বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

তুমি লুটপাট হয়ে যাবে

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X তুমি লুটপাট হয়ে যাবে -তামান্না ইসলাম . পল্লবী পর্যন্ত রিকশার হুডটা টানা ছিল। আরমানের সাথে সোনিয়া এর আগেও রিকশায় উঠেছে, তবে এতো দূর পর্যন্ত না। বড় জোর দশ পনর মিনিটের জন্য। আজ ওর ভাব সাব ভালো ঠেকছে না। সোনিয়াকে বলেছে আরমানের খালাতো বোন রীতা আপু ওকে দেখতে চেয়েছে। রীতা আপুর বাসা পল্লবীতে। ওখানেই যাচ্ছে ওরা। কিন্তু রিকশায় উঠেই হুডটা টেনে দিয়েছে। পুরোটা পথ কেমন জানি অস্থিরতায় ভুগছে আরমান, কথা বললে ছাড়া ছাড়া উত্তর দিচ্ছে। আবার একটা চাপা খুশিও আছে চোখ দুটোতে। সোনিয়া কিছুই বুঝতে পারছে না। পল্লবীর গলিতে রিকশাটা ঢুকতেই রীতা হুডটা নামিয়ে দিতে চাইলো। 'রাস্তা এতো খারাপ, খুব ঝাঁকুনি হচ্ছে', বাকিটা আর শেষ করলো না ও। আরমান একটু বিরক্ত হয়ে বলল ' আর একটু পথ, থাক না।' এরকম গলির মধ্যে গলি , তস্য গলি যে ঢাকা শহরে আছে, সোনিয়ার সেটা জানা ছিল না। একটা চার তলা বাড়ির দোতলায় রীতা আপুর বাসা। আপু বাসায় নেই, বাজারে গেছেন, কিছুক্ষণ পরই আসবেন। দরজা খুলেছিল একটা বিশ একুশ বছরের ছেলে। রীতা আপুর দেবর বদরুল। বদরুলের সাথে আরমানের যে বিশেষ চেনা জানা নেই, সেটা ওদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। বদরুল কেন যেন ওদেরকে সরাসরি যে রুমটায় নিয়ে গেলো, সেটা একটা শোবার ঘর। পাশাপাশি দুটো সিঙ্গেল খাট রাখা। একটা পড়ার টেবিল। দেওয়ালে একটা ক্যালেন্ডার। আর একটা ......... মেয়ের ছবি, ছবিটা একবার দেখলে আর তাকাতে রুচি হয় না। আরমানের কাজিনের এতো খারাপ রুচি, 'কে জানে হয়তো ওনার দেবরের ঘর এটা।' নিজেক বোঝায় সোনিয়া। 'এটা কার ঘর?' সরল মনে জানতে চায় সোনিয়া। 'কে জানে, এ বাড়িতে অনেক মানুষ, গেস্ট রুম টুম হবে হয়তো।' আরমান কেমন যেন আলগা ভাবে উত্তর দেয়, সোনিয়ার নজর এড়ায় না সেটা। ঘরে ঢুকেই দরজার ছিটকিনি আটকে দেয় আরমান। ও পিছন ফিরতেই দেখতে পায় দুই চোখে জিজ্ঞাসা নিয়ে তাকিয়ে আছে সোনিয়া। ' কে কখন হুট করে চলে আসবে, শেষে আপু বিপদে পড়বে, কী দরকার ফালতু ঝামেলার?' সোনিয়ার অস্বস্তি বাড়ছেই। ওকে হাত ধরে বিছানায় বসায় আরমান, ওর দুচোখে হাসি। দুষ্টুমি ভরা হাসি। 'তুমি ভয় পাচ্ছ কেন বেবি? আমাকে তুমি বিশ্বাস করো না?' একথায় আসস্থ হয় সোনিয়া। ও এতক্ষণ খামখাই ভাবছিল। ওর চুল নিয়ে খেলতে থাকে আরমান। আরেক হাতের আঙ্গুল গুলো সোনিয়ার হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে খেলা করে। চুল থেকে ধীরে ধীরে সেই দুষ্টু অবাধ্য আঙ্গুল গুলো নেমে আসে চোখের পাতায়, তারপর ঠোঁটে। ওর কানগুলো গরম হয়। শরীরের কোথায় যেন একটা অদৃশ্য হিটার চালু হয়েছে। নিজের ভেতরে একটা শক্তিশালী চুম্বকের অস্তিত্ব টের পায় সোনিয়া। যেই চুম্বকটা টানছে, কোন এক অনুভূতিকে তীব্রভাবে টেনে চলছে। আরমানের ঠোঁট দুটো যখন আলতো করে স্পর্শ করেছে ওর ঠোঁট, সেই চুম্বকটাই মনে হয় গ্রাস করে নেয় তাকে। আরমানের আদর যখন ওকে পিষে ফেলছে জানালার পর্দাগুলো টানা আছে কিনা ঠিকঠাক মতো শুধু এতোটুকুই খেয়াল করতে পারে সে। হাল্কা নীল স্বচ্ছ জামদানি ওড়নার আড়ালে ঠেলে বেড়িয়ে আসছে ওর বাইশ বছরের সযত্নে লালিত তন্বী দেহ, সরু কোমরের উপরে সুগঠিত বুক। ওড়নাটা সরিয়ে সেখানে পোষা বিড়ালের মতো মুখ ঘষে আরমান। সোনিয়া আর পারছে না, ওর নিজেকে একটা ব্ল্যাক হোল মনে হয়, যেটার কথা সে নিজেই জানতো না। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে। আরমান কেন আজ তাকে এই অচেনা ব্ল্যাক হোলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল? এই ব্ল্যাক হোলে আজ তারা দুজনেই যদি শেষ হয়ে যায়? কখন যেন ফিটিং কামিজের পিছনের জিপারটা খুলে ফেলেছে আরমান, বাধা দিতেও ভুলে গেছে সোনিয়া। জামাটা কোমরের নীচে নামিয়ে দিতেই লজ্জায় চোখ বুজে ফেলেছে সে, দুহাতে মুখ ঢেকে বার বার বলছে 'আর না বাবু , আজ থাক, প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ বাবু।' কতক্ষণ মনে নেই হটাত দরজার বাইরে হেঁচকি হাসি, কিছু ভেঙ্গে পড়ার শব্দ আর দুড়দাড় দৌড়ে পালানোর পায়ের শব্দে কেঁপে উঠে সোনিয়া। জামাটা গলিয়ে দরজায় পৌঁছানোর আগেই আরমান পৌঁছে গেছে সেখানে। ' ওহ মাই গড', এখানে তো একটা ফুটো।' 'এখন কি হবে আরমান? কেউ কি ছিল দরজার আড়ালে?' একদম কেঁদে ফেলে সোনিয়া। ভয়ে, লজ্জায় কাঁপছে সে, এতক্ষণ কী করছিল সে, তার মতো শান্ত, শিষ্ট, ভদ্র মেয়ে। ফেরার পথে একটাও কথা বলে নি সে, পুরোটা সময় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছে। মাস খানেক কেটে গেলো। ওই দিনের কথা নিয়ে তারা আর কোন কথা বলে নি। আরমানকে কিছু বলতেও খারাপ লাগছিল ওর। তবে ওর সাথে আর কোথাও যায় নি, যোগাযোগও কমিয়ে দিয়েছে। আরমান অভিযোগ করে মাঝে মাঝে ' তুমি আজকাল কেমন যেন দূরে দূরে থাকো।' তবে এর বেশি চাপাচাপি করে না আর। সেও হয়তো কিছুটা বুঝতে পেরেছে। কাল একটা মিড টার্ম আছে, সোনিয়া খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করছে। সেই সময়ে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ম্যাসেজ আসে, 'কাল দুপুরে পিজা হাটের সামনে থেকে তুলে নেব তোমায়, বহু দিনের সাধ একটা দুপুর তোমায় কাছে পাবো একান্তে। সেই সেদিন পল্লবীতে তোমায় দেখার পর থেকে আর ঘুমুতে পারছি না।' হটাত প্রচণ্ড শীত শীত লাগে সোনিয়ার। সে স্বপ্ন দেখছে না তো। হয়তো আরমান দুষ্টামি করছে তার সাথে। 'কিন্তু এ কেমন ধরনের দুষ্টামি? ' মিনিট পাঁচেক পরে আরেকটা ম্যাসেজ , একই নাম্বার থেকে। সঙ্গে একটা ভিডিও ক্লিপ। 'আমি কিন্তু সিরিয়াস, যদি কোন ঝামেলা করো তোমার এই হট ভিডিওটা কাল রাতে ভাইরাল হবে, আমার মতো আরও হাজারও ছেলের রাতের ঘুম হারাম হবে।' কাঁপা কাঁপা হাতে ভিডিওটি খুলে প্রচণ্ড অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে আছে সোনিয়া। সব শেষ, লুটপাট হয়ে গেছে সোনিয়া।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৭৭ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • shohanur rahman
    Guest ৬ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    vlo likhsen