বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্পঃএখন রোমান্সের সময়
…
সদ্য বিসিএস পাশ করে শিক্ষা ক্যাডারে সরকারী কলেজের নিয়োগ পেলাম।আর সাথে সাথেই আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দিতে লাগল ।যদিও বয়স এত বেশি হয় নি তবে আমি জানি এটাই বিয়ের জন্য পারফেক্ট বয়স।কিন্তু আমি চেয়েছিলাম আরো কিছু বছর পরে বিয়েটা করব।
..
কিন্তু আব্বু-আম্মু আর বড় আপুর কথায় পটে গেলাম।আজকে নাকি মেয়ে দেখতে নিয়ে যাবে।যাক শেষপর্যন্ত আমি যেতে রাজী হলাম।আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দুরে নয়।প্রায় এক ঘন্টার রাস্তা।আমার দুলাভাইয়ের পরিচিত একজনের মেয়ে নাকি।
..
মেয়ের বাসায় গিয়ে পৌছলাম।দেখলাম মেয়ের বাসাটা অনেক সুন্দর।আমরা সবাই একটা রুমে বসলাম।আমার সাথে বসেছিলো আমার দুলাভাই,আব্বু-আম্মু অন্য পাশে।
একটু পরে মেয়ে আসলো।মনে হচ্ছে অনেক সাজু গুজু করেছে।কিন্তু মাথা তুলে তাকাতে সাহস পাচ্ছি না।
..
একটু পরে মেয়ে এসে আমাদের সবার হাতে চা দিয়ে গেল।ধ্যাত এবারো সুযোগ হাতছাড়া দেখতে পারি নি।মনে মনে আফসোস করতে লাগলাম।কিন্তু আমার মনে কথা কিভাবে যেন আমার দুলাভাই বুঝে গেল।তাদের সবার কাছ থেকে অনুমতি নিলেন আমরা একা কথা বলার জন্য।
..
তারপর আমরা দুইজন ছাদে গেলাম।মেয়েটা বসল কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে আছি অন্য দিকে তাকিয়ে।মেয়েটা নিরবতা ভেংগে কথা বলল,
..
--হ্যালো,বসেন না কেন।
--জী,বসছি(বসে গেলাম)
--কি ব্যাপার এত্ত ঘামছেন কেন।
--অই তো গরম লাগছে।
--আরে আরে এখন তো শীতকাল।শীতকালে গরম।
--ও কিছু না।
--আচ্ছা আপনি নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন কেন,রাত কানা নাকি।
--আরে না না,আমি ঠিক আছি।(সামনের দিকে তাকিয়ে বলতেই দেখলাম মেয়েটাকে ওয়াও অনেক সুন্দর মেয়ে)
--হুম এবার ঠিক আছে।আপনি নাকি বিসিএস।
--হ্যা কোন সন্দেহ আছে নাকি।
--না সন্দেহ নেই আবার আছে বিসিএস পাশ করা ছেলের এত্ত লজ্জা।
--হুম।সবাই আমাদের জন্য বসে আছে চলুন।
--সেকি আমার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাস করবেন না।
--আমি সব জানি,দুলাভাই সব বলেছে।
--তাহলে তো ভালই।চলুন।
..
মেয়েটার নাম মিমি,এ বছর অনার্স ফাইনাল এক্সাম দিবে।এই কথা গুলো দুলাভাই কাল রাতে বলেছিল।দুলাভাই আরো বলেছিল মেয়েটা অনেক সুন্দর,স্মার্ট।আজকে দেখেও তাই মনে হল।মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়ে করলেই এই মেয়েকেই বিয়ে করব।কিন্তু যেই বলদামী একটু আগে করলাম মিমি মনে হয় রাজী হবে না বিয়েতে।
..
বাকী কথা রাতে হবে বলে আমার শ্রদ্ধেয় আব্বাজান আমাদের নিয়ে বাসায় আসল।মনে হয় আব্বাজানের পছন্দ হয়নি।
..
পরে জানতে পারলার আব্বু সবার মতামত জানার জন্য অইখানে কথা না বলে বাসায় চলে আসছে।বাসায় এসে সবার মতামত নিয়ে দেখে গেল সবাই মেয়ে পছন্দ করছে।আর আমার মত তো সোজা এই মেয়েকেই বিয়ে করব।
..
রাতে আব্বু ওদের বাসায় ফোন দিয়ে জানতে পারলো ওদেরও ছেলে পছন্দ হইছে।আব্বু গিয়ে বিয়ের ডেট যেনো ঠিক করে আসে সেটা বলেছে।এই কথা শুনে আমি মনে মনে অনেক খুশি হলাম।
..
..
দেখতে দেখতে বিয়ের ডেট এসে গেলো।আর বিয়েটাও হয়ে গেল।এত্ত তাড়াতাড়ি সময় টা চলে গেলো কিভাবে বুঝতেই পারিনি।
..
বাসর ঘরে ডুকেই বউ এর পাশে বসবো।ঠিক তখনি কড়া ধমক দিয়ে মিমি বলল,
..
--এই বসবেন না,দাঁড়িয়ে থাকেন।
--আরে কেন বসব না কেন।
--যেটা বলছি সেটা করেন দাঁড়িয়ে থাকেন।আমার আশেপাশে আসার চেষ্টাও করবেন না।
--কিন্তু আমার অপরাধ কি?
--অপরাধ নেই,কাছে আসতে পারবেন কিছু শর্ত আছে সেগুলোতে রাজী আছেন কিনা জানতে হবে।
--কি শর্ত শুনি আগে।
--শর্ত নাম্বার (১)কখনো আমাকে বকা দিবে না।
--অন্যায় করলে মাফ নেই।বকা খাবে।
--শর্ত নাম্বার (২)চাইনিজ খাওয়ানো লাগবে না।মাঝেমাঝে ফুসকা,চটপটি খাওয়ালেই হবে।
--ঠিক আছে।
--শর্ত নাম্বার(৩)মাঝেমাঝে বৃষ্টিতে আমার সাথে ভিজতে হবে।
--হুম।এটাও ঠিক আছে তবে কম কম ভিজবো।
--শর্ত নাম্বার (৪) মার্কেটিং মাঝেমাঝে নিয়ে যেতে হবে।খরচের চিন্তা কম করবেন আমি বেশি টাকা খরচ করবো না।
--আচ্ছা।
--শর্ত নাম্বার (৫)মাঝেমাঝে আমি আপনার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো, কিন্তু আপনি পারবেন না।
--ছেলে মেয়ে সমান অধিকার।তুমি আমার কোলে মাথা রেখে ঘুমালে সমান অধিকার আইনে আমিও রাখবো।
--আচ্ছা আচ্ছা সে দেখা যাবে।এখন বলেন এই সব শর্তে রাজী কিনা।
--হুম,রাজি।
--তাহলে তো হয়েই গেল।
--কি হয়ে গেল।
--বকবক কম করে লাইট অফ করে আসেন।এখন রোমান্সের সময় বুঝলেন।
..
আর কিছু না বলে সোজা বউ এর হুকুম মানলাম।আর বুঝতে পারলাম এই রাত রোমান্সের রাত।আর এখন রোমান্সের সময়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
"Cute Princess "
User ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে