বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অসুখী

"রোমাঞ্চকর গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X অসুখী __________ খচ খচ শব্দটা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঘরটাতে। সাথে কারো ফোঁপানোর আওয়াজ।মুখ চেপে কাঁদলে যেমন শব্দ হয়। ঠিক তেমন। ২ঘন্টা আগে.... "শি লেফট্ মি!" কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে কথাটা বললো সামনের সোফায় বসা মানুষটা। কফির কাপটা ঠোঁটের সামনে এসে থেমে গেলো নিনির।তাকিয়ে রইলো সামনে বসা স্থির মানুষটার দিকে। কি অবলীলায় বলে দিলো!যেন এটা কিছুই না! রাতুল তাকালো নিনির দিকে। নিনি কফির কাপ ঠোঁটের সামনে নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে হাসলো শুধু। "মজার, তাইনা?" রাতুলের কথা শুনে নিনির হুঁস ফিরলো।তাকালো কফির কাপের দিকে।পাল্টা হাসি দিয়ে কফির কাপটা নামিয়ে তাকালো সরাসরি রাতুলের দিকে। "তারপর?" নিনির প্রশ্নের উত্তরে রাতুল হাসলো শুধু। নিনি কিছুই বললো না। "তো!আপনার কেমন চলছে?" রাতুলের প্রশ্ন শুনে নিনি হাসলো। হাসলে মেয়েটার গালের একপাশে টোল পড়ে।সুন্দর লাগে খুব। "ভালোই আছি।হি লাভস মি লট।সুখেই আছি খুব।" নিনির হাসিমুখে তাকিয়ে রইলো রাতুল। "এবার ওর ট্যুর শেষ হলেই আমরা বিয়ে করবো।" নিনির মুখটা হালকা লালচে হলো। রাতুল এবার হেসে বলে উঠলো,"ওয়েল তাহলে একটা দাওয়াত পাচ্ছি!কনগ্র্যাচুলেশন!!" "থ্যাংকস!!" নিনি আর কিছু বললো না। "চলুন আপনাকে আমার শখের কিছু জিনিস দেখাই।" রাতুল প্রস্তাব জানালো। নিনি বলে উঠলো,"চলুন" ** নিনির সারাশরীর কাঁপছে। রাতুল হাসিমুখে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। "আপনি আপনি...." "শী লেফট মি।এ্যান্ড আই টুক রিভেঞ্জ।" রাতুলের চকচকে চোখে অন্য কিছু দেখলো নিনি।নিজের প্রেমিকার লাশের সামনে দাঁড়িয়ে খুশিতে ফেঁটে পড়ছে যেন রাতুল। নিনি দাঁড়িয়ে আছে রাতুলের প্রিয় স্টোর রুমে। এখানে তাপমাত্রা খুব কম।ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে প্রায় নিনি।রুমটাতে ঢোকার সময়ই একটা অশুভ অনুভূতি হয়েছিলো নিনির। কেমন যেন ঠাণ্ডা পরিবেশ।অস্বাভাবিকতা বেশি।অশুভ ছায়া চারপাশে। মনে হয় কে যেন তাকিয়ে আছে। দেখছে ওকে। থমকে দাঁড়ালো একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে। মেয়েটা বসে আছে একটা চেয়ারে।চোখ দুটোতে আতংক স্পষ্ট। শক্ত হয়ে আছে শরীরটা।হালকা হাঁ করা মুখটা। গলার দিকে তাকিয়ে শিউরে উঠলো নিনি। গলার মাঝখান বরাবর বড় একটা কাটা দাগ।মৃত্যুর সময় চিৎকারও করতে পারেনি সে। ঠোঁটটা সাদা হয়ে আছে মেয়েটার। "একটা ব্যাপার কি জানেন?" রাতুলের প্রশ্নে চমকে তাকালো নিনি। "আমি সুখি মানুষ দেখতে পারিনা এখন আর।" কথাটা বলেই ঝাপিয়ে পড়লো রাতুল নিনির দিকে। হাতে শক্ত করে ধরা একটা ছুরি। **** দৌড়ে বের হয়ে এলো নিনি ঘরটা থেকে।প্রচন্ড ভয়ে কাঁপছে সে। নিনির মুখে রক্তমাখা। জামাটাও ভিজে আছে। লাল রক্তে। কিন্তু কালো জামা হওয়ার কারণে লালবর্ণ এখন কালোর সাথে মিশে কালো হয়ে গিয়েছে। প্রায় টলতে টলতে দৌড়াচ্ছে ও। সদর দরজার কাছে গিয়ে একটু হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলো। ডুকরে কেঁদে উঠলো নিনি। আবার উঠে দাঁড়ালো ও।নিজের গাড়ির সামনে গিয়ে দরজাটা একটানে খুলে ঢুকে পড়লো নিনি। ইগনিশনে চাবি ঢুকিয়ে মোচড় দিতেই স্টার্ট নিলো গাড়ি। সাথে সাথে স্টিয়ারিং হুইল ঘুরিয়ে ফুল স্পিডে গাড়ি চালিয়ে চলে গেলো ও। পেছনে পড়ে রইলো রাতুলের একা নিঃসঙ্গ বাড়িটা। যার গ্রাউন্ডস্টোর রুমে একটা দু ইঞ্চি ব্লেড গলায় নিয়ে পড়ে আছে রাতুল নামক একজন অসুখী মানুষ।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৮০ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অধিকাংশ মানুষ অসুখী কেন?
→ অসুখীর ভালোবাসা পর্ব-১
→ অসুখীর ভালোবাসা পর্ব-৬
→ অসুখীর ভালোবাসা পর্ব-৪
→ অসুখীর ভালোবাসা-পর্ব ২
→ অসুখীর ভালোবাসা পর্ব-৩
→ অসুখীর ভালোবাসা পর্ব-৫

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now