বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

*তিন গোয়েন্দা* বিদায় মুসা — পর্ব ৪

"গোয়েন্দা কাহিনি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X ডেড্রনের বন্ধু রেগ গ্রিন চলে এলো তার পাশে।মুসার থমথমে চেহারা দেখে বুঝে ফেলল,যখন-তখন একটা মারামারি বেধে যাবে এখানে।মজা করতে গিয়ে বোধহয় ধাক্কা লেগে গেছে,তা-ই না,ডেনি?উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামালাতে চাইল সে।তাকাল মুসার দিকে।ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয়নি ও।দিইনি,'অনিচ্ছাসত্ত্বেও বলল ডেড্রন।খুকখুক করে কাশল।ঠিক আছে,মেয়েটাকে বলে দিয়ো,আমি দুঃখিত।মুসা কিছু বলার আগেই ঘুরে স্কেট করে দূরে চলে গেল সে।মুসার দিকে তাকিয়ে কাঁধ ঝাঁকাল রেগ গ্রিন,তারপর অনুসরন করল বন্ধুকে।আরও আধঘন্টা দীঘিতে কাটাল তিন গোয়েন্দা,রেমন ও শ্যারন,তারপর রেমনের নিমন্তণে চলল ওর বাসায় হালকা নাস্তা সারতে।ছোট একটা অ্যাপার্টমেন্টে একা থাকে রেমন।বাড়িভাড়া সহ ওর যাবতীয় খরচার অর্ধেকটা দেয় ওর বড় বোন,বাকি অর্ধেকটা স্কুলের ফাঁকে করা পার্টটাইম চাকরির বেতন থেকে জোগাড় করে রেমন নিজেই।এবার শীত পড়েছে বেশ,অ্যাপার্টমেন্টের ড্রয়িরুমে বন্ধূদের বসিয়ে ফায়ারপ্লেসের আগুনে পাইনের একটা শুকনো ফল দিল রেমন।সঙ্গে সঙ্গে আগুন থেকে ছিটকে বের হলো নীল,সবুজ,হলুদ শিখা।বিস্কুট ও দুধ দিয়ে নাস্তার ফাঁকে ডেনেরিক ডেড্রনের সঙ্গে কী কথা হয়েছে সেটা বন্ধুদের আরেকবার জানাল মুসা। যাচ্ছে না ওর।শেষে বলল,ছেলেটা নীচ,মানুষের পিঠে ছুরি বসাতেও দ্বিধা করবে না।বাদ দাও ওর কথা,বলল রেমন।চিন্তা করার আরও অনেক জরুরি একটা ব্যাপার আছে এখন আমাদের সামনে।যেমন?দুধে চুমুক দিল মুসা।স্যাব।আর একটা কথাও বলল না রেমন,ভাবটা এমন,যা বলেছে,সেটাই সবার বুঝবার জন্যে যথেষ্ট।এস.এ.বি।স্যাব।স্টেট অ্যাচিভমেন্ট ব্যাটারি।ভাষা ও অঙ্কের নতুন একটা পরীক্ষা।ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে সরকার এ বছর থেকে স্যাব চালু করেছে।এ-বছরই প্রথম আন্তঃরাজ্যে এই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।স্কুল শেষ করে ভাল কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হলে সন্তোষজনক হতে হবে স্যাব পরীক্ষার ফলাফল।আর কিছু পেলে না বলার মতো?অভিযোগের সুরে বলল শ্যারন।ছুটির দিনটা তো দিলে একেবারে মাটি করে।আসলেই ভাল প্রিপারেশন থাকা দরকার আমাদের,মন্তব্য করল কিশোর।যা শুনেছি,তাতে স্যাব-এ এ-গ্রেড না পেলে সুযোগ পাওয়া যাবে না ভাল কোনও কলেজে।স্কুলের সম্মানও জরিয়ে আছে ছাত্রদের ভাল রেযাল্টের সঙ্গে,বলল রবিন।শতকরা আশিভাগ ছাত্র-ছাত্রী বি+ গ্রেড না পেলে রাজ্যে সরকার সব ধরনের অনুদান দেয়া বন্ধ করে দেবে সেই স্কুলকে।আরও আছে,দীর্ঘশ্বাস চাপল রেমন। আন্তঃরাজ্য স্পোটর্স কম্পিটিশন থেকেও বাদ দেয়া হতে পারে সেই স্কুলকে।নীরবতা নামল ওদের মাঝে।ধুকপুক করছে সবারই বুকের গভীরে।ভয়-ভয় লাগছে।এবার কার্লিফোর্নিয়া রাজ্যের গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন,আন্তঃরাজ্য হাই-স্কুল আইস হকি প্রতিযোগিতায় যে-স্কুল চ্যাম্পিয়ন হবে,সেই স্কুলকে একটা স্টেডিয়াম ও অত্যাধুনিক জিমনেশিয়াম গড়ে দেয়া হবে।রানার্স-আপ স্কুলকে অনুদান হিসাবে দেয়া হবে বিশ হাজার বইয়ের একটা লাইব্রেরি।কোনও স্কুলের নিজস্ব স্টেডিয়াম ও জিমনেশিয়াম,বা লাইব্রেরি থাকা সে-স্কুলের জন্যে-বিরাট একটা সম্মান।উঠে পড়ে লেগেছিল রাজ্যের সবক'টা হাই-স্কুল।একের পর,এক খেলায় জিতে রকি বিচ হাই-স্কুল উঠে এসেছে আইস হকি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।সেমিফাইনালে উঠেছে ওদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রকি বিচ কুইন্স হাইস্কুলও।ক'দিন পর মুখোমুখি হবে দু'দুল।আর তো মাত্র দুটো খেলা বাকি।একটাতে জিততে পারলেই অন্তত রানার্স আপ।আর তার মানেই লাইব্রেরি...আর ফাইনালে জিততে পারলে... এখন যদি স্যাব পরীক্ষায় খারাপ ফলাফলের কারণে ওরা সেমিফাইনালেই খেলতে না পারে,তা হলে কীসের লাইব্রেরি,স্টেডিয়াম,কীসের জিমনেশিয়াম।...স্টেডিয়ামও থাকবে না,জিমনেশিয়ামও থাকবে না,থাকবে একগাদা বদনাম সত্যি সত্যি নিশ্চয়ই সেমিফাইনাল থেকে বাদ দিয়ে দেবে না ওরা আমাদের,দুর্বল স্বরে বলল হতাশ রেমন।অন্তত ছ'টা খেলায় পদক পাবার মতো দল আছে এবার আমাদের স্কুলের।তারপরও যদি বাদ পড়তে হয়,তা হলে মাথার সবগুলো চুল ছিঁড়লেও তো আফসোস যাবে না।অত চিন্তার কিছু নেই,জোর দিয়ে বলল মুসা।স্যাব-এ আমরা ভাল করবই,দেখো।গতবছর আমাদের স্কুল থেকে যে ক'জন সিনিয়র ভাই বেরিয়েছেন,সবাই ভাল ভাল কলেজে চান্স পেয়েছেন।তা ছাড়া,আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত প্রিপারেশন নেবার সময় পাচ্ছি আমরা,বলল রবিন।শুনলাম স্যাবের নাম্বার বাড়ানোর নাকি অন্যরকম উপায় আছে,একে একে তিন গোয়েন্দা ও রেমনের দিকে তাকাল লাজুক শ্যারন।কোচিং?মাথা নাড়ল রেমন,কোনও উপকার পেতে হলে অন্তত একমাস কোচিং করা দরকার।আমরা যদি বাসায় নিজেরা না পড়ে আগে থেকে কোচিঙের কথা ভাবতাম,তা হলে হয়তো লাভ হতো।কিন্তু সময় কই?আর তো মাত্র কয়েকটা দিন পরেই পরীক্ষা।ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল শ্যারন।কোচিঙের কথা বলছি না।গতকাল মেয়েদের রেস্ট-রুমে কথা বলছিল দুই ছাত্রী,ওদের কথা শুনে ফেলেছি আমি।ওরা জানত না আমি ওখানে আছি।ওদের একজন বলছিল,কোথায় স্যাব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় সেটা ও জানে। (চলবে)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬০৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ *তিন গোয়েন্দা* বিদায় মুসা— পর্ব ৩
→ *তিন গোয়েন্দা* বিদায় —মুসা পার্ট ২

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Ahsan habib imroz
    User ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বে
    শেষের পর্ব গুলো কই ভাই..............???????

  • Mahi
    Guest ৭ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    Valoi