বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সাইন্স ফিকশন – সিস্টেম জেনি

"সাইন্স ফিকশন" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান MD.Belal Hosan (০ পয়েন্ট)

X কিছু কথা শুধু বলার জন্যই। এগুলো পরবর্তিতে রাখা হয় না। কিন্তু সময়টা খুব ভালো কাটে, যেমন “জেনি আমাকে বলে আচ্ছা, তুমি সারা জীবন আমার সাথে থাকবে? আমি বলি কেন নয়। আমি তো সারা জীবন তোমার পাশে থাকবো যেমন আজ আছি। তোমাকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে সমুদ্রে যাবো, যাবো পাহাড়ে সূর্যাস্ত দেখতে, পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন অস্ত যাবে, পাহাড়ের চূড়ায় সেই আলো প্রফিলিত হয়ে মনে হয় যেন পুরোটা পাহাড় রক্তের আবির দিয়ে মোড়ানো। অস্তগামী সূর্যের বৌ দেখা আলো তোমার মুখে এসে পড়বে, হালকা হাওয়ায় তোমার সামনের দিকের চুল এসে পড়বে তোমার মুখে। আমি তখন তা তোমার মুখের ওপর থেকে সরিয়ে দিয়ে লালচে আলোয় তোমাকে দেখবো, তোমার কপালে ছোট করে একটা আদর বসিয়ে দিব। তারপর আমরা বাসায় ফিরব সারা রাত বসে বসে গল্প করব। সকালে দেরি করে উঠে দেখব তুমি আমার জন্য চা তৈরি করে বসে আছ। আর আমি চায়ের কাপ না ধরে তোমাকে বিছানায় টেনে নিয়ে একটু আদর করে দিব”। কথা গুলো অনেক আগের। জেনির সাথে একটা কফিশপে বসে গল্প করার এক পর্যায়ে বলছিলাম, এখন ও আমার মনে আছে। আমার মনে আছে সব কিছু। কেন যে আমার মস্তিস্কে সব কিছু জমা থাকে। কেন আমি অন্যদের মত ভুলে যাই না? তাহলে তো আমি এত কষ্ট পেতাম না। এসব কথা আমার এখন ও ইচ্ছে হয় বলতে, প্রথম প্রথম আমি ও অনেক বলছি। কিন্তু এখন আর বলতে পারছি না। হয়তো আবেগ কম বলে। না আবেগ আমার এখন ও আছে। আমি আজ ও বলতে পারি জেনি কে ছাড়া আমি বাচবো না। আমার কাছে জেনি এখন একটা নেশার মত। তারপর ও আমি চেষ্টা করছি যা বলব তা জেন রাখতে পারি। তাই আমি কথা বলা কমিয়ে দিয়েছি। এ কথা গুলো মিথ্যে। কিছুটা আবেগ থেকে ও আসে। আমার আবেগ হয়তো কমে গেছে। কেন কমছে তা বলতে পারব না। এখন সকল আবেগ বাস্তবতার সাথে মিল রেখেই করার চেষ্টা করি। আমি ও স্বপ্ন দেখতাম। এখন ও দেখি। সারাজীনন দেখে যাবো। কিন্তু তা নিজের জন্য। অন্য কাউকে জড়াবো না। জেনি কে ও না। সে থাকুক তার মত। আমাকে প্রথম তার ভালো লাগছে এখন আবার খারাপ লাগতেই পারে। এতে তার কোন দোষ নেই। আজ আমি ও স্বপ্ন দেখি সবার সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলার। সবাইকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার। কিন্তু আজ পারি না। পারব কিনা তাও জানি না। এখন আমার সঙ্গি কিছু প্রোগ্রাম কিছু এলগরিদম কিছু আর ডাটাস্ট্রাকচার। আর কিছু না। আমি এদের নিয়েই বেছে আছি এদের নিয়েই বেছে থাকব। আমার কাছে মনে হচ্ছে এগুলোর মধ্যেই দুনিয়ার সব কিছু লুকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে জেনিকে মনে পড়লে একটা এলগরিদম তৈরির চেষ্টা করি। চেষ্টা করি একটা প্রোগ্রাম তৈরি করতে যে প্রোগ্রাম জেনির মত আমার সাথে কথা বলতে পারবে। আজ আমার দাদার কথা মনে পড়ে, যিনি আমাকে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, মনে পড়ে বাবার কথা যার কাছে থেকে আমি এসব বিষয় উত্তরাধীকারী পেয়েছি। আমার মনে হয় বাবার DNA থেকে কিছু তথ্য তার শুক্তানুর মাধ্যমে আমার শরিরে চলে আসছে যা আমি আর শিখা লাগে নি। আমি এমন কিছু বিষয় আগে পড়িনি কিন্তু দেখলে মনে হয় আমি অনেক আগেই শেষ করেছি। এটা একটা অবাক বিষয়। বাবা অনেক কিছু জানত। কিন্তু নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখত। আমার মধ্যে ও সে গুন কেন জানি চলে এসেছে। আমার বাবা যেমন সফল হয় নি এসব নিয়ে হয়তো আমি ও হব না। তার পর ও আমি এসব নিয়েই থাকতে চাই। সাথে আছে আমার জেনি। জেনি সম্পর্কে আর কি বলব। হয়তো আমি তাকে ভালোবাসি না হয়তো তাকে আমার প্রাণের থেকেও ভালোবাসি। কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে সব কিছুই আপেক্ষিক। সবকিছু ভবিশ্যতের জন্য অপেক্ষা না করে বর্তমানেরটা অতীত হয়ে যায়। আর একবার অতিত হলে তা আর ফিরে আসে না। এখন যেনি ও আমার কাছে একটা অতীত। একটা সুন্দর অতিত। আমি বুঝতে পারি এসব বলে লাভ নেই। কিন্তু সে আমাকে বুঝতে পারে নি। আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। সে তো জানতোই আমি অন্যদের মত না। আর এটা জেনেই আমার সাথে কথা বলত। মাঝে মাঝে সে নিজেই বলত জান জিৎ তুমি না অন্য সবার থেকে আলাদা আর এ আলাদা হওয়ার কারনেই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। হ্যা, প্রথম প্রথম জেনি আমাকে অনেক ভালোবাসত। অনেক আবেগ ছিল। আমাকে না দেখলে তার নাকি ঘুম হত না, আমার সাথে কথা না বলে সে কিছু খেতে পারত না। প্রথম প্রথম আমি এসব কিছু আবেগ মনে করছিলাম। আবেগ চলে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে মনে করছিলাম। তাই কোন নজর দিতাম না এ দিকে। কারন আমি সবার থেকে আলাদা মনে করে কৌতুহল নিয়ে আমার কাছে অনেকেই আসত। কিছুদিন কথা বলত পরে তাদের কৌতুহল শেষ হলে চলে যেত। জেনিকে ও সে রকম মনে করছিলাম। কিন্তু আমি আলাদা হই আর না হই জেনি সত্যি অন্যরকম ছিল। তার প্রতি আমি অনেক দূর্বল হয়ে পড়ছিলাম। আমার মনে হত আমি হয়তো পৃথিবীতে শুধু জেনির জন্যই আসছি। এখন সে নেই, আছি আমি, আছে তার সৃতি। মাঝে মাঝে তার কথা মনে পড়লে আমার ইচ্ছে করে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই। জেনি আমার পাশে নেই সেখানে আমি কি করব? কি কারন আমি জানি না। কেন সবাই আমাকে অন্য রকম মনে করে তা ও জানি না। কিন্তু আমি চাই আমি অন্য সবার মত থাকতে। আমি চাই অন্য সবার মত ভালোবাসতে অন্য সবার মত ভালোবাসা পেতে। কিন্তু কেন পারি না? আমি কে? কি আমার পরিচয়?


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬১৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ সাইন্স ফিকশন – সিস্টেম জেনি

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now