বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
"""মিষ্টি প্রেমের গল্প"""
নতুন কলেজ।নতুন মুখ।সব কিছুই নতুন।
মৃদুলের ভিতরে একটা উত্তেজনা কাজ
করতেছে।
আবার ভালোও লাগতেছে।
মৃদুল ছেলেটা একটু চঞ্ঝল টাইপের।
অপরিচিত
কাউকে হাজার বছরের পরিচিত
বানিয়ে ফেলতে
এক মূহুর্তই যথেষ্ট।
.
কলেজের প্রথম ক্লাশ করার জন্য ক্লাশে
বসে
আছে মৃদুল।
ক্লাশ শুরু হবার কয়েক মিনিট পর একটা
মেয়ে
বিদ্যুৎ গতিতে এসে মৃদুলের পাশে ধপ
করে বসে
পরলো।
পুরো ক্লাশে এই একটা সিটই ফাঁকা
ছিলো।তাই
হয়তো বাধ্য হয়েই মেয়েটা এখানে
বসেছে।
.
মেয়েটা দেখতে বেসম্ভব সুন্দরী।এক
কথায় বলতে
গেলে একদম লাল পরী।লাল পরী বলার
কারন
মেয়েটার পরনে লাল ড্রেস।
মেয়েটার সবথেকে বেশি সুন্দর হচ্ছে
কমলার
কোয়ার মতো ঠোট।তারপর আবার
হালকা গোলাপী
কালার লিপস্টিক।এটার জন্য তার
সৌন্দর্য অনেক
গুন বেড়ে গেছে।
.
কিন্তু এই লাল পরীর পাশে মৃদুলকে বড্ড
বেমানান
লাগছে।
মনে মনে ভাবলো পরীর পাশে যখন বসে
আছি।
তাহলে পরিচিত হলে ক্ষতি কি!!!
.
~আপনার সাথে পরিচিত হতে পারি
(মৃদুল)
~হুমম।অবশ্যই।আমার নাম কথা।
~আমার নাম মৃদুল।আপনার বাসা
কোথায়?
~মিরপুর ২।আপনার?
~আরে বাহ!আমরাতো কাছাকাছিই
থাকি।আমি
মিরপুর ১ এ থাকি।
~হুমম
~একটা কথা বলবো?
~বলেন?
~আমরা যেহেতু সেইম তাই আপনি না
ডেকে তুই বা
তুমি করেই ডাকি!
~আচ্ছা তাহলে তুই বলেই ডাকি।তুই
শব্দটা আমার
খুব ভালো লাগে।
~তোর ইচ্ছা(হাসির ইমু হপে)
~হাসি পাচ্ছে তোর কথা শুনে।
যেভাবে বলছিস
যেনো আমরা কতো জনমের পরিচিত।
~তোকে আরেকটা কথা বলি?
~হ্যা বল।
~রাগ করবিনা তো!
~না
~তোর সবথেকে সুন্দর যে জিনিসটা
সেটা হচ্ছে
তোর কমলার কোয়ার মতো ঠোট।এটাই
তোর দ্বিগুন
সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।
~কি ব্যাপার এতো খেয়াল কেনো
আমার দিকে?
~না মানে হয়েছে কি,একটা পরীর
পাশে বসে
আছি তো তাই চোখকে আটকে রাখতে
পারছি না।
~এবার কিন্তু একটু বেশিই বলে ফেললি।
আমি পরী
হতে যাবো কেনো?আমি মানুষ।
~আমার কাছে তুই পরী।আরেকটা কথা।
আমি কিন্তু
তোকে লিপিস্টিক সুন্দরী বলেই
ডাকবো।
~লোকে খারাপ বলবে।সবার সামনে
ডাকবিনা।যখন
আমি আর তুই থাকবো তখন ডাকবি।
~ঠিক আছে।তোর ফেইসবুক একাউন্ট দে?
.
অতঃপর তাঁরা ফেইসবুক একাউন্ট দেয়া
নেয়া করে
যার যার বাড়িতে চলে গেলো।
.
যতো দিন যাচ্ছে তাদের সম্পর্কটা
ততোই বেড়ে
চলেছে।
সেই প্রথম দিন থেকে শুরু।প্রতিদিন
একসাথে বসে
ক্লাশ করা,আড্ডা দেয়া সবকিছুতেই
ওরা দুজন এক
সাথে থাকে।
.
অন্যদিকে মৃদুল কথাকে ভালোবেসে
ফেলেছে।
মেয়েটার চাল চলন ব্যাবহার তাকে
মুগ্ধ করেছে।
সময়ে সময়ে ফোন করে খবর নেয়া।
মাঝে মাঝে ফোন করে ঝারী দেয়া
এসব কিছুর
কারনেই মৃদুল ওকে ভালোবেসে
ফেলেছে।
.
~দোস্ত।কোথায় তুই? (কথা)
~কই আবার বাড়িতে (মৃদুল)
~একটু আসবি?
~কোথায় আসবো?কেনো আসবো?
~পার্কে আয়।তোর জন্য অপেক্ষা
করতেছি।
~কেনো বলবি তো?
~আগে আয়।তারপর বলবো।
~আচ্ছা আসতেছি।
.
পার্কে যাবার পর!!!
.
~হ্যা বল (মৃদুল)
~আসলে কি ভাবে যে তোকে বলি?
(কথা)
~আরে সঙ্কোচ কিসের বলে ফেল।
আমরা আমরাই
তো।
~আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।পাত্র
বিদেশ
থাকে।কয়েক দিন পর এসেই আমাকে
বিয়ে করবে।
~আরে বাহ।এতো খুশির খবর।তোর
বিয়েতে খুব মজা
করবো রে।আর বিয়ের দিন এমন খাবো
না!যাতে
পরের এক সপ্তাহ না খেতে হয়।
~আজ তাহলে যাইরে!
~ঠিক আছে।জামাই পাইয়া আমাকে
বুলিস না।
~দুর।তুই খালি দুষ্টুমি করস।একটু সিরিয়াস
হ।নাহয়
অনেক কিছুই হারাবি!!!
.
কথা চলে গেলো।মৃদুল এখনো পার্কেই
বসে আছে।
চারিদিকে অন্ধকার অন্ধকার লাগছে।
মাথাটাও হালকা ঘুরাচ্ছে।কি করবে
ভেবে পাচ্ছে
না!
সত্যিই সিরিয়াস না হবার কারনে
অনেক বড় কিছু
হাড়িয়ে ফেলছে।জীবনের সবচেয়ে
দামী
জিনিসটাই হাতছাড়া করে ফেললো।
.
নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে।রাগে
মোবাইলটাও ভেঙ্গে ফেলেছে।
রাতে বাড়ি ফিরার সময় মৃদুল এক
প্যাকেট
সিগারেট কিনলো।অথচ মৃদুল আগে
কখনো সিগারেট
ছুঁয়েও দেখেনি।সিগারেট খেলে
নাকি মনের কষ্ট
গুলো দূর হয়।
.
আজ এক সপ্তাহ ধরে মৃদুলের সঙ্গী চার
দেয়াল,একটা ম্যাচ,মদের বোতল,আর
সিগারেটের
প্যাক গুলো।
.
কথা সাতদিনে কতোগুলো কল
দিয়েছে মৃদুলের
ফোনে তার হিসেব নেই।
প্রতি বারই একটা মেয়েলি কন্ঠ বলে
দিয়েছে ঐ
নাম্বারটা বন্ধ আছে।
সাতদিন কথার কাছে সাত জনম মনে
হচ্ছে।যার
কন্ঠ না শুনলে এক দিন থাকতে পারে
না সেখানে
সাতদিন!!!
পাগলের মতো হয়ে গেছে মেয়েটা।
চোখের নিচে
কালো দাগ পরে গেছে।
.
অবশেষে ঠিক করলো কাল মৃদুলের
বাসায় যাবে।
সারারাত ঘুম হয়নি কথার।কখন রাত
পোহাবে,কখন
মৃদুলের দেখা পাবে!!!
.
সকালে তাড়াতাড়িই বেড়িয়ে
পরলো কথা।
মৃদুলের বাসায় এসে কলিং বেল
চাপতেই মৃদুলের
সহযোগী দরজাটা খুলে দিলো।কোন
কথা না বলেই
মৃদুলের রুমে চলে গেলো।
কিন্তু একিইইই!
.
~মৃদুল তোর এই অবস্থা কেনো (কথা)
~তুইতো বিয়ে করে সুখি হয়ে যাবি।
আমি কি
করবো?তাই এসব!আমি এসব নিয়েই সুখে
থাকবো
(তখনো মদের বোতল হাতেই।)
~চেহারার কি অবস্থা
বানিয়েছিস,তোকে দেখে
মনে হচ্ছে তুই মৃত্যু সয্যায় আছিস।
~দোয়া কর তোর বিয়ের আগেই যাতে
মরে যাই?
~চুপ আর একটা কথাও বলবিনা।তুই মরে
গেলে
আমার কি হবে? (কলারটে চেপে ধরে)
~কেনো তোর ঐ বিদেশি জামাইয়ের
সাথে
থাকবি।
~চুপ কর।আমি ঐ দিন তোকে পরিক্ষা
করার জন্য
মিথ্যে বলেছিলাম।তুই আমাকে
ভালোবাসিস
কিনা তা জানার জন্য!!!
~(কথাটা শুনার পর মৃদুল যেনো প্রান
ফিরে পেল)
সত্যি বলছিস তোর বিয়ে ঠিক হয়নি?
~হুমমম (কেঁদে দিয়ে)
~আরে এই পাগলী একদম কাঁদবিনা।তুই
জানোস এই
সাতটা দিন আমার সাত জনমের মত
লাগছে।
খুব কষ্ট হয়েছিলো রে আমার।আমি
বেঁচে থাকতে
তুই অন্য কারও হবি এটা মেনে নিতে
পারছিলাম
না।
~তোর কি মনে হয় তুই একাই কষ্ট
পেয়েছিস?আমি
পাইনি।পাগলের মতো ফোন করেছি
তোকে।কিন্তু
তোর ফোন অফ।তুই জানোস না তোর
সাথে কথা না
হইলে আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়।
(ফুফিয়ে
কেঁদে দিয়ে)
~সরি রে।ঐ পার্ক থেকে তুই চলে
যাওয়ার পরই
রাগে ফোন ভেঙ্গে ফেলেছি।
~কিসের সরি।আমি তোমাকে
ভালোবাসি বল।
~আচ্ছা দাড়া
(মৃদুল যেইটা দিয়া দাঁত ব্রাশ করতো
সেইটাতে
একটা গোলাপ ফুল ছিলো।ব্রাশটা
নিয়ে এসে
একবারে ফিল্মি স্টাইলে হাঁটু গেড়ে)
~আমি তোকে ভালোবাসি
লিপিস্টিক সুন্দরী।
~আমিও লিপিস্টিক সুন্দরীর হবু বড়কে
অনেক
ভালোবাসি।
~পাগলী একটা।
~আমার পাগলটা.....!
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
আব্দুল্লাহ আল মারূফ
User ৪ বছর, ২ মাস পুর্বেTasnim Ara Esha
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে♣♣♣মোসাদ্দেক আল মাহমুদ তামিম ♦♦♦
User ৪ বছর, ৪ মাস পুর্বে¤-ইশিকা-¤
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেSharmin akther Mim
User ৬ বছর পুর্বেproma
Guest ৬ বছর, ২ মাস পুর্বেMD: shahin hossn
Guest ৭ বছর, ২ মাস পুর্বে