বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

রাসমণির কাহিনী—২

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X " রাসমণির কাহিনী " বাণী রায় -------------------- (পর্ব ২) ধীরে ধীরে রাসমণির গুণপনা দেখতে লাগলাম ৷ কোনো সময় বসে না ও। ঘরদোর আপনা থেকে ঝেড়েমুছে ঝকঝকে করে রাখে। অন্যলােকের কাজ আগেভাগে সারে। মা ওকে লোভী সন্দেহ করেছিলেন। সে দিকে চোখ রেখেওও আশ্চর্য হলাম। খাবার বিষয়ে কোনাে লোভ নেই। অর্ধেক জিনিস খায় না। ভাল ভাত চারটি নিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়, আড়ালে বসে পাঁচ মিনিটে খাওয়া সারে ৷ লোকের সামনে বসে খেতে হলে নেহাত দায়সারা গোছের বা না খেলে নয়, খেয়ে উঠে যায় ৷ না খাওয়ারও সীমা আছে। একদিন বললাম, “এত বড়ো মানুষ, এত কম খেয়ে দিনরাত খাটো কী করে ?” রাসমণি আমার জুতো রং করছিল, মুখ তুলে বললে, “সবাই কি সব খ্যাতে পারে, দিদিমণি? যার যা ভালো লাগে, সে তাই খায় ?" কিন্তু দেখলাম যে না খেয়ে খেয়ে রাসমণি রোগা হয়ে গেছে ৷ অমন টকটকে যে ঠোঁট সেও সাদা হয়ে উঠেছে ৷ আমাকে রাসমণি অসম্ভব যত্ন করতে লাগল। মা বাবা কাছে না থাকার দুঃখ আমি ভুলে গেলাম ৷ সব ভাই-বোনকেই যত্ন করত ও, কিন্তু আমাকে যেন প্রাণ ঢেলে করত। আমার জামাকাপড়, জুতো বই হাতের কাছে রাখা, আমার সুখ-সুৰিধার দিকে সবসময় নজর রাখা, এসব কথা আজও মনে হলে ভাবি নিজের মাও বোধহয় ছেলেময়েকে এত যত্ন করতে পারে না। জঘন্য উদ্দেশ্যে করলেও রাসমণির মতো যত্ন আমার জীবনে কেউ করেনি। বিশেষ করে, রাসমণি আমাকে ভালোমন্দ খাওয়াতে প্রাণ দিত। দিব্যি গোলগাল মানুষটি ছিলাম। রাসমণির যত্নে রীতিমতো মোটা হয়ে উঠলাম। তবু খাওয়ানোর বিরতি ছিল না ওর। এক বাতিক ছিল রাসমণির। যখন তখন বাটি ৰাটি দুধ এনে আমাকে পেড়াপিড়ি করত, “দুধ টুকু খায়া ফ্যালান, দিদিমণি ৷ গ্যায় রক্ত হােবে।” আমি দুধ খেতে ভালোবাসি না। বিরক্ত হয়ে বলতাম, ‘আমার রক্ত হলে তোমার কী ?” অদ্ভুত দৃষ্টিতে সে ডাকাত ৷ বুকের মধ্যে ছাঁৎ করে উঠত আমার। পরক্ষণেই মায়া জড়ানাে সুরে চোখ নামিয়ে বলত, “আপনার মা আপনারে আমার হাতে দিয়া গ্যাছেন না ?” তা রাসমণি ভালোভাবেই আমার প্রতি চোখ রেখেছিল। সে ইতিহাস পরে শুনাে। ক্রমে ক্রমে রাসমণি বাড়ির প্রিয় হয়ে উঠল। বিশেষ করে আমি ওর ওপরে নির্ভর করতে লাগলাম। চোখের চাউনি অদ্ভুত হলেও রােগা কালো মানুষটার ঠোঁট ছাড়া কোনো বিশেষত্ব ছিল না৷ গালটা একটু ভাঙা, পুরুষালি গড়ন। ওকে দেখে প্রথম দিনের অজানা অস্বস্তি চলে গেল আমার। আমাকে ও এত ভালোবাসল যে আমারও ওর ওপরে কোনো সন্দেহ রইল না। ওর নির্লোভ স্বভাব আরও আমাকে অবাক করল ৷ সোনাদানা, টাকা ছড়ানাে থাকলেও ফিরে চাইত না ও। নিজের সামান্য টাকাকড়ি পর্যন্ত বাড়ির অন্য ঝি চাকরদের মধ্যে বিলিয়ে দিত। ফলে, বেশ প্রতিষ্ঠা পেল ও। মনে মনে খুশি হয়ে ভাবলাম মা ফিরে এসে রাসমণিকে কত ভালো বলবেন। এর মধ্যে মায়ের চিঠি এল, "তোমার কাকা ভালোর দিকে,কিন্তু কাকিমার আবার ওই অসুখ করেছে ৷ এ সময়ে আমার যাওয়া সম্ভব নয়। তোমার বাবার কথা তো ওঠেই না৷ তবে খাজনা আদায়ের কাজটা মিটে গেলেই সরকারমশাইকে পাঠাব। তুমি ভালো সংসার চালাচ্ছ জেনে আমি তাড়াতাড়ি করছি না ফিরে যাবার ৷ রাসমণি এত ভালো শুনে সুখী হলাম। রুবি মা, তুমি আর একটু ধৈর্য ধরে থাকো। তোমাদের ছুটির দেরি নেই৷ তখন একটা ব্যবস্থা হবে৷ তোমার মেসোমশায় তো দেখছেন তোমাদের ৷ মেসোমশারের ওপর মায়ের মস্ত নির্ভর ছিল।কিন্তু মেসােমশায় রাত্রে সারাদিনের কাজের পরে ক্লান্ত শরীরে এসে শুতেন মাত্র একবার আমাকে ডাক দিয়ে। আবার ভোর হতে না হতে মেসে চলে যেতেন ৷ যাই হোক, দেখার লোকের অভাব ছিল না। রাসমণি একাই একশো, এর মধ্যে বিপদ হল। কানাই সিং দারােয়ান কোথা থেকে জলবসন্ত নিয়ে এল। নিজেও খুব ভুগল, আমার ছোটো ভাই সুশান্ত রও ছোঁয়াচ লেগে অসুখ হল। বিপদে পড়লাম। রাসমণি আমাকে বোঝাল, “সামান্যি রোগ দিদিমণি ৷ আমিই তো আছি ৷ সেবাযত্নের ঘাটতি হবে না। খামােকা মা ঠানরে চিঠি লেখবেন না, ওনার পরানডা পুড়তি থাকবে ৷” রাসমণি নিজগুণে বাড়ির কত্রী হয়েছে ৷ ডাক্তারবাবুও ভরসা দিলেন ৷ মাকে আসবার কথা লেখা হল না৷ রাত্রে সুশান্তের ঘরে আমি শুতে চাইলে রাসমণি আমাকে বোঝাল, “ছোঁয়াচে রোগের ঘরে থাকবেন ক্যান আপনি ? নিজের ঘরে শুয়্যা থাক্যে গা, আমি রাত জ্যাইগা দাদাবাবূরে পাহারা দেবনে। দরজাডা শুধু খুল্যা রাখবেন ঘরের ৷ রাতবিরেতে ডাক দিতে হয় যদি।” সেই ব্যাবস্থাই হল। রাসমণি নীচের ঘর থেকে ওপরে এসে সুশান্তর ঘরের মেঝেতে শুল, আমি আমার ঘরের দোর খুলে রাখলাম ৷ রাত্রে কিন্তু রাসমণি ডাকল না। সকালে উঠে দেখি মাথার মধ্যে কেমন ঝিমঝিম করছে। ভয় হল। ছোঁয়াচে ব্যধি ঢুকেছে বাড়িতে, হয়তো আমারও হবে৷ কিংবা ভোরের ঠান্ডা বাতাস মাথার লেগে মাথা ধরেছে। সারাদিনটা শরীর বড়ো দুর্বল লাগল। সুশান্তর জন্য ব্যস্ত থাকায় নিজের দুর্বলতা আমল দিল না। পরের দিন কিন্তু মাথা আরও ধরল ও শরীর বেশি ঝিমঝিম করতে লাগল। রাসমণিকে রলাতে সে একবাটি দুধ এনে ধরল মুখের কাছে। ঠিক করলাম আজ মাথার কাছের দোর বন্ধ করে শোব, হয়তো ভোরের ঠান্ডা বাতাস সোজা মাথায় লেগে এমনটা হচ্ছে। রাত্রে ঘরের দোর দিতে গেলেই রাসমণি ছুটে এল, “ওকী দিদিমণি, দুয়্যার দ্যান ক্যান ? বোগী মানষের বাড়ি, দুয়্যার খোলা রাখন ভালো ৷” রাসমণি দরজার গোড়ার দাঁড়াল ৷ সারাদিন রোগীর সেবা নিয়ে থাকলেও চেহারা এ কদিন ফিরছে ওর ৷ ঠোট দুটার সাদাটে ভাবও কেটে গেছে ৷ বললাম “দরজা দিচ্ছি তাতে কী? দরজা ঠেলে ডেকাে ৷” রসমণি কেমন ছটফট করতে লাগল, কী যেন চায় ও বলতে। এই ভাবটা মাঝে মাঝে দেখি ওর। অনেকদিন পরে কেমন একটা অস্বস্তির ভাব এল, যেমন রাসমণিকে দেখে গোড়ার হয়েছিল৷ মনে হতে লাগল এ বাড়িতে রাসমণি থাকলে যেন অমঙ্গল হবে৷ রাসমণি যেন অন্য ধরনের লোক, কোথা যেন তফাত আছে ওর আমাদের সঙ্গে। মনকে তখনই ঠিক করে ফেললাম। অসহায় গরিব মানুষ পেটের দায়ে খেটে খাচ্ছে। প্রাণ দিয়ে ও আমাদের সেবা করে। সুশান্তর এমন ছোঁয়াচে ব্যধি, তাও ভ্রুক্ষেপ নেই। পুরােনো চাকর রামনিধিয়া তো ভয়ে দোতলায় ওঠে না। কানাই সিং এখনও খুব দুর্বল। ঠাকুর গাঁজাখোর। আমার ভরসা এক রাসমণি ৷ দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম বটে, কিস্তৃ রাত্রে ভালো ঘুম হল না।সুশান্তর ঘরে রাসমণি ডাকে কি না। রাসমণি চায় আমি ওর কথা শুনে চলি। আমার বয়সের তুলনায় ও আমার মায়ের বয়সি ৷ তাই বুঝি এত টান আমার ওপরে ? সুশান্তর জ্বর আজ নেই কিন্তু বসন্ত গুলাে শুকিয়ে উঠবার দেরি আছে। ততদিনে মা এসে যাবেন। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি মাথার ঝিমঝিম ভাব আজ মােটে হয়নি। যদিও রাত্রে নানা চিন্তায় ঘুম আসেনি ভালো। বুঝতে পারলাম, ঠান্ডা বাতাসে অমন হত। দরজা খুলে শোওয়া চলবে না। রাসমণিকে আজ বড়ো বিষন্ন দেখলাম ৷ দিনরাত একটানা কাজ করে করে বেচারি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বোধহয়। সুশান্তর অসুখে কলেজে যাওয়া বন্ধ দিয়েছিলাম৷ দুপুরে সুশান্তর ঘরে বসলাম ইতিহাসের বইখানা নিয়ে। রাসমণিকে বললাম, “এ কয়েকদিন রাত জেগেছ, একটু ঘূমিয়ে নাওগে। রাসমণি কেমন করে যেন আমার দিকে চেয়ে চলে গেল ঘরের বাইরে ৷ বুকের মধ্যে কেমন যেন করে উঠল। তীব্র চাউনি রাসমণির, যেন আমার মধ্যে থেকে কিছু তুলে নিতে চায়। কী যে জিনিস? কেন আমার ওকে দেখলে এমন ভয় …হচ্ছে? ও তো নিরীহ প্রাণী… আমাকে এত ভালােবাসে ৷ " দুপুর তিনটের সময় চা খেতে ইচ্ছা হল। নীচে নেমে এলাম ৷ গাঁজাখোর ঠাকুরের দেখা পেলাম না। চাকরের ঘরের দিকে যেতেই দেখলাম খিড়কির দাের দিয়ে রাসমণি প্রায় দৌড়ে এসে উঠােনে ঢুকল। চমকে উঠলাম ওর দিকে চেয়ে ৷ হাতে মুখে কাপড়ে রাসমণির তাজা রক্তের ছোপ, চুলগৃলাে এলানাে ৷ হঠাৎ দেখলে আতকে উঠতে হয়। আমি থমকে দাঁড়িয়ে রইলাম, রাসমণিও আমার দিকে চেয়ে ঘাবড়ে গেল। একটু পরেই সামলে নিয়ে রাসমণি তার পরিচিত মায়া জড়ানাে গলায় বলল, “দ্যাখেন দিদিমণি, পাড়ার লোকে আমারে তাড়া দিল ৷ দৌড়ায়ে প্যালাতে যায় ক্যাটাকুট্যা গ্যালাম পইড়া যায়া। কেমন ধারা লোক এ্যারা গো ?’ ’ আমি বিগলিত হয়ে পড়লাম ৷ আহা আমাদের জন্য রাসমণির এত শাস্তি। বললাম, “দেখি, দেখি কোথায় কাটল ? ওষুধ দিয়ে দিচ্ছি ৷” রাসমণি চট করে সরে গেল। বললে, “ও কিচ্ছু না, দিদিমণি। গরিবের অমন কত লাগে।’ ‘ রাত্রে সেদিন স্বপ্ন দেখলাম, ঘোর বনের মধ্যে পথ হারিয়েছি। রাসমণি নীল আলোর মধ্যে আসছে আমার দিকে পায়ে পায়ে… হেলেদুলে কেমন অদ্ভুত ভঙ্গিতে। কিন্তু রাসমণিকে দেখে আমার ভয়ই হচ্ছে..... ভরসা পাচ্ছি না। কেমন যেন গা দুলিয়ে চলে রাসমণি, প্রথম দিনেই চোখে পড়েছিল। স্বপ্নের ঘোরে নীল আলোর মধ্যে রাসমণির চলা যেন কত চেনা ৷ কোথায় যেন এমন গা দুলিয়ে চলা দেখেছি ? ঘূমের মধ্যে শিউরে উঠলাম। চিড়িয়াখানার খাঁচায় এমন চলন দেখেছি হিংস্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ৷ ঘুম ভেঙে উঠে মনে হল কে যেন আস্তে আমার দরজায় ঠেলা দিচ্ছে। পরীক্ষা করে দেখছে আমার দরজা খোলা কি না। বন্ধ দোর দেখে চুপিচুপি সে ফিরে যাচ্ছে। আমি যেন স্পষ্ট তার নিশ্বাসের শব্দ, পা ফেলার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। আমার সাহস ছিল। কাউকে কিছু বললাম না। ছোটো ভাই বোন চাকরবাকর ভয় পাবে ভেবে। কেবল মায়ের আসবার দিন গুনতে_ লাগলাম। এর মধ্যে সুশান্ত অনেকটা সেরে উঠল, কানাই সিং সেরে উঠে ওর ঘরে শুতে লাগল। রাসমণি বার হয়ে গেল ৷ এ ধারে পর পর কয়েকদিন দরজা ঠেলা, পায়ের আওয়াজ হতে আমার যেন কেমন ভয় হতে লাগল ৷ রামনিধিয়ার পরামর্শে রাসমণিকেই ঘরে শোয়ানাে স্থির করলাম ৷ রাসমণি অত্যন্ত খুশি হল।' এইবার আমার সম্পূর্ণ হেফাজত পেল ভেবে বোধহয়। দু একদিন রাসমণি শোবার পরে একদিন কানাই সিং আমাকে চুপিচুপি ডেকে বলল, “দিদিমণি, উ ঝি তো বাউড়া আছে ।” আমি বললাম, “একদিন ওকে চোর বলেছিলে, আবার পাগল বলছ? তুমি ওকে দেখতে পার না। ’’ ‘‘না, দিদিমণি ৷ উ তো কাল দুপহরে উর পরের ভেতর নাচ করছিল একা একা। ’’ “নাচ করছিল কী ?" “হ্যা, দিদিমণি ৷ একা একা লাফাচ্ছিল, আর কী সােব বুলি বলছিল। হামি নিজে দেখেছি।” আমি কানাই সিং এর কথা হেসে উড়িয়ে দিলাম। রাসমণি আমাকে কত যত্ন করে, ওর বিরুদ্ধে কোনো কথা আমার শোনা উচিত নয়। কত আগ্রহ করে আমার ঘরে রোজ শুতে আসে, গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আগে আমাকে ঘুম পাড়ায় ৷ ঘুম কী গভীর হয় আমার আজকাল, সারারাত অজ্ঞানের মতো পড়ে থাকি, শরীর যেমন খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার, গরমে আর অসুখের ভাবনায়, তাতে এ ঘুম আমার দরকার ছিল। রাসমণি কত যত্ন করে ঘুম পাড়ায়। মনে মনে কৃতজ্ঞ হলাম ৷ রাসমণি আমার ঘরে শোওয়ায় কোনো ভয় নেই আমার। তারপরে সিনেমার মতো একের পর এক ছবি আজ আমার মনে ভাসছে ৷ শরীরে বল পাই না l রাসমণির দেওয়া দুধ বাটি বাটি খাওয়াতেও শরীর ফেরে না৷ নিশ্চেষ্টভাবে দিন কাটাই। একদিন ঘুমের ঘোর কেন জানি না, হঠাৎ রাত্রে কেটে গেল। অন্ধকার ঘরে ঘুম জড়ানাে চোখে ভালো দেখতে পাচ্ছিলাম না। মনে হল রাসমণি যেন খাটের নীচে পাতা ওর বিছানায় নেই। ও যেন আমার পায়ের কাছে খাটে এসে বসেছে দোজানু হয়ে। দু হাত ওর হাটুতে রাখা, চোখ আধবােজা ৷ চোঙের মতো মুখখানা আরও সরু হয়ে গেছে যেন, কিছু চুমুক দিয়ে যাচ্ছে। আমার সমস্ত শরীর যেন অসাড় হয়ে আছে ভয়ে l আমি যেন আঘাতে নেই। আমার শরীরের মধ্যে থেকে কী যেন উঠে যাচ্ছে রাসমণির দিকে। রাসমণির চোঙের মতো মূখখানা আমার দিকে নামিয়ে আনছে ক্রমশ ৷ চিৎকার করে উঠতে যেয়ে আবার কীসের ঘোরে হারিয়ে ফেললাম নিজের চৈতন্য ৷ (ক্রমশ) ----------


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২২৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now