বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আমি শান্তা আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া কিছু রহস্যময় ঘটনা আমার বন্ধুদের বলছি ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনা কিছুদিন আগের ঘটনা এটা আমি গ্রামের বাড়িতে থাকি মাঝে মাঝে ঢাকায় বেড়াতে যাই ঢাকাতে আমার বড় আপুর শ্বশুর বাড়ি এবং আমার মামা, মামিরা থাকেন আমি বেশির ভাগ ছোট মামার বাসায় থাকি কারন আমার ওখানেই ভালো লাগে। আমি এবার আমার নানুর সাথে ঢাকায় গেছি তো যাওয়ার পর কদিন ভালোই কাটলো তো ঐ বাসাটা ছিলো সাত তালা আমারা থাকি চার তালায়, আমার আবার একটা প্রবলেম রাতে ঘুম আসেনা তাই প্রতিদিন বেলকোনিতে বসে সময় কাটাতাম ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চাট করতাম। এবং ফোনে কথা বলে সময় পার করতাম তারপর ৩ টা কি ৪ টা বাজে ঘুমাতে আসতাম, তো আমি কখনো ভুতে বিশ্বাস করতাম না আর কখনো ভয়ও পেতাম না তাই সারারাত বেলকোনিতে কাটাতে আমার ভয় লাগতোনা, আর আমাদের বেলকোনিটা যেখানে ছিলো সে যায়গাটা বেসি ভালো ছিলোনা তিনটা ফ্লাটের চিপা গল্লি ছিলো নিচে কোনো মানুষ যাতায়াত করেনা নিচে অনেক ময়লা আবজনা ভরা, তো ঐরকম প্রতিদিনের মতই ঐই দিন আমার ঘুম আসতে ছিলোনা তাই বেলকোনিতে গিয়ে চেয়ারে বসে বসে গান শুনতে ছিলাম সেদিন গান শুনতেও ভালো লাগেনি আমার তাই স্টপ করে রেখেছিলাম গান, ঐদিন আমার মোবাইলে এমবি ছিলোনা তাই ফেসবুকেও আসতে পারিনি তাই বন্ধুদের অনেককেই ফোন দিছিলাম কেউ ফোন তোলেনি সবাই ঘুমে কাতর ছিলো তবে একটা বন্ধু আমার ফোন রিসিপ করছিলো ওর নাম তমা ওর সাথে অনেখন কথা বলছি তারপর ব্যালেন্ছ শেষ হয়ে গেছে তাই আর কথা বলতে পারিনি। পরে ফোনটা সাইটে রেখে দিলাম তখন বাজে রাএ ঠিক ৩ টা,কতখন বসার পরে শুনতে পেলাম ঘুঙ্গুরের আওআজ মানে নুপুরের শব্দ তো আমি ভেবেছিলাম হয়তো কোনো ফ্লাটের থেকে শব্দটা আসছে তো আমি তখন কোনো ভয় পাইনি, তাই ঐখানেই বসে ছিলাম তার পাচঁ মিনিট পর আমি শুনতে পেলাম ঐ নুপুরের শব্দটা আমার দিকে তেরে আসছে তখন আমি খুব ভয় পাইছি এবং ঐখান থেকে দৌরে রুমে আসতেছিলাম বেলকোনির দরজা বন্ধ করতে ছিলাম তখন আমার ওরনাটা দরজার ওপাশ থেকে আটকে গেছে তাই আমি ভয় পেয়ে ওরনা রেখেই দৌরে বিছানায় ওঠলাম আমার সাথে নানু ঘুম আসতো , নানু গভির ঘুমে মগ্ন ছিলো আমি আর নানুকে জাগানোর সাহস পাচ্ছিনা আমার পুরো সরিল কেমন জানি ভার হয়ে গেছে ভয়ে ফুলে যাচ্ছিলাম পরে কোনো রকম নানুকে ধাক্কা দিয়ে যাগিয়ে বললাম নানু আমি ভয় পাইছি নানু আমাকে দোয়া পড়ে ফু দিলেন এবং আমাকে বললেন দোয়া পড়তে কিন্তু আমার মুখ দিয়ে দোয়া আসছিলোনা পরে সারারাত নানু কে জরিয়ে ধরে সুয়ে আছি ভয়ে ঘুমাতে পাচ্ছিনা পরে সকাল হলো আর আমার চোখ দুটো একটু লাগলো আর হটাৎ করে আমার ঘুমের ঘরে একটা বাজেধুয়া আর গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতেছিলো পরে আমি লাফ দিয়ে উঠে যাই উঠার পরেও আমার দম বন্ধ হয়ে আসতেছিলো পরে চিৎকার দিয়ে নানুকে ডাক দিলাম পরে নানু সবাইকে ঘটনাটা খুলে বললো বলার পর আমার মামা বাহিরে থাকে সে ছুটিতে আসছে এবং মামা সব কিছু শুনার পর এলাকার মসজিদের হুজুর কে নিয়া আসছে হুজুর এসে আমাকে তৈল এবং পানি পরা দিয়ে এবং ঝারা দিয়ে গেছে তারপর ঐদিন ভালোই কাটলো পরের দিন সন্ধাবেলা আমি রুমে বসে ফোনে কথা বলছি এরমধ্যে হটাৎ আমার মনে হলো বেলকোনি থেকে আমাকে কেউ ফলো করছে তো হটাৎ আমার গাঁ হাত পাঁ পুরো ঠান্ডা বরফের মতো হয়ে গেছে আর পুরো সরিল কাপছেঁ নানু,মামি সবাই ড্রইং রুমে টিভি দেখছে আমি কোনরকম ভাবে সেখানে গেলাম এবং নানুকে বললাম আমার অবস্থার কথা আমি সরিলে কোনো শক্তি পাচ্ছিনা কথা বলতে পাচ্ছিনা তারপর আবারো হুজুরকে ডাকলো হুজুর এসে আমাকে অনেক প্রস্ন করলো এবং ঝারা দিতে ছিলো এরমধ্যে আমার চেয়ারটা হটাৎ ঝাকি মারলো তারপর আমি আর কিছুই বলতে পারিনা উঠে দেখি আমাকে সোফায় সুইয়ে রাখছে আর অনেক মানুষ জন বাসায় তখন রাত ২ টা বাজে পরে সবাই বলছিলো যে আমি নাকি মাথা ঘুরে পরে গেছি তো আমি সেটাই বিশ্বাস করেছিলাম আসলে ঘটনাটা সেরকম ছিলোনা ঘটনাটা ছিলো একটা অলৌকিক ঘটনা আমি পরদিন কাজের মেয়ে টুনির কাছ থেকে সবকিছু শুনতে পাই আসলে তখন আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এতোকিছু আমার সাথে ঘটে গেছে আপনাদের বলি কি কি ঘটেছিলো আমার চেয়ার ঝাকি দেওয়ার পর ঐ খারাপ লাল লেহাঙ্গা পড়া পায়ে ঘুঙ্গুর বাধা ঘুমটা দেওয়া মেয়েটা আমার ভিতরে প্রবেস করেছিলো ঐটা নাকি আমাকে নিয়ে যেতে চাইছিলো তখন আমাকে ৬ থেকে ৭ জনে ধরে রাখতে পারেনি এমনকি হুজুরকেও আঘাত করছে আমি নাকি অনেক চিৎকার চেচাঁমেচি করছিলাম রাত নয়টার থেকে শুরু করে রাত দুইটা প্রজন্ত আমার ভিতরে ছিলো আর আমাকে নানান ভাবে কষ্ট দিছিলো পরে অনেক চেষ্টা করে গরুর বাশি হাড্ডি নাকি আমাকে জোর করে খাইয়ে দিছে পরে ও আমার ভিতর থেকে গেছে এবং আমি সাথে সাথে গেন হারিয়ে ফেলি তারপর আধাঘন্টা পর আমার গেন ফিরে তারপর দিন হুজুর আমাকে একটা তাবিজ বেধে দিছেন হাতে এর পর আল্লাহ রহমতে এখন আমি সুস্থ কিন্তু এখোনো আমি মাঝে মাঝে সেই গন্ধটা পাই কিন্তু এই তাবিজের জন্য ও আমার কাছে ঘেসতে পারেনা আমি অনেক কষ্ট করে ঘটনাটা লিখলাম কিন্তু এখনে একটা কথাও মিথ্যা না কাউকে যদি ভুল বসতো হাড করে থাকি তাহলে খমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আর কেউ দয়া করে আমার পোষ্টটা পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করুন এবং লাইক দিন কিন্তু প্লিজ কেউ বাজে কমেন্ট করবেন না।
(সংগৃহীত)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
☣KM SAJU AHMED ROKIB☣
User ৫ বছর, ৩ মাস পুর্বেcore
Guest ৬ বছর, ৩ মাস পুর্বেMd. Najmul Islam
Guest ৭ বছর, ৩ মাস পুর্বেnayeftaye
User ৭ বছর, ৫ মাস পুর্বেহুসেইন মুহাম্মাদ শাহিন
Guest ৭ বছর, ৫ মাস পুর্বেAfrin
Guest ৭ বছর, ৫ মাস পুর্বেবিলাল হোসেন
User ৭ বছর, ৮ মাস পুর্বে