বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গল্পের মাধ্যমে নেতৃত্ব শিখুন-৩(সংগৃহিত)

"শিক্ষণীয় গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান তপু (০ পয়েন্ট)

X সেদিন ছুটি শেষে খোকা আর আদিবা ভাইস প্রিন্সিপ্যাল স্যারের রুমের বাইরে দাঁড়িয়েছিলো। বহুকষ্টে সাহস সঞ্চয় করে খোকা বললো, "স্যার আসতে পারি?" স্যার একবার শুধু ভ্রু কুঁচকে ওদের দেখলেন। তারপর নিজের কাজে মনোযোগ দিলেন। ওরা অপেক্ষা করতেই থাকলো। আর পরস্পর চাওয়াচাওয়ি করতে করতে ভাবতে লাগলো কি করা যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পরে স্যার ওদের ইশারায় ডাকলেন। খোকা স্যারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কিছুটা ভয় ভয় নিয়েই বললো, “স্যার, আমাদের এক বন্ধু একটা সমস্যায় পড়েছে।” ভাইস প্রিন্সিপ্যালঃ "কী সমস্যা?" খোকাঃ "ওকে আমাদেরই আরেক ক্লাসমেট নানাভাবে হেনস্থা করছে।" ভাইস প্রিন্সিপ্যালঃ "হেনস্থা করছে!" খোকাঃ "জি স্যার। টিফিন ব্রেকে ওকে নানা ভাবে হেনস্থা করে। আসলাম আর তার বন্ধুরা মিলে প্রায় প্রতিদিনই তপুকে মারধর করে।" আদিবাঃ "আর এই ভয়ে তপু গত কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসছে না।" যোগ করলো আদিবা। ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ওদের কথা শুনে বিরক্ত হলেন। বললেন, “ও নিজে কেনো এসে অভিযোগ করছে না? তাছাড়া আমি যতদূর জানি আসলাম স্কুলের সেরা ছাত্রদের মধ্যে একজন।” আদিবাঃ “স্যার, আসলাম সবসময় এরকম একটা ভালমানুষের ভান ধরে থাকে। অথচ ও তপুকে এতোটাই ভয় দেখিয়েছে যে ও স্কুলে আসাই ছেড়ে দিয়েছে। এমনকি আসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছেনা।” কিছুটা ক্ষোভ নিয়েই বললো আদিবা। ভাইস প্রিন্সিপ্যালঃ “এরকম একটা সামান্য বিষয় তোমরা আমাকে কেনো বলতে এসেছো? ক্লাসটিচারকে বলতে পারতে”। ভাইস প্রিন্সিপ্যালের গলায় বিরক্তির সুর। স্যারের কথা শুনে অবাক হলো আদিবা। উত্তর দিলো, "আমরা বলেছি স্যার। কিন্তু উনি বললেন প্রমাণ ছাড়া উনি কিছুই করতে পারবেন না।" ভাইস প্রিন্সিপ্যালঃ "দেখো, তোমাদের ক্লাসটিচারই এ ব্যাপারে আমার থেকে ভালো বলতে পারবেন। আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না।" আদিবা আর খোকা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলো। কিন্তু তিনি তাদের সেই সুযোগ না দিয়ে ওদেরকে রুমের বাইরে যেতে বললেন। একবুক হতাশা নিয়ে ওরা মাথা নিচু করে ভাইস প্রিন্সিপ্যালের রুম থেকে বের হয়ে হাঁটতে লাগলো। “আমাদের অন্যকিছু ভাবতে হবে।” নীরবতা ভেঙ্গে বললো আদিবা। খোকা ওর অবিচলতা দেখে ভীষণ অবাক হলো। অথচ ভাইস প্রিন্সিপ্যাল না করে দেওয়ার পর ও কিনা হতাশ হয়ে গেলো! খোকাঃ "এখন আমরা কি করবো আদিবা?" আদিবাঃ "বেশ কয়েকটা উপায় আমাদের বের করতে হবে। দেখতে হবে কোনটা কাজ করে আর কোনটা কাজ করেনা।" খোকাঃ "ঠিক আছে। তবে সরাসরি আমরা কিছুই করতে পারবো না।" আদিবাঃ "স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আমাদের কোনো সাহায্য করবেনা।" খোকাঃ "হুম। তারা মনে করে আসলাম খুব ভালো ছেলে আর আমরা বানিয়ে বানিয়ে অভিযোগ করছি। তাই এখন অন্য কোনো উপায় আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে।" আদিবাঃ "চল ক্লাসের সবাই মিলে আসলামের সাথে কথা বলি।" খোকাঃ "এটা কিন্তু তুই দারুণ বলেছিস। খোকার গলায় খুশির সুর।" আদিবাঃ "তবে আমাদের কিন্তু কিছু ব্যাকআপ প্ল্যান ও রাখতে হবে।" বললো আদিবা। চিন্তনমূলক প্রশ্নঃ আদিবা ও খোকা পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নিতে পারে বলে তুমি মনে করো? আমরা যা শিখলামঃ নেতৃত্ব চর্চার বেলায় প্রায়ই অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। কাজের সাথে অনেক সময়ই ফলাফলের কোনো মিল থাকেনা। যদি তুমি তোমার প্রতিটা পদক্ষেপকে চূড়ান্ত না ভেবে পরীক্ষণমূলক বলে ভাবো তবেই তোমার জন্য ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠা সহজ হবে। চারপাশের অভিজ্ঞ মানুষের মতামত নিয়ে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নিলে খুব সহজেই ঝুঁকি সামলানো যায়।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২২৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now