বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভীষণ জ্যাম

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X সাত বছর আগে পুরনো ঢাকার বাংলা বাজারের মোড়ে ভীষণ জ্যাম লেগেছিল। কী যে জটলা! কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই আশপাশে। পাশে তাকিয়ে দেখি---বাইশ তেইশ বছরের চার-পাঁচটা ছেলে ক্যারাম বোর্ড খেলছেন একটা খালি জায়গায়। রিকশা থেকে নেমে তাদের বললাম, ‌'ভাই, আসেন না সবাই মিলে জটলাটা ছাড়িয়ে দেই।' সবাই এগিয়ে এলেন। তার মধ্যে একটা ছেলে কোথা একটা হকিষ্টিক এনে জটলার মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্রচলিত একটা গালি দিল ঢাকাইয়া ভাষায়। [সত্যি করে বলছি, সেদিন ওই গালিটা খুব মিষ্টি লেগেছিল।] তারপর হকিষ্টিকটা উঁচু করে ধরে বললেন, অামাদের কথা ছাড়া কেউ কোনো গাড়ি এক ইঞ্চি সামনে আগাইলে চুরমার করে ফালামু সব কিছু। বিশ্বাস করুন মাত্র পাঁচ-ছয় মিনিটে সব জটলা ফিনিশ। কী যে আনন্দ লেগেছিল সেদিন। রাস্তার পাশে বিক্রি করা বারো গ্লাস ঘোল সাবাড় করেছিলাম আমরা ছয়জন মিলে। এরপর থেকে এই কাজটা আমি প্রায়ই করি, কোথাও জটলা দেখলে নিজ উদ্যেগে সমাধান করার চেষ্টা করি। [আল্লায় জানে পরজনমে ট্রাফিক পুলিশ হয়ে জন্মাব কি-না!] অনেক বছর পর গতকাল রাত সাড়ে দশটায় এরকম একটা জটলা পেলাম মিরপুর-২ এর থানার সামনে। সারাদিন পর অফিস সেরে বাসায় ফিরছি। ক্লান্ত। তবুও নেমে পরলাম। সঙ্গে সঙ্গে অাশপাশ থেকে চার-পাঁচটা ছেলে এসে উপস্থিত। কাজে লেগে গেল আমার পাশে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে একজন বয়স্ক পুলিশ এসেও উপস্থিত হলেন আমাদের পাশে। সারাদিন ডিউটি করার পর ক্লান্ত। তবুও হাসি হাসি মুখে বললেন, ‌বাবারা, আমার ডিউটি শেষ৷ কিন্তু তোমাদের কাজকারবার দেখে আর আর বাসায় যেতে পারলাম না। তিনিও লেগে গেলেন আমাদের সঙ্গে। আজ একটু বেশি সময় লাগল---দশ বারো মিনিট। সবশেষে স্কুল ব্যাগ কাঁধের ছেলেটাকে বললাম, এই যে তুমি এতক্ষণ জ্যাম ছাড়ানোর জন্য কষ্ট করলে, জ্যাম ছেড়ে গেছে, এখন কেমন লাগছে তোমার? 'খুব ভালো লাগছে।' প্রসারিত একটা হাসি দিয়ে ছেলেটা বলল, ‌'ভালো কাজ করার যে এতো আনন্দ!' মাথার এলোমেলো চুলগুলো আরো এলোমেলো করে দিয়ে বললাম, 'সত্যি অনেক আনন্দের!' -- সুমন্ত আসলাম


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১৭৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • বকুল রায়
    Golpobuzz ৪ বছর পুর্বে
    ভালো হয়েছে