষমতা লাভ করেছে। আমি আসলাম পড়াশোনা করতে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটা কলেজে। খারাপ লাগছে আমাদের শহড় এতো উন্নত না তবে অনেক শান্ত ও নোংরা-দূষণ খুবই কম তাকে ছেরে চলে আসলাম। এখন আমার নাম টা বলে নেই, আমি রাফায়েত ইসলাম অরুণ। দেখতে খারাপ না। কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে আমিও নিয়মিত ক্লাস করি। ক্লাস শেষ হয়েছে তাই ক্যাম্পাসে বসে আছি একা। যেহেতু নতুন, আর যাদের সাথে পরিচিত হয়েছি তারা বাসায় চলে গেছে। অল্প দূরে দূরে আরো অনেক ছেলে মেয়ে বসে অাছে। ডানদিক থেকে বাম দিকে তাকাতেই ২টা অতি হিজাবি সুন্দরীকে দেখলাম। (হিজাবি মানে মাথায় হিজাব পরেছে) ২জনে ছবি তুলতে ব্যস্ত। সেলফি, একজন আরেক জনের টা কিন্তু সমস্যাটা হয়েগেল তারা ২জনেই একসাথে ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলবে। (কাছে আছি বলে তাদের কথাও শুনতে পাচ্ছি) হঠাৎ------- এই যে একটু এদিকে আসবেন? (১জন অজনা হিজাবি। তখনো তার নাম জানিনা) ভাইয়া আমাদের কয়েকটা ছবি তুলে দেননা -(২য় হিজাবি) এমন কথা কেও ফেলেতে পারে? তাই গেলাম। ঘচ-ঘচ, ক্যাচ-ক্যাচ ৮-১০ টা উঠে গেলো। ভাইয়া অনেক সুন্দর তুলেছেন। (আরে আমার দ্বরা না, সুন্দরীদের কেমন উঠবে? মনে মনে) ধন্যবাদ বলেই গাড়িতেই উঠা মাত্রই.......গাড়ি ভুম..........। তাকিয়েই থাকলাম নামটাও জানলাম না। সপ্তাহখানেক পরে হিজাবিদের সাথে আবার দেখা। আরে ভাইয়া! কেমন আছেন? হুম আল্লাহ রাখছে ভালো, আপনরা? হুম আমরাও ভালো। কোন বিভাগে পড়েন?(এখনো অজনা হিজাবি) এইতো ফাইন্যান্স, ১ম বর্ষ। আপনারা? আমারাও ইংরেজি বিভাগে ১ম বর্ষ (হিজাবিরা)। ভাইয়া আপনার নামটা? রাফায়েত ইসলাম অরুণ। ঠিক আছে বাই......আবার গাড়ি ভুম......... যাক বাবা নামটাও বলে গেলো না হিজাবিরা। ঢাকা শহড়ে দিনগুলি কোনো মতে চলে যাচ্ছে। রাত ১০টা সময় ফেবুতে আছি একটা রিকু আসলো সাথে সাথে ম্যাসেজ →হ্যালো জনাব গ্রহণ করেন। আমার বান্ধবী কে ঝুলায় রাখছেন কেনো? অপরিচিত কাউকে আগে ঝুলায়ে লম্বা করি পরে গ্রহণ করি। (আমি) হু জনাব আপনার জন্য প্রফাইল অাপলোড করলাম, যা আমি কখোনো করি না। পরে আমাকেউ ঝুলতে হবে। আরে আপনারা তো নাম টাই বলেন না আমাকে ২দিন দেখা হলো। (আমি) দুজন কেই গ্রহণ করলাম। একজনের নাম রাফসানা হক রূপা (মাত্র রিকু দেওয়া হিজাবি) আরেক জন আরোভি জাহান। ভালোই চলতে লাগলো.... দিনে ক্যাম্পাসে, রাতে কথা হয় ফেবুতে। তার মধ্যে রূপা আমাকে সময় দিতো বেশি বেশি। বেশ জানা-শুনা হলো দুজনের মাঝে। তারা ২টা মাত্র বোন। রূপা বাবা-মার বড় মেয়ে। আমার টাও জেনে নিলো। (আমার বাবা-মা, আর একটা ছোট বোন আছে মাত্র)। ১মাস,২মাস,...... ৬/৭মাস পর্যন্ত এভাবেই চলে গেলো। একদিন ক্যাম্পাসে রূপা তার বান্ধবী সহ সামনে হাজির, গাড়িতে উঠ একজায়গায় যাবো। কোথায়? (আমি) কথা না চলো..... ব্যস্ত শহড় থেকে প্রায় ৩০কিমি দূরে এক নিরিবিলি জায়গা। সত্যই জায়গাটা অনেক সুন্দর, একটা বিলের পাশদিয়ে রাস্তা, কাশবন। ধন্যবাদ, এতো সুন্দর জায়গায় নিয়ে আসার জন্য (আমি)। হুম, কথা অাছে তোমার সাথে (রূপা)। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা নাকি? হুম, জনম জনম প্রভাব ফেলতে পারে(রূপা)। ওরে বাবা তারাতারি বলো। আরোভি তুই ঐপাশে যা (রূপা)।ড্রাইভার আগেই দূরে চলে গেছে। হঠাৎ রূপা কিছু না বলেই আমার বুকে। এই এই কি করছো??? (আমি) চুপ কথা বলবা না। দেখো এই ৬ছয় মাসে আমি জানিনা আমার কি হয়েছে, তোমাকে ছাড়া আমি আর থাকতে পারতাছিনা। তোমার সবকিছুই আমাকে পাগল করে দিছে।(রূপা) কিন্তু????? (মনে মনে ১০০ রঙিন হয়ে গেছি, কারন আমারো অবস্থা তাকে ছাড়া চলে না। জানিনা আমিও কখন দুর্বল হয়ে গেছি তার প্রতি) কোনো কিন্তু না; আমি কি দেখতে খারাপ??(রূপা) অাসলে তা না, তোমার পরিবার কি মেনে নিবে? দেখো আমার বাবা তেমন না, তুমি তা নিয়ে চিন্তা করোনা। আমি ব্যবস্থা করবো।(রূপা) ও হ্যালো অনেক তো হলো আমার বান্ধবীটাকে ছাড়েন। (আরোভি) কি?????? আমি ধরিনি, আপনার বান্ধবী ধরেছে হু--- কি আর বলবো বুঝতে পরাছিলাম না তাই এসে পড়লাম। রাতে এতো কথা বললাম জীবনে এতো কথা ফোনে বলিনি। কিছুদিন পর......... অরুণ কাল আমরা দুপুরে একসাথে খাবো। তুমি ক্যাম্পাসে থেকো আমি আসবো।(রূপা) ক্যাম্পাসে বসে আছি ১২.২০বাজে। রূপা গাড়িথেকে নামলো। আজ নতুন সাজে সেজে এসেছে যার ফলে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। এই যে জনাব? এমন করে কি দেখছনে? (রূপা) পরী ছাড়া কি দেখবো??? হয়ছে আর দেখতে হবে না।(রূপা) (গাল লাল হয়ে গেছে তার) চলো এখন যাই(আমি) কই যাবেন জনাব? কেনো তুমি না আমার সাথে দুপুরে খাবা? জ্বি না জনাব, এখানেই খাবো এবং তার আগে আপনি ১০-১২জন কে নিয়ে আসেন। বলো কি ১০-১২জন!!!!! কাকে নিয়ে আসবো? হ্যা আপনি রাস্তা থেকে না খেয়ে থাকা ঘর-বাড়িহীন ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসেন।(রূপা) এই এইগুলার মানে কী? আমি কিছুই বুঝতে পারতাছিনা। শুন, আমার অনেক দিনের স্বপ্ন যেদিন আমার মনের মানুষ হবে তার সাথে তাদের(পথশিশুদের) খাওয়াবো। আমার বাবার টাকার অভাব নেই চাইলেই আমি যখন তখন খাওয়াতে পারি কিন্তু তা করিনি যা আজ থেকে তোমাকে সাথে নিয়ে শুরু করবো। (রূপা) কিছুখনের জন্য আমার মুখ থেকে কিছুই বের হচ্ছিলনা যেনো বাকরুদ্ধ হয়েগেলাম। আল্লাহ আমি জীবনে কি এমন ভালো কাজ করেছিলাম যার ফলে আজ এমন একটা মেয়ে পেলাম...... এই যে?? কি হলো কথা বলছেন না কেনো???(রূপা) কি বলবো আমি? তোমার মতো মেয়ে আমি পেয়েছি তা বিশ্বাস করতে পারতাছিনা। (আমি) হয়ছে এখন যান। অতঃপর ১২জন পথশিশুকে দুপুরে খাওয়ালাম। তারপর থেকেই মাঝে মাঝেই তার ইচ্ছা মতো খাওয়াই । আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া। আপনারাও এমন পথশিশুদের চাইলেই কিছু করতে পারেন। একবেলা দিয়ে সারা বছর খবর নাই, না ভাই আপনার একবেলাই অনেক কিছু। .


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৪৫ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • তামিম
    User ৬ বছর, ৫ মাস পুর্বে
    nice