বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

পদ্মাবতী

"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X মহিলাটির আসল নাম কি ছিলো আমি জানি না।সে তার আসল নাম আমাকে বলেনি।একজন ডাক্তার হিসেবে আমার সবটুকু জানা উচিত ছিলো।কিন্তু আমি কখনও তার কোন ব্যপার নিয়ে তাকে জোর করিনি।আমি চেেয়ছিলাম সে মন থেকে সব বলুক।কিন্তু সে ছিলো বেশ চাপা স্বভাব এর ।তাও যে সে আমাকে তার জীবনে ঘটে যাওয়া বিশাল ঘটনা আমাকে নিজ থেকেই বলেছে,আমি এতেই বেশ আশ্চর্য হয়েছি।তার জন্যই হয়ত আজকে আমি গল্প টা আপনাদের শোনাতে পারছি।তার নাম ছিলো পদ্মাবতী। আমাকে সে এই নামটাই বলেছে।তবে আমার মনে হয় না এটা তার আসল নাম।কারন,কিছু মানুষ আড়ালেই থাকতে পছন্দ করে সবসময়। পদ্মাবতীর সাথে আমার পরিচয় হয় হাসপাতালে।এটাই স্বাভাবিক।আমি একজন ডাক্তার,আর হাসপাতাল,ক্লিনিক,চেম্বার, রোগী নিয়েই আমার জীবন।আমি তখন মেডিকেল এর স্টুডেন্ট।আমি নিজেও অনেকটা চাপা স্বভাবের।আমার তেমন বন্ধু ও ছিলো না।আমি পড়াশুনা,ল্যাব,ক্লাস নিয়েই পড়ে থাকতাম।ইন্টার্নি করতে গিয়ে আমার চোখে পড়ে বেশ বৃদ্ধার ওপর।সব রোগীই প্রায় এর ওর সাথে কথা বলত,তােদর আত্মীয়রা আসত।সেই শুধু ছিলো একলা।কখনও তার কাছে কাউকে আসতে দেখিনি যতদিন আমি ডিউটি করেছি।তার কিডনির সমস্যা হয়েছিলো।অতিরিক্ত মদ এর জন্য কিডনি ড্যমেজ হয়ে গেছে।তার চেহারায় বেশ আভিজাত্য ছিলো।বয়সকালে যে সে বেশ সুন্দরী ছিলো,বোঝাই যায়।এমনি বৃদ্ধ মানুষের চুল পাকলে সাদা হয়,তার চুল ছিলো সোনালী আভাযুক্ত।মন চায় যেন একটু ছুঁয়ে দেই।আমি তাকে দেখতাম,কখনও কথা বলিনি।একদিন সকালে আমি ডিউটিতে এসে দেখি সে নেই,বিছানা খালি পড়ে আছে।আশেপাশের পেশেন্টদের জিগ্যেস করলপ তারা বলে,ঘুম থেকে উঠে তারাও দেখেনি ওকে।আমার মন টা কেন জানি খচখচ করতে লাগল।আমি ওয়ার্ডবয়কে ডেকে জিগ্যেস করলাম,ওরাও কিছু বলতে পারল না।দুপুরে এসে দেখি বিছানায় কেউ নেই।আমার কেন জানি ভালো লাগছিলো না।সে চুপ চাপ জানালা ধারে বসে আছে,তাও আছে এটা আমাকে স্বস্তি দিতো।এখন আমার কেন জানি খুব অস্থির লাগছে।আমি কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছি না।একজন অপরিচিত বৃদ্ধার জন্য আমার এমন অনুভূতি অস্বভাবিক ছিলো।আমি রাতে আরেকবার এলাম,সে ফিরল না কি দেখতে।হ্যাঁ,সাদা বিছানায় নীল হসপিটাল গাউন, পড়ে চুল বেনুনী করে জানালার দিকে ফিরে সে বসে আছে।আমার কেন জানি খুব ভালো লাগল দৃশ্যটা।মনে হয় আপন কেউ বুঝি ফিরে এসেছে।আমি খুব ধীর পায়ে তার কাছে এগিেয় আসলাম।সে আমার পিছন ফিরে ছিলো।আমি তার কাধেঁ হাত রাখলাম।সে চমকে আমার দিকে তাকাল।আমি দেখলাম,তার চোখ ভেজা।এর মানে সে কাঁদছিলো।আমরা দুজনে দুজনার দিকে এক দৃস্টিতে তাকিয়ে আছি।আমার মনে হচ্ছিলো,সময় যেন থমকে গেছে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৮৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now