বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
.
.
তারপর শাহাদত স্বাভাবিক হয়ে বলে।
-- আমি তোমাকে.......... আমি
তোমাকে.........আমি তোমাকে........(
শাহাদত)
শাহাদতকে থামিয়ে,
-- কি আমাকে আমাকে করছেন?
আমাকে কি?(খানম)
শাহাদত আর কিছু বলতে পারে না। সে
কি ভাবে কথাটা বলবে সে ভুলে
গেছে। কত প্লেন ছিল কথাটা কি
ভাবে বলবে সেটা নিয়ে এখন দেখে
কিছুই হল না। শাহাদত আবার বলতে
চেস্টা করে কিন্তু বলতে পারে না।
তার মুখ দিয়ে গুছিয়ে কথা বের হচ্ছে
না। খানম কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে
তার বান্ধবীদের সাথে ক্লাসে চলে
যাই। যাওয়ার সময় বার বার শাহাদতের
দিখে থাকাচ্ছিল। তার মায়বী চোখ
দুটি ছল ছল করছে। মায়বী চোখ দুটি
যেন কিছু বলতে চাই। কি বলতে চাই সে
টা বুঝার ক্ষমতা শাহাদতের নেই। তাই
সে নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকে
খানমের মায়াবী চোখ দুটির দিকে।
খানম চলে যাই তার বান্ধবীদের
সাথে। এই দিকে শাহাদত ভাবে আজও
বলতে পারলো তার মনের কথাটা।
আজও বলতে পারলো না তার ঠোঁটের
নিচে তিলটাকে ভালোবাসি সেই
কথাটা। আজও বলতে পারলো না
তাকে নিয়ে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন
দেখা কথাটা। আজও বলতে পারলো না
একটিবার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আই
লাভ ইউ কথাটা। বলতে পারলো না
হৃদয়ে গবীরে স্বপ্নে আঁকা ঘরটার কথা
যে ঘরে বসে দুই জনে প্রকৃতির রঙ
উপভোগ করবে। তার বোকামির জন্য
সে আজ কিছুই বলতে পারলো না।
হয়তো আর বলতেও পারবে না। শাহাদত
সারাদিন মন খারাপ করে বসেছিল।
পরদিন সকালে তারা রওনা হয় তাদের
গন্তব্যে।
.
অন্যদিকে খানমও ভাবে শাহাদতের
কথা। কত বোকা ছেলে আজও বলতে
পারলো না ভালোবাসি কথাটা।
শাহাদত হয়তো জানে না তার মুখ
দিয়ে ভালোবাসি কথাটা শুনার জন্য
খানম এতদিন অপেক্ষা করছিল।
খানমও শাহাদতকে ভালোবাসে।
তাকে ভালোবাসে অনেক আগে
থেকে। যেদিন তার বাবার মুখে প্রথম
শুনেছিল তার কথা সেদিন থেকে
খানম তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে
থাকে। খানম শাহাদতকে কখন ও দেখি
নি। একি গ্রামের হলেও তার মুখটা
কখনও দেখে নি খানম। তাকে
দেখেছে শুধু কল্পনাই। দেখে শুধু
রাতের আকাশের তারা মাঝে।
এঁকেছে তার মনের গবীরে শাহাদতের
একটা কল্পনার ছবি। সেই ছবিতে
একটা লেখা আছে সেই লেখাটি হচ্ছে
"স্বপ্নের রাজপুত্র"। হ্যা খানম মনে
মনে চেয়েছে শাহাদতের মত একজন
মনের মানুষ। যে খানমকে খুব
ভালোবাসবে। খানম পেয়েছে তার
স্বপ্নের রাজপুত্রকে। হ্যা সেই
রাজপুত্র হচ্ছে শাহাদত।
.
খানম শাহাদতকে যেদিন প্রথম দেখে
সেদিন চিন্তে পারে নি যে এটাই তার
কল্পনাই আঁকা মানুষটা। এরপরদিন যখন
আবার দেখা হয় তখন তার বান্ধবীদের
সাহায্যে জানতে পারে। এই শাহাদত
সেই যাকে নিয়ে সে এত দিন স্বপ্ন
দেখছিল। এই সেই শাহাদত যার জন্য
সে এতদিন অপেক্ষা করেছিল। তাকে
দেখার পর থেকে তার প্রতি
ভালোবাসাটা আরো দ্বিগুণ বেড়ে
যাই।
.
এতদিন সে শাহাদতের মুখ থেকে
ভালোবাসি শ্বব্দটা শুনার জন্য
অপেক্ষায় ছিল। আর আজ শাহাদত
বলতে গিয়েও বলতে পারলো না
ভালোবাসি কথাটা। তবুও খানম তার
মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনার
জন্য অপেক্ষ করবে। অপেক্ষা করবে
হাজার হাজার বছর। সে জানে একদিন
না একদিন শাহাদত তাকে বলে
পেলবে হৃদয়ে গবীরে লোকিয়ে থাকা
কথাগুলো।
.
কয়েকদিন ধরে খানম শাহাদতকে আর
দেখে না। তাকে না দেখে তার
চিন্তা বেড়ে যাই। তার মাথাই
হাজারো প্রশ্ন গুরপাক খাই। কিন্তু
কোন প্রশ্নেরই উত্তর সে জানতে
পারে না। জানবে কি করে তার কাছে
তো কোন শাহাদতের নাম্বার নাই।
তার সাথে কথা হয়ছে ২ দিন। খানম
ভাবে সে কি শাহাদতের বাসাই যাবে
শাহাদত কোথাই আছে তা জানতে।
আবার পরক্ষনে মনে হল গেলে
শাহাদতের মা বাবা কি ভাববে। সে
ভাবে না যাওয়াই ভালো হবে। তাই সে
আর যাই না শাহাদতের বাসাই।
.
এই ভাবে কয়েকদিন কেটে যাই। সে
এখনও দেখতে পাই নি শাহাদতকে।
সারাদিন সে মন মরা হয়ে বসে থাকে
আর শাহাদতের জন্য অপেক্ষা করতে
থাকে। সে ঠিক মত কলেজেও যাই না।
সারাদিন ঘরে বসে থাকে আর বিকাল
হলে নদীর পাড়ে যাই। তার এই রখম
পরিবর্তন দেখে তার পরিবারও
চিন্তাই পড়ে যাই। প্রতিদিনের মত
সেদিনও মন খারাপ করে বসে ছিল
নদীর ধারে হঠাৎ কোথা থেকে যেন
তার বান্ধবী সানজিদা এসে হাজির।
সানজিদা হল খানমের সব চাইতে
কাছের ফ্রেন্ড, বলা যাই প্রানের বন্ধু।
খানমের সব কথা সানজিদা জানে।
এবং এইও জানে যে খানম শাহাদতকে
ভালোবাসে। সানজিদার বাড়ি
শাহাদতের বাড়ির পাশেই।
-- এই কি হয়ছে তোর? কয়েকদিন ধরে
দেখছে তোই কলেজে যাস না,
সারাদিন মন খারাপ করে বসে থাকিস
আগের মত আমাদের সাথে কথাও বলিস
না। কি হয়ছে বলতো?(সানজিদা)
-- নারে কিছু হয়নি, এমনি ভালো
লাগছে না তাই.(খানম)
-- আমি জানি তোর কিছু একটা হয়ছে,
কি হয়ছে আমাকে বলতে পারিস।
(সানজিদা)
খানম সানজিদাকে সব কথা বলে। এবং
শাহাদতের খুজখবর ও নিতে বলে।
খানমের কথা শুনে সানজিদা হাহাহা
করে হেসে ওঠে। তার হাসির দেখে
খানম রেগে যাই।
-- এই তোই হাসছিস কেন? আমর অবস্থা
দেখে তোর হাসি পাই তাই না?( খানম
রেগে মেগে কথাগুলা বলল)
-- হাসবো না তো কি কাঁদব? তোর
বোকামি দেখে হাসছি। তোই জানিস
না শাহাদত ভাইয়া একজন সেনা
কর্মী। আর সেনা কর্মীরা মাঝে
মাঝে ট্রেনিং এই যাই তোই জানিস
না পাগলি কোথাকার।
এই বলে সানজিদা আবর হাসতে থাকে।
তার কথা শুনে খানম নিজেকে বোকা
বোকা মনে করে।
-- ও হ্যাঁ তাই তো আমি ভুলেই
গেছিলাম(একটা বোকা মার্কা হাসি
দিয়ে খানম কথাটা বলে)
.
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
তামিম
User ৬ বছর, ৫ মাস পুর্বে