বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবীয় সাগরে ত্রিভুজ আকৃতির ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটারের এক রহস্যময় অঞ্চল 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল'।
এই অঞ্চলে মার্কিন নেভির সূত্র অনুযায়ী গত ২০০ বছরে ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ২০টি বিমান চিরতরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ১৯৪৫ সালে ফ্লাইট-১৯ নামের মার্কিন নৌবাহিনীর পাঁচটি বোমারু বিমানের একটি বহর উধাও হয়ে গিয়েছিল এখানে। এই বহর থেকে শেষ বার্তা ছিল, “সবকিছুই খুব অদ্ভুত লাগছে। আমরা জানি না, কোন দিক পশ্চিম। সাগরকেও স্বাভাবিক দেখাচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে আমরা...।” এই বার্তা পাওয়ার পরপরই মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী টিম এ অঞ্চলের দিকে রওনা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারাও নিখোঁজ হয়ে যায়।
তবে উধাও হওয়া আস্ত ডিসি বিমান বা জাহাজের মধ্যে ১৯৬৮ সালের মে মাসে হারিয়ে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ডুবোজাহাজের ঘটনাটি সারা বিশ্বে সবচাইতে বেশি আলোড়ন তুলেছিল।
বিখ্যাত পরিব্রাজক ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কাছ থেকে সর্বপ্রথম এই এলাকাটির বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। কলম্বাস লিখেছিলেন, তাঁর জাহাজের নাবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি এবং আকাশে ধোঁয়া দেখতে পেয়েছিলেন। এ ছাড়া কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশের কথাও উঠে এসেছিল তার জবানীতে।
এ অঞ্চলের রহস্যময়তার আরও একটি দিক হল, কোনো জাহাজ বা বিমান এই ত্রিভুজ এলাকায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বেতার তরঙ্গ প্রেরণে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং এর ফলে জাহাজ বা বিমানটি উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়। একসময় তা দিক নির্ণয় করতে না পেরে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে বিজ্ঞান বলে, পৃথিবীর কোনো এলাকায় স্বাভাবিক বেতার তরঙ্গের প্রবাহ হারিয়ে যেতে বা নিশ্চিহ্ন হতে পারে না। তা হলে সারা পৃথিবীর বেতার সিস্টেমই ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে এযাবৎ যত রহস্যময় ও কারণহীন দুর্ঘটনা ঘটার কথা শোনা গিয়েছে, অন্য কোথাও এত বেশি এরকম দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করা হয়। এ জন্যে স্থানীয় অধিবাসীরা এ এলাকাটির নামকরণ করেছেন ‘পাপাত্মাদের ত্রিভুজ’।
এই স্থানটি নিয়ে আরেকটি গুজব আছে। অনেকেই মনে করেন ভিনগ্রহের প্রাণীরা যখন পৃথিবীতে আসে, তখন তারা এই স্থানকে তাদের ঘাঁটি বানিয়ে নেয়; যাতে করে তাদের কেউ ক্ষতি বা চিহ্ন খুঁজে না পায়।
বিভিন্ন সময়ে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে মনে করা হয়। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হল, হারিয়ে যাওয়া কোনো যানবাহনের ধ্বংসাবশেষ পরবর্তীকালে অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
md billal hossien
Guest ৬ বছর, ৭ মাস পুর্বেmd billal hossien
Guest ৬ বছর, ৭ মাস পুর্বেএক অতি সাধারণ মানুষ
Guest ৬ বছর, ৭ মাস পুর্বেAdiba
User ৬ বছর, ৭ মাস পুর্বে