বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

গুন্ডি বউ

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Bad Boy (০ পয়েন্ট)

X গুন্ডি বউ লিখাঃEvan Adnan Arif(স্বপ্নচোরা) . --ভাইয়া এই ভাইয়া,,আরে উঠ আর কত্ত ঘুমাবি উঠ ঘুম থেকে। --থাপ্পড় চিনিস,একটা দিব। --আমাকে দিতে পারবি কিন্তু,ভাবিকে তো দিতে পারবিনা উঠে দেখ ভাবি আসছে। --কি আজব কথা ভাবি পেলি কোথায় তুই। --উঠে দেখেন কে আসছ।আমাকে বলছে আমি উঠাতে না পারলে তিনি পানি ঢেলে উঠাবেন।তাই ভাল থাকতে উঠেন। --বললেই হল নাকি পানি ঢালবে আসতে দে দেখি কি করে। . কথাটা বলার সাথে সাথেই কোথায় থেকে যেন এক জগ পানি এসে পড়ল আমার উপরে।আমি তো রেগে লাল। --এই মেয়ে তুমি আমার উপরে পানি দিলে কেন।।(আমি) --আম্মুর কাছ থেকে অর্ডার নিয়েই পানি দিছি।(নিলা) . এই বলে মেডাম চলে গেল। আমি তখন আরো রেগে গেলাম আর আম্মুকে জোরে জোরে ডাকতে লাগলাম। --আম্মু,আম্মু এই আম্মু।(আমি) --কিরে কি হইছে(আম্মু) --তুমি জানো না কি হইছে।সকাল সকাল এক জগ পানি দিয়ে দিছে রহমান আংকেল এর মেয়েটা। --এই বলদ,রহমান আংকেলের মেয়ে কিরে ওর কি নাম নেই।নিলা বলবি নিলা। --পারব না ওর নাম নিতে। --আরে গাধা মেয়েটা তকে অনেক ভালবাসে। --কিন্তু আমি তো বাসিনা। --তোর না বাসলেও চলবে।তোর বাবা আর আমি এই মেয়েকেই আমার ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিয়েছি। --আমি তো মানব না। . এই বলে চলে আসলাম আমার রুমে।এবার পরিচয় টা দেয়া যাক আমার নাম জয় মাস্টার্স শেষ করে চাকুরির খোজে আছি তবে মনোযোগ দিয়ে চাকুরি খুজিনা কারন আমার আব্বু যা ইনকাম করে তা দিয়েই আমাদের পরিবার দিব্যি চলে। আর অই গুন্ডা টাইপের মেয়েটার নাম নিলা সে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে।আমাদের পাশের ফ্লাটেই থাকে বাবার নাম রহমান।ভাগ্যক্রমে আমার তিনি আবার আমার আব্বুর কলিগ ও ভাল বন্ধু।আমার আব্বু আম্মু আর আমার আদরের ছোট বোন সিমার পছন্দের মেয়ে।আমি জানি মেয়েটি আমাকে অনেক ভালবাসে।আমিও ওকে ভালবাসি কিন্তু বুঝতে দেই না।কারন ওকে রাগাতে আমার ভিষন ভাল লাগে। প্লাস ওর গুন্ডামিটা আরো ভালবাসি। . ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম নাস্তা খেতে গিয়ে দেখি সবাই খাচ্ছে আমার টা নেই। --কি ব্যাপার আমার নাস্তা কোথায়।(আমি) --তুই নিলা ভাবির সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছিস তাই তর জন্য সকালের নাস্তা অফ।(ছোট বোন সিমা বলল) --বললেই হল নাস্তা অফ,,হি হি এখন তর টা খাব।(আমি) --আম্মু আম্মু দেখ ভাইয়া আমারটা নিয়ে নিল।(সিমা) . আম্মু তখন কিচেনে ছিল।কিচেন থেকে বলল। --সিমা,বলে দে তর খাবার জোর করে খেলে আজকে সারাদিনের খাবার অফ হয়ে যাবে। . আমি বাধ্য ছেলের মত খাবার টেবিল থেকে উঠে গেলাম আর বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।কারন আমি জানি জোর করে সিমার টা খেলে আজ সারাদিনের খাবার অফ করে দিবে।যা আমার সাথে আরো অনেক দিন করা হইছে। তাই বাহিরে এসে নাস্তাটা সেরে বন্ধু রাফিকে ফোন দিলাম। . --রাফি কই তুই বন্ধু। --কেন কি হইছেরে জয়। --আমি পার্কে আছি আয়।তর সাথে কথা আছে। --ওকে বন্ধু আসতেছি। . একটু পর রাফি আসল এসেই আমার পিঠে একটা জোরে থাপ্পড় দিয়ে বলল। . --কিরে জয় কি খবর তর। --তকে আর কতবার বলব যে এভাবে থাপ্পড় দিবি না হ্ল। ব্যাথা লাগে তো(একটু রাগি ভাব নিয়ে বললাম) --সরি বন্ধু ভুল হয়ে গেছে আর হবে না।(রাফি) --তুই সবসময় এই কথাটাই বলিস কিন্তু মনে থাকেনা।(আমি) --আর হবে না বন্ধু(রাফি) --আচ্ছা ঠিক আছে।(আমি) --তো ফোন দিয়েছিলি কেন কি কথা বলবি বল।(রাফি) --আরে কোন কথা নেই এমনিই তর কথা মনে পড়ল অনেক দিন ধরে দেখিনা তরে তাই।(আমি) --মামা আমি কিন্তু বুঝি তকে সকাল সকাল বাসা থেকে বের করে দেয়া হইছে।নিশ্চই নিলার সাথে কিছু খারাপ ব্যাবহার করেছিস।(রাফি) --বাদ দে তো এখন চল সিগারেট খাব।(আমি) --চল(রাফি) . এই বলে আমরা দুইবন্ধু দোকান থেকে দুইটা গোল্ডলিফ কিনে মনে সুখে টানছি।হঠাৎ করে রাফি বলল . --এই সিগারেটটা ফেল নিলা নিলা। --আরে কোথায় কোথায়। . বলে সিগারেটটা ফেলে দিলাম।কিন্ত ধোয়াগুলা সরাতে গিয়েই নিল দেখে ফেলল।হায় হায় আজকে আমার কপালে কি যে আছে আল্লাই জানে।তাই ভয়ে বাসায় না গিয়ে আজ সারাদিন বন্ধু রাফির সাথে বাহিরেই কাটালাম।আর সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরলাম।বাসায় আসার সাথে সাথে আম্মু এসে কিছুনা আমার দুইগালে ওনার হাতের পাঁচটা আংগুলের ছাপ দিয়ে দিল। . --আমাদের পরিবারের কেউ কখনো সিগারেট খায়নি আর তুই কি করলি আমাদের মান সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিলি।(আম্মু) --আম্মু আমি.... --চুপ তর কোন কথা নেই। . আমি রাগে গজগজ করতে করতে নিজের রুমে ফিরলাম। তারপর শুয়ে পরলাম বিছানায় সারদিন ঘুরাঘুরি করে ক্লান্ত ছিলাম তাই কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছি টেরো পাইনি।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার জুতাগুলি পায়ে নেই শরীলে একটা কাথা দেয়া।আর বুঝতে বাকি রইল না যে কে আমার রুমে এসে এসব করেছে।না মেয়েটা অনেক বেড়ে গেছে আজ একটা শিক্ষা দিব।এই বলে সকালের নাস্তা করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।বরাবরের মত রাফিকে ফোন দিয়ে পার্কে আড্ডা দিতে লাগলাম।হঠাৎ দেখলাম নিলা কোথায় যেন যাচ্ছে। . --নিলা নিলা এদিকে আসো।(আমি) --কি হইছে বলো।(নিলা) --কাল্কে বাসায় কি বলছ আমাকে নিয়ে।(আমি) --যা সত্যি তাই বলছি। . কথাটা বলার সাথে সাথে ওর গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলাম।দেখলাম ও কান্না করতে করতে চলে গেল।হায় হায় একি করলাম আমি নিলাকে থাপ্পড় দিয়ে দিলাম। আমার খুব খারাপ লাগছে আসলে নিলাকে আমি অনেক ভালবাসি। আবার আজতো বাসায় যেতেও পারবনা কি যে করি। . সারাদিন বাহিরে বাহিরে থাকলাম সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম।গিয়ে যা দেখলাম আমি হতবাগ আমার রুম ফুল দিয়ে সাজানো বাসায় অনেক মেহমান।ছোটবোন সিমা এসে বলল আজ আমার বিয়ে হবে আমি কিছু বলার আগেই আব্বুর বিকট শব্দের ধমক শুনে রাজি হয়ে গেলাম।শেষ মেষ নিলার সাথেই আমার বিয়েটা হল।রাতে বাসর ঘরে ঢুকলাম আমি মনে অনেক খুশি।আজকে মামা প্রতিশোধ নিব অনেক জ্বালাইছে।আজ আমি জ্বালাব।রুমে ঢুকেই লাইট অফ করে নিলাকে জরিয়ে ধরে।বাকিটা আপনাদের না শুনলেও চলবে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৮৯৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ গল্প : #গুন্ডি_মেয়ের_মিষ্টি_পাপ্পি !!!
→ গল্পঃ গুন্ডি ও ধার্মিক বউ
→ গুন্ডি গার্লফ্রেন্ড
→ গুন্ডি মেয়ে
→ গুন্ডি মার্কা বউ?

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now