বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভার্সিটির

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X ভার্সিটি থেকে এসে চেঞ্জ করে মাত্রই টিভির রিমোটটা নিয়ে বসলাম।চ্যানেল পাল্টাচ্ছি সমানে কিন্তু দেখার মত কিছুই পাচ্ছিনা।ভাইয়া রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললো- . "তামিম কে রে?? . "ভার্সিটির ফ্রেন্ড… কেন? . "জাস্ট ফ্রেন্ড?? . "হ্যা কেন?? . "নাহ তেমন কিছুই না।প্রণয় আমাকে বললো আজকাল নাকি ওর সাথে একটু বেশিই ঘুরাঘুরি করছিস… . "তো কি হইছে??? ওয়েট.. ওয়েট.. কথাটা কে বলেছে বললি?? . "প্রণয়... . কথাটা শুনেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।ওই বলদটারে যদি এখন সামনে পাইতাম তাহলে ওর খবরই ছিলো। . "কয়েক মাস আগেও ছেলেটাকে আমি চিনতাম না।না চেনার কারণ আমি খুব একটা কারোর সাথে মিশিনা।বাইরেও তেমন একটা বের হইনা। আর এই বাসায় আমরা নতুন এসেছি প্রায় মাস পাঁচেক হলো।একদিন বাসার সামনে রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দিচ্ছিলাম এমন সময় খেয়াল করলাম ছয়- সাত বছরের একটা পিচ্চি আমাকে ডাকছে। আমি একটু অবাক হয়ে পিচ্চিটার দিকে তাকাইলাম।কারণ পিচ্চিটাকে আমি চিনিনা। . " এই আপু শোন না কেন…. . "তুমি কি আমাকে বলছো?? . "হ্যা তোমাকেই। . "তোমার নাম কি?? . " কেন বলো তো?? . " আমি তোমাকে চিনি। . "তাই?? আমাকে কিভাবে চেন তুমি?? . "ভাইয়ার ফোনে তোমার অনেক গুলা ছবি দেখেছি। . "কথাটা শুনে আমি টাস্কি খেয়েছিলাম বটে তার সাথে সাথে বেশ কৌতূহল হয়েছিল..একবার ভাবলাম হয়তো আমাকে কারোর সাথে গুলিয়ে ফেলছে। তাই পিচ্চির কথাই তেমন একটা পাত্তা দিলাম না। . "আপু বলোনা তোমার নামটা কি। ভাইয়া আমাকে কখনোই তোমার নাম বলেনা। . " আমার নাম তিথি।তোমার নাম আর তোমার ভাইয়ার নাম কি?? . "আমার নাম পূর্ণ আর ভাইয়ার নাম প্রণয়। আজকে আসি।নয়তো বাসায় ফিরতে দেরী হয়ে যাবে।টাটা… . সেদিন মনের মধ্যে খটকা লাগলেও তেমন গুরুত্ব দেইনি। কারণ ওই নামের কাউকে আমি চিনিনা।সকাল বেলা খুব একটা ঘুম থেকে উঠিনা আমি।হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেলো।একটু সময়ের জন্য রাস্তায় বের হলাম।গলির মাথায় একটা স্কুল আছে। দেখলাম ছোট ছোট পিচ্চিরা স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে যাচ্ছে।হঠাতই আবার পূর্ণের সাথে দেখা হয়ে গেল।আমাকে দেখেই যেন আমার কাছে আসার জন্য ছুট লাগালো। আমার সামনে এসে বললো . "আপু কেমন আছো?? . "ভালো ভাইয়া। তুমি?? . "আমিও ভালো আছি।কালকে রাতে তোমাকে অনেক সুন্দর দেখচ্ছিলো।ভাইয়ার থেকে ফোন চাইলাম কত্তবার দিলোই না।এই জন্যে তোমার উপর আমার রাগ হয় জানো।তোমাকে দেখার জন্য ভাইয়া আমাকে গেমস খেলতে দেয়না। . "কি বলো তুমি এসব?? . "স্কুলের বেল দিয়ে দিবে …টাটা। . কি আশ্চর্য??কাল রাতেই একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। আমার ফ্রেন্ডলিষ্টে তো অপরিচিত তেমন কেউ নেই। তাহলে?বাসায় গিয়ে ফ্রেন্ডলিষ্টটা চেক করলাম দুই এক জন বাদে সবাই ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত।প্রণয় নামের কাউকেই তো পেলাম না।অপরিচিত দের মধ্যে একটাই মাত্র আইডি।কখনো কথা হয়নি।কি নাম দেয়া বুঝতে পারছিনা আইডির নামটা আরবিতে লেখা।তেমন কোন ইনফরমেশন দেয়া নেই প্রোফাইলে।ভাইয়া আর আর শান্ত ভাইয়া দেখলাম মিউচুয়াল ফ্রেন্ড।শান্ত ভাইয়া ভাইয়ার স্কুল ফ্রেন্ড।তবে আমার প্রোফাইল পিকচারটা খুব পছন্দ হয়েছে।ছেলেটা অসম্ভব রকমের কিউট...মাথায় কালো একটা পাগড়ী যেন ছেলেটার সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। নাম জিজ্ঞেস করে ছোট্ট একটা টেক্সট পাঠিয়ে ছিলাম।রিপ্লাই পাওয়ার পরেই জানতে পারলাম ইনিই সেই বিখ্যাত বলদ। . ওকে আমি প্রথম সামনাসামনি দেখেছিলাম শান্ত ভাইয়ার সাথে।ভাইয়া বিদেশ থেকে আসার কয়েকদিন পরে শান্ত ভাইয়া আমাদের বাসায় এসেছিলো।পরে জেনেছি শান্ত ভাইয়া আর ওই বলদটা চাচাত ভাই।আমি তখন বাসায় ছিলাম না।আমি যখন বাসায় ঢুকছিলাম তখন শান্ত ভাইয়া আর বলদটা বাসা থেকে বের হচ্ছিলো।কেমন করে জানি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।আমি যখন ওকে প্রথম বার সামনা সামনি দেখেছিলাম আমার মনের মধ্যেও কেমন একটা হচ্ছিলো।লক্ষ্য করছিলাম আমি শান্ত ভাইয়ার সাথে কথা বলার সময় গলা ধরে আসছিলো।তবে হ্যা এটা মানতেই হবে ছেলেটা কিন্তু ছবির থেকে সামনাসামনিই অনেক কিউট.... . শান্ত ভাইয়া চাকরীর জন্য চিটাগাং চলে গেলো।এর পর প্রণয়ের সাথে দুই এক দিন পর পরই দেখা হতো। শান্ত ভাইয়া নেই।আর ভাইয়া এইখানকার তেমন কাউকে চিনেও না।তাই ভাইয়া আর বলদটা একসাথে ঘুরাঘুরি করতো... . অপেক্ষার প্রহর যেন কাটেই না।প্রণয় কে একা কখনো পাইনা।যখন আসে সবসময় ভাইয়া সামনে থাকে।ইচ্ছা করেই এখন বেশি ছবি আপ্লোড দেই।ফেইসবুকে বেশি একটিভ থাকি।এই আশায় যে বলদটা মুখ ফুটে কিছু অন্তত বলুক।কিন্তু না আমার আশার গুড়ে বালি।সেটা আর হচ্ছে কই।আমার শুধু আফসোস হতো ওর সামনে এত বার যাওয়াআসা করতাম কিন্তু নিজে থেকে কখনো ডেকে কথা বলতো না।নিজে থেকে একদিন টেক্সট ও করেনা।আমিও করিনা ইগো তে বাধে। একদিন খালি ব্যাটারে পাই একা, তখন মজা বুঝাবো… . সামনেই সেমিস্টার পরিক্ষা।তাই তামিম কে হেল্প করতে হচ্ছে।এজন্য ওর সাথে আমাকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। আর এটা বলদটা কিভাবে দেখেছে?? হ্যোয়াট দ্য!! ও কি আমাকে ফলো করে?? কি আশ্চর্য!! এত গাধী আমি!!আমাকে ফলো করে আর এটা আমি কখনো খেয়ালই করিনি। . কয়েকদিন পর ভাইয়া চলে যাবে।ভাইয়ার ছুটি প্রায় শেষের দিকে।এজন্য আজকে নানুর বাড়ির লোকজনের সাথে দেখা করতে যাবে।আমার আবার বেশি লোকজন পছন্দ হয়না।এই জন্য আমি নানুর বাড়ি খুব একটা যাইনা।ভাইয়া গোসল করার জন্য বাথরুমে ঢুকলে ভাইয়ার ফোন থেকে প্রণয় কে টেক্সট করে মোড়ের মাথায় যে রেস্টুরেন্টটা আছে ওটার সামনে আসতে বলি।ফোন থেকে টেক্সটটা ডিলিট ও করে দেই। ভাইয়া আর আম্মু নানুর বাড়ি রওয়ানা দিলো।আমি অপেক্ষা করছি।আজকে যেন সময় কাটতেই চাইছে না।ইশশশশ ওকে যদি আরো একটু আগে আসতে বলতাম। যদিও সাড়ে তিনটার সময় আসতে বলেছি। আমি আব্বুকে বাসায় রেখে তিনটার সময় বের হলাম। রেস্টুরেন্টের সামনে আমি যখন পৌঁছালাম দেখি বলদটা বাইক থামিয়ে ফোন বের করলো।এই রে.. মনে হয় ভাইয়া কে ফোন দিবে।আমি একটু দ্রুত হেটেই ওর সামনে দাঁড়ালাম। . -ভাইয়াকে ফোন করবে?? -একি আপনি এইখানে?? - হ্যা আমিই। কেন আসতে মানা নাকি??যাইহোক ভাইয়া তোমাকে টেক্সটটা করেনি আমি করেছি।আর কোন কথা না বলে বাইকে চড়ে বসে বললাম - হাঁ করে তাকিয়ে না থেকে বাইক স্টার্ট দাও…তোমার সাথে জরুরী কিছু কথা আছে। এখন আমাকে ফাঁকা একটা জায়গায় নিয়ে চলো যেখানে লোকজন খুব একটা থাকবেনা।আমার এত ক্রাউড সহ্য হয়না। . ভদ্র পোলার মত বাইক স্টার্ট দিলো।আমি ওর কাধটা শক্ত করে ধরেছিলাম।কেমন যেন মনের মধ্যে ভালো লাগা আর বেশ আনন্দবোধ কাজ করছিলো। . বাইক যখন থামালো তখন আমরা এসে পৌঁছালাম নদীর তীরে। তেমন লোকজন নেই।একদম কোলাহল মুক্ত শান্ত পরিবেশ।সম্পূর্ণ রাস্তাতে প্রণয় একটা কথাও বলেনি।কি আজব ছেলে রে বাবা। বাইক থেকে নেমে আমি ওকে বললাম . "তামিমের কথা ভাইয়াকে কেন বলেছো?? . "না মানে আসলে আ..আমি.. আমি. . "তুমি কি??. -….… আমি মুখে একটা গম্ভীর ভাব এনে প্রণয় কে বললাম . "ইডিয়ট একটা। তুমি জানো তোমার এই একটা কাজের জন্য আমার লাইফ হেল হয়ে গেলো।ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক করার জন্য বাবাকে বলছে। ওর মুখে আমি ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম। যেন কাছের কিছু হারানোর ভয়।মুখ টিপে হাসিটা কন্ট্রোল করলাম। . "হ্যোয়াট!! আমি তো এটা চাইনি… . "তাহলে কি চেয়েছিলে?? . "বিয়ে ঠিক করতে চাইলো। আর আপনি রাজি হয়ে গেলেন কিছু বলেন নাই? . "কি বলবো?? আর কেনই বা বলবো?? . "নাহ কিছুনা… . "এখন বলো তামিম এর কথা ভাইয়াকে কেন বলেছো?? . "এমনি.. . "এমনি তাইনা??কই দেখি তোমার ফোনটা দাও তো… . "মানে?? . "কানে কম শোনো নাকি?? . "নাহ.. এই যে ফোন.. . "পাসওয়ার্ড দেয়া তো… পাসওয়ার্ডটা বলো… "ইয়ে না মানে.. পা..পাসওয়ার্ড... . "কি হলো বলো তাড়াতাড়ি … . "আই জাস্ট লাভ ইউ… . "কি বললে?? . "পাসওয়ার্ড বললাম ফোনের.. . "ওওও… . "ফোনের গ্যালারী তে তো শুধু আমার ছবি সেইভ করা… আমার ছবি কেন সেইভ করে রেখেছো? . "কি বলেন?? কই দেখি.. আমি তো বের হওয়ার সময় মেমোরিটা চেইঞ্জ করেছিলাম… . আমি হাসিটা চেপে রেখে ফোনটা ওর হাতে দিলাম। . "একি.. গ্যালারী তে তো কোন আপনার কোন ছবিই নেই। . "ধরা খেয়ে গেলে তো..এখন বলো আমার প্রতিটা ছবি সেইভ করে কেন রাখো? . "না ইয়ে মানে আসলে .. . " আসলে কি মানে?আমার সাথে কথা বলতে কি তোমার লজ্জা লাগে? . "হ্যা খুউব… কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন যে আপনার ছবি আমার ফোনের গ্যালারী তে আছে? . "পূর্ণ বলেছে। . "কিহ!! আপনি পূর্নকে চিনেন? . "হ্যা চিনি।পূর্ণ যদি না বলতো তাহলে তো জানতেই পারতাম না তোমার ব্যাপারে।তুমি না একটা ভেজা বিলাই বুঝছো.. বিড়াল বলা যাবেনা ওটা বড্ড ভালো শোনাবে.. . খেয়াল করলাম পাগলটা হাসছে সেই সাথে সাথে মাথা চুলকাচ্ছে.… . " হাসবেনা একদম বান্দরের মতো লাগে।তোমাকে একটা কথা বলার জন্যই আজকে এইখানে তোমার সাথে আসা…আজকে এর একটা বিহিত করতেই হবে।প্রণয় হাসি থামিয়ে মুখে একটা সিরিয়াস ভাব এনে বললো- . "জ্বী বলেন কি বলবেন.. . "জ্বী শোনেন… আপনাকে আমার খুউউব ভালো লাগে।আর আপনিই প্রথম ছেলে যার জন্য আমার অচেনা অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়।এই অনুভূতির নামকরণ না হয় পরে করা যাবে।এখন যদি আপনার ফিলিংসটা আমার সাথে শেয়ার করেন আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকিবো.. দয়া করিয়া বলিবেন কি? . "আপনি আমাকে আপনি বলছেন কেন?? . "একি প্রশ্ন তো আমারও… . "স্যরি আসলে.. . "তো স্যার বলবেন কি? . খেয়াল করলাম বুদ্ধুটা আমার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে।আমার হাত দুটো শক্ত করে ধরে আমাকে ওর সামনাসামনি নিয়ে আসলো। এতক্ষণ আমি ওর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর ও বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। প্রণয় ওর চোখ জোড়া বন্ধ করে বললো - . "তিথি আমার কাছে সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে।সেই স্বপ্ন যেটা আমি গত দুইবছর ধরে লালন করে আসছি।তোমাকে লাস্ট দুই বছর ধরে ফলো করে আসছি।জানিনা কিভাবে তোমার সাথে এড হয়েছিলাম।তবে শান্ত ভাইয়ার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড ছিলে তুমি।এই জন্যেই হয়তো সাজেশনে বার বার তোমার আইডিটা আসতে ছিলো।তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম সাদা আর কালো মেশানো একটা জামা,কালোচুড়িদার আর খোলা চুলে।বিশ্বাস করো সেদিন আমি সারারাত ঘুমাইতে পারিনি।শুধু তোমার ওই ছবিটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি কখনো তোমার সাথে কথা বলার সাহস জোটাতে পারিনি।কখনো তোমাকে টেক্সট করার সাহস হয়নি।শুধু তোমার ক্ষেত্রেই এমনটা হয় কেন?? তুমি যেদিন নিজে থেকে আমাকে টেক্সট করেছিলে যতটা না খুশি হয়েছিলাম তার থেকে বেশি অবাক হয়েছিলাম।আজকে যদি তুমি নিজে থেকে তোমার ফিলিংস শেয়ার না করতে তাহলে আমি কোনদিনও তোমাকে আমার ফিলিংসের কথা বলতে পারতাম না।কথা বলতে চাইলে গলার কাছে এসে জট পাকিয়ে যায় কেন জানিনা।আমার কাধে তোমার প্রথম ছোঁয়া।সেটাও একটা স্বপ্ন ছিলো।আমি যে তোমার হাত ধরে আছি সেটাও আমার একটা স্বপ্ন ছিলো।আজ তা পূরণ হয়ে গেলো।জানিনা কেন আমি তোমার সাথে কথা বলার সময় নার্ভাস ফিল করি।এখনো নার্ভাসনেস কাটেনি।দেখো কপালে কেমন বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হতে শুরু করেছে।তবে কি জানো এখন নিজেকে সব থেকে সুখী মানুষদের মধ্যে এখনো একজন মনে হচ্ছে।বড্ড ভয় হয়.. এই সুখটা কখনো আমার থেকে কেড়ে নিওনা।সহ্য করতে পারবো না।আমি তোমার ভাইয়ার সাথে কথা বলবো এখনি যেন তোমার বিয়ে না দেয়? . "এহহহ উনি ভাইয়ার সাথে কথা বলবেন..কি বলবে শুনি??বিয়ে টিয়ে কিচ্ছু হবেনা এখন।ওটা বলে আমি তো মজা নিচ্ছিলাম।বিয়ের দেরী আছে।অনার্স তো কম্পলিট করি আগে।। মাত্র তো প্রথম বর্ষে।এখন চোখ খুলো তো..ভয় পেয়ো না। তোমাকে মাঝরাস্তায় একা রেখে আমি পালিয়ে যাবো না.. . "মজা নিচ্ছিলা?? আর একটু হলেই আমি কান্না করে ফেলতাম.. . " আহা রে…তুমি না আস্ত একটা স্টুপিড জানো সেইটা??... . " হুমম...হাতটা ধরে থাকি?ছাড়তে ইচ্ছা করছেনা.. . "উহুম.. তোমার স্বপ্ন তো পূরণ হলো এখন আমার স্বপ্ন গুলা পূরণ করো… . "বলো… . "সমুদ্রতীর না হোক, নদীর তীর তো আছে।ওই যে দেখো সূর্যটা কি সুন্দর লাল হয়ে আছে… . প্রণয় বাইক থেকে চাবি খুলে নিয়ে বললো- . "চলো তাহলে তোমার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাওয়া যাক… . সূর্যটা অস্ত যাবে খানিক বাদেই।এই গোধূলি লগ্নে ওদের সম্পর্কের শুরুটা নেহাতই মন্দ হলো না।এই গোধূলি লগ্নে দুজন ভালোবাসার মানুষ একে অপরের হাত ধরে তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে একপা দুপা করে এগিয়ে যাচ্ছে।নদীর তীরের আছড়ে পরা ঢেউ গুলা আর লাল হয়ে যাওয়া সূর্যের কিরণ যেন তাদের ভিজিয়ে দিয়ে সানন্দে অভিবাদন জানাচ্ছে….. . এ যেন এক স্বর্গীয় মুহূর্ত।আমার কাছে এর চেয়ে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর কিছু হতে পারেনা… . লিখা-সাদিয়া আফরিন সঞ্চিতা


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৬৬ জন


এ জাতীয় গল্প

→ ভার্সিটির ফাস্ট ছাত্র যখন রিকশা চালক(সম্পূর্ণ গল্প)
→ ভার্সিটির বড় ভাই

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • shohanur rahman
    Guest ৬ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    সঞ্চিতা